ভারতের দাদাগিরির দিন শেষ: বাম গণতান্ত্রিক জোট

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশ। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে, ৪ ডিসম্বরছবি: প্রথম আলো

ভারতের দাদাগিরির দিন শেষ। তারা তাদের দেশের মাটিতে প্রতিবেশী দেশের কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননাকারীদের শাস্তি এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার আহ্বান জানিয়ে এই সমাবেশ ও পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক মাসুদ রানা।

সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা দিতে না পারা ভারতের দুর্বলতার প্রকাশ। তাদের দাদাগিরির দিন শেষ। অথচ কিছু দিন থেকে ভারতের কিছু প্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত ও অসত্য তথ্য প্রচার করে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর হাস্যকর আবদার দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিভাজন দূর করার পরিবর্তে আরও উত্তেজনা তৈরি করেছে। এমন কথাবার্তা একটা স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশে মোটেই প্রত্যাশা করে না।

বাংলাদেশ নিয়ে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুস সাত্তার। তিনি ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। উগ্রবাদীদের ফাঁদে পা না দিতে তিনি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

বাসদের (মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা নয়, সম্প্রতির ভিত্তিতে দেশ গড়ে তুলতে হবে। আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলাকারীদের বিচার করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক পাটির নেতা রুবেল শিকদার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রতিবাদী মিছিল নিয়ে বের হন বাম জোটের নেতা–কর্মীরা। মিছিলটি দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।