বিএনপির সমাবেশের মাধ্যমে ‘জনগণের অভ্যুত্থান’ ঘটবে, আশা মির্জা ফখরুলের

ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতারা
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশগুলোতে বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে ‘জনগণের অভ্যুত্থান’–এর প্রকাশ ঘটবে বলে প্রত্যাশা করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে সংলাপের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা, জনগণের একটা অভ্যুত্থান হবে এই সমাবেশগুলোর মধ্য দিয়ে জনগণকে সম্পৃক্ত করে। জনগণ আসবে এসব সমাবেশে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা এই সরকারের পতন ঘটাব।’

কাল বুধবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি ৯টি বিভাগে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে। যার প্রথমটি বুধবার চট্টগ্রামে হবে।

চারটি সমাবেশের পর বিভাগীয় গণসমাবেশের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
বিভাগগুলোতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের পর তারা ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।

অন্য সমাবেশগুলো হচ্ছে ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহ, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুরে, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় হবে মহাসমাবেশ।

‘গণবিরোধী কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক চাল, ডাল, জ্বালানি তেল, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি, চলমান আন্দোলনে ভোলায় নুরে আলম, আবদুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন, মুন্সিগঞ্জে শহিদুল ইসলাম শাওন ও যশোরে আবদুল আলিম হত্যার’ প্রতিবাদে বিভাগীয় শহরে এই কর্মসূচি হচ্ছে।

‘দুই দলের সঙ্গে সংলাপ’

২০–দলীয় জোটের দুই শরিকের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এই অনির্বাচিত, গণতন্ত্রহরণকারী মানবাধিকার হরণকারী লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বেশ কিছুদিন ধরে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছি। ইতিমধ্যে এক দফা সংলাপ শেষ করেছি।

আজকে দ্বিতীয় দফার সংলাপ করছি। এখানে আমরা যুগপৎ আন্দোলনের মূল দাবিগুলো নিয়ে কথা বলছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ ইতিমধ্যে আমরা ১১টি দলের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ আমরা ইসলামী ঐক্যজোট ও ডেমোক্রেটিক লীগের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা একমত হয়েছি যে এই সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলব এবং তাদেরকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করব।’

এই সংলাপে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব ও ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি নিজ নিজ দলের নেতৃত্ব দেন।

ইসলামী ঐক্যজোটের অন্য সদস্যরা হলেন আবদুল করিম খান, সৈয়দ মোহাম্মদ আহসান, সামছুল হক, কামরুজ্জামান রোকন, আনওয়ান আনসারী, নাসির উদ্দিন, ইলিয়াস রেজা, আবদুল কাদির ও মজিবুর রহমান।

ডেমোক্রেটিক লীগের প্রতিনিধিদলে ছিলেন আকবর হোসেন, খোকন চন্দ্র দাস, কাউসার আলী, ইয়াহিয়া মুন্না, মোহাম্মদ আল আমিন ও মেহতাজ আহসান।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

দ্বিতীয় দফা সংলাপে ধারাবাহিকভাবে বিএনপি মহাসচিব জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), এলডিপি, কল্যাণ পার্টি, লেবার পার্টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, মুসলিম লীগ ও জাগপার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।