দেশ এখন বহুমুখী সংকটে পতিত: গণ অধিকার পরিষদ
দেশ এখন বহুমুখী সংকটে পতিত বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেছেন, সরকারের নৈতিক ভিত্তি না থাকায় অন্য দেশগুলো পাত্তা দিচ্ছে না, বরং তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন নুরুল হক। ‘গণতন্ত্র-ভোটাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ভিনদেশি আধিপত্য ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে’ এ সমাবেশের আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ। সমাবেশ শেষে দলটির নেতা–কর্মীরা মিছিলও করেছেন।
সমাবেশে নুরুল হক বলেন, ‘এ দেশে কারা সরকারে থাকবে, বিরোধী দল কারা হবে। কে এমপি (সংসদ সদস্য), মন্ত্রী হবে, কে প্রশাসনের শীর্ষ পদে নিয়োগ পাবে; তা ঠিক করে দেয় ভারত। আজ সর্বত্র ভারতীয় আধিপত্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় এজেন্টদের চিহ্নিত করতে হবে। এ দেশে ১০ লাখের বেশি অবৈধ ভারতীয় লোক রয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে।’
ভারতের পাশাপাশি এখন চীনও সমস্যা তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন নুরুল হক। তিনি বলেন, রাখাইনে চীন ও ভারত বিনিয়োগ করেছে। তারা মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে সহযোগিতা করছে। বিদ্রোহীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে কোনো সহযোগিতা করছে না। সরকারের নৈতিক ভিত্তি না থাকায় অন্য দেশগুলো পাত্তা দিচ্ছে না বরং তাদের স্বার্থে ব্যবহার করছে।
সমাবেশে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যাম্পেইন চলছে, ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন। যাদের মধ্যে দেশপ্রেম আছে, তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শামিল হতে অবশ্যই ভারতীয় পণ্য বর্জন করবে।’
গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।