বিএনপি এখন বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নানা খেলা শুরু করেছে। দলটি এখন গণতন্ত্র হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। যতই চক্রান্ত হোক, জবাব দেওয়া হবে। কোনো চক্রান্ত টিকবে না।
আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনের আয়োজনে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য শুরু করেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি এখন বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খেলছে। তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা লক্ষ করেছেন, বিএনপি-জামায়াতের যখনই মিটিং হয়, যখনই সমাবেশ করে, সমাবেশের দিন বা তার আগের দিন বিশেষ একটা রাষ্ট্রদূতের অফিসে বৈঠক করে। কেন? এর কারণ একটাই, বিএনপি এখন বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে খেলছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি বিদেশিদের বলব, কাদের নিয়ে আপনারা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চান, যারা ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত খুন করেছে? আপনারা কাদের গণতন্ত্রের কথা বলেন, যে দলের জন্মই হয়েছিল ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে? এগুলো দেশের মানুষ বোঝে। যাদের নিয়ে আপনি (সেই রাষ্ট্রদূত) এই খেলা শুরু করেছেন, এই খেলা দেশের জনগণ বাস্তবায়ন করতে দেবে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, বিএনপি এখন গণতন্ত্র হত্যা করার জন্য ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে। তিনি বলেন, ‘এখানে লাখো শান্তির সৈনিক সমবেত হয়েছে। আমাদের কর্মীরা শান্তি রক্ষা করতে এসেছে। আমরা শান্তি রক্ষা করব।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, আজকের সমাবেশ তারুণ্যের সমাবেশ। বিএনপির এখন কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শহীদ হব, তারপরও বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিক্রি করতে দেব না। যতই চক্রান্ত হোক, জবাব দেব, চক্রান্ত টিকবে না।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। শেখ হাসিনা যে নির্দেশ দেবেন, সেই নির্দেশই আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেওয়া হবে না। আজকে তো মাত্র শুরু হলো। আজকে আমরা লড়াই শুরু করেছি, এই লড়াই শেষ করব। আবারও যারা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে অগণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের চূর্ণ করে দেওয়া হবে।’