বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল তা দেখে না: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তারা (বিরোধী দল) দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে হীন মনোবৃত্তির পরিচয় দিচ্ছে তারা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের উন্নতি দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লজ্জিত হন। অতীতে পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে বোঝা মনে হতো। এখন সে বোঝাই উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি (শাহবাজ) লজ্জিত হন। বিএনপি যতটা অপপ্রচার করে, তাদের শাহবাজ শরিফের বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য শিক্ষা নেওয়ার অনেক কিছু আছে।
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি—যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, গাজায় ইসরায়েল যা করছে, সেটা মানবাধিকারের কোন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ১৪ হাজার শিশু, ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং প্রতিদিনই হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুকে যুদ্ধবিরতির কথা বলেও শোনাতে পারেননি। তারা কারও কথা শোনে না। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ইসরায়েলকে ফান্ড দিয়েছে। তার মানে যুদ্ধের উসকানিতে সাহায্য করছে। এই গণহত্যার ব্যাপারে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিকৃষ্টতম নমুনা সে ব্যাপারে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক।
উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা তেমন কেউ মানেনি। তাহলে দলের শৃঙ্খলা ভেঙে পরেছে কী না—এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রত্যাহার করার এখনো সময় আছে। যেকোনো সময় প্রত্যাহার করতে পারে। শেষটা দেখেন। দলের নির্দেশ অমান্য হলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমন কথা কিন্তু আমি বলেছি।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার উপজেলা নির্বাচনে সংঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংঘাতের আশঙ্কা হয়তো করতে পারেন। সংঘাত যেন না হয় আমাদের দায়িত্ব আছে, আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি থেকে এখন পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে ৬৭ জন অংশ নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা এখানে সমর্থনও করছি না, বিরোধিতাও করছি না। বিএনপির ব্যাপার বিএনপি দেখবে।’
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, গণ-অভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে নেমে আসা, এটা কি আন্দোলন উত্তাল হওয়ার লক্ষণ? নাকি আন্দোলন ধীরে ধীরে ফিজল আউট (ব্যর্থ) হচ্ছে এমন লক্ষণ।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।