বিদেশি কেউ বিএনপিকে মদদ দেবে, এমন পরিস্থিতি নেই: ওবায়দুল কাদের
বাইরে থেকে এসে কেউ বিএনপিকে মদদ দেবে, চাঙা করবে, এমন পরিস্থিতি নেই, এই মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘যারা দাপট দেখাবে, তাদের ক্ষমতা মধ্যপ্রাচ্যেই সংকুচিত হয়ে আছে। এখানে সম্প্রসারিত করবে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশে আসছেন দুই দেশের সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যা বলছেন, তার বাস্তবায়নটা আমরা দেখব।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে কে আসছে, তা নিয়ে ভাবছি না। যাদের প্রেসিডেন্টের কথা ইসরায়েলই শোনে না। আমরা যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার, আমরা কাকে ভয় পাব?’
বিএনপি আবারও নতুন করে তাদের শরিকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা আন্দোলন করবে, শরিকদের সঙ্গে বসবে। সেখানে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। তারা যদি রাজনৈতিকভাবে এগোতে চায়, তাহলে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব। কিন্তু তারা যদি অগ্নিসন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিয়ে রাস্তায় নামে, তাহলে আমরা মোকাবিলা করব।’
আওয়ামী লীগের অপরাধ ক্ষমার অযোগ্য, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসে পালিয়ে যাওয়ার রেকর্ড নেই। আর রাজনীতি করব না, এই মুচলেকা দিয়ে ২০০৭ সালে বিদেশে পালিয়ে গেছে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের মূল নেতাই পালিয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবরের বক্তব্যে তারা বলেছিল আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখলাম, নয়াপল্টনে একে একে অলিগলি কোথা দিয়ে কোথায় পালাল, এটা বিএনপি। আমরা পালাব কেন? আমাদের শক্তি দেশের জনগণ। আবারও আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস শুরু করলে তাদের পালিয়ে যেতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে আওয়ামী লীগের দরকার নেই। তাদের নেতিবাচক রাজনীতিই যথেষ্ট। নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে মস্তবড় (গ্রেট মিসটেক) ভুল করেছে তার মাশুল তাদের দিতে হবে।
১৪–দলীয় জোট আছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৪–দলীয় জোট আছে। জোট নেত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন, জোট আছে এবং যথাসময়ে আলাপ আলোচনার জন্য বসবেন।
উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের প্রার্থিতা নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে তাদের শাস্তি পেতেই হবে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৭৩ জন এমপি মনোনয়ন পাননি, ২৫ জন মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন, শাস্তিটা অনেকভাবেই আসতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ে মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।