স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের অভিযোগ
নৌকার সমর্থকেরা বলছেন, ‘তোমাদের টেবিল নিয়ে বসার দরকার নাই, উঠে যাও’
মুন্সিগঞ্জ-৩ (সদর ও গজারিয়া) আসনে পিটিআই একাডেমিক ভবন কেন্দ্রের সামনে থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প উঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এরপর ওই কেন্দ্র থেকে ৩০০ মিটার দূরে ক্যাম্প বসিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা।
এই আসনে এবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন মৃণাল কান্তি দাস। তিনি এই আসনের দুবারের সংসদ সদস্য। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ ফয়সাল। তাঁর প্রতীক কাঁচি। ফয়সাল জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য।
অভিযোগ জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আরশাদ মাদবর প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। কেন্দ্রের সামনে থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নৌকার সমর্থকেরা বলছেন, কাঁচি মার্কার ভোটারদের ভোট দিতে যাওয়া লাগবে না। তোমাদের টেবিল নিয়ে বসার দরকার নাই। এখান থেকে উঠে যাও।’
পরে তাঁরা কেন্দ্রের সামনে থেকে সরে এসে ৩০০ মিটার দূরে নির্বাচনী ক্যাম্প বসিয়েছেন বলেও জানান আরশাদ মাদবর।
এর আগে সকাল থেকে পিটিআই একাডেমিক ভবন কেন্দ্রের সামনে ভোটারদের লম্বা সারি দেখা গেছে। আটটা বাজতে তখনো মিনিট বিশেক বাকি। আগেভাগেই ভোটকেন্দ্রে চলে আসেন ইউনূস কাজী। তাঁর বয়স ৭৫ বছর। ভোট দেওয়ার লাইনে দাঁড়ান সবার আগে। সকাল আটটা বাজতেই ভোট শুরু হয়। এর আগে ইউনূস কাজী বলেন, ‘আগে আগে ভোট দিতে বাড়ি থেকে হেঁটে চলে এসেছি।’
আটটার মধ্যেই কেন্দ্রের সামনে দেখা যায় লম্বা সারি। পুরুষের পাশাপাশি অনেক নারী ভোটার পৃথক সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় নারায়ণ চন্দ্র দাস বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ ভালো। ভোট দিতে এসে বেশ ভালো লাগছে।’
কেন্দ্রটিতে মোট ভোটার ৫ হাজার ৪৪৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ হাজার ৭৭৩ জন। আর নারী ভোটার ২ হাজার ৬৭০ জন। এই কেন্দ্রে ১০টি ভোট গ্রহণ কক্ষ রয়েছে।
সকাল ৯টা থেকে সোয়া ৯টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রের ৩টি ভোটকক্ষ ঘুরে ভোটারদের সরব উপস্থিতি দেখা যায়। ভোটাররা লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে থেকে সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিচ্ছেন।
সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ৯৫টি ভোট পড়েছে।
কেন্দ্রটির পুরুষ ভোটারদের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ভোট শুরু হওয়ার আগে থেকেই আমাদের কেন্দ্রের বাইরে ভোটাররা জড়ো হতে থাকেন। ধীরে ধীরে ভোটারদের সারি আরও দীর্ঘ হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে ভালোই ভোট পড়বে।’