আজকে এরা দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে: মির্জা ফখরুল
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে এরা দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এই মন্তব্য করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করেন। সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেন। বলেন, ‘আজকে এরা দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।’
বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ, প্রশাসনসহ অন্যান্য রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় আছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট দেয় না কেন? ভোট দিলে আওয়ামী লীগ ১০টার বেশি আসনও পাবে না। আওয়ামী লীগের নেতারা বড় বড় কথা বলেন। তিনি তাঁদের একটা নির্বাচন দিতে বলেন, যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন থাকবে। তখন কার কত জনপ্রিয়তা তা বোঝা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই জাতি ভবিষ্যতে টিকবে কি না, স্বাধীনভাবে চলতে পারবে কি না, তার পুরোটা নির্ভর করছে এই সরকারকে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করতে পারা যাবে কি না, তার ওপর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ শুধু গণতন্ত্র ও রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি, অর্থনীতিকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। গ্যাসের দাম, বিদ্যুতের দাম, সবজির দাম, চালের দাম অবিশ্বাস্য। বাচ্চাদের ঠিকমতো ডিম, দুধ দেওয়া যায় না।
মাগুরায় দুটি গরু ৪০ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, একদিকে মানুষ খেতে পারছে না, আরেক দিকে মানুষ ৪০ লাখ টাকা দিয়ে গরু কিনছে। এই দেশে অর্থনীতি এমন এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা গরিবদের গরিব করছে, আর বড়লোকদের বড়লোক করছে।
মির্জা ফখরুলের অভিযোগ, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে স্বাধীনতার ঘোষক—এই কথা আওয়ামী লীগ ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চায়।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শেখ মুজিবের অবদানকে কখনো অস্বীকার করি না। কিন্তু কী করে অস্বীকার করা যাবে সেই মানুষটির (জিয়াউর রহমান) অবদানকে, যে মানুষটির ঘোষণায় স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। বিএনপির চেয়ারপারসন উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শাহিদা রফিকসহ অনেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।