তথ্যের ভিত্তিতে ইউএনও–ওসিদের রদবদলের সিদ্ধান্ত: নির্বাচন কমিশন
নির্বাচন কমিশনাররা ঢাকার বাইরে সফরে গিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে পুলিশ ও প্রশাসনে রদবদল প্রয়োজন মনে করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ কারণে রদবদলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছিলেন, মাঠ প্রশাসনে বড় রদবদল করতে গেলে বিশৃঙ্খলা হবে। এর দায় কে নেবে। আর রদবদল করতে গেলে অনেক টাকা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, এটি ব্যক্তিগত মতামত ছিল। কমিশনে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তিনি সেটাই বলতে পারেন। তিনি বলেন, রদবদলের ফলে বিশৃঙ্খলার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী উপজেলা বা জেলায় যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।
রদবদলের সিদ্ধান্ত কি ইসি নিয়েছে, নাকি সরকার—এমন প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এটি নির্বাচন কমিশন চেয়েছে। নির্বাচন কমিশনাররা গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন জেলা সফর করেছেন। তাঁদের ফাইন্ডিংসের (প্রাপ্ত তথ্য) ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বসে গত ৩০ নভেম্বর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের কাছে মাঠপর্যায় থেকে বিভিন্ন তথ্য ছিল। তার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাঠপর্যায়ে প্রার্থী বা বিভিন্ন পক্ষ থেকে তাঁরা তথ্য পেয়েছেন।
৩০ নয়, নিবন্ধিত ২৯ দল নির্বাচনে
অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মোট ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ২৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিয়েছে। আগে ৩০ দলের কথা বলা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি দল আসলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নয়। এটা স্বতন্ত্র হবে।