কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার আহবান তথ্যমন্ত্রীর
আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিভিন্ন দেশের দেওয়া বিবৃতিকে রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধি-সংক্রান্ত ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সাংবাদিকের স্মৃতি ভাষ্যে বঙ্গবন্ধু’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। সাংবাদিকেরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেনের (হিরো আলম) ওপর বিষয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের দেওয়া যৌথ বিবৃতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘১৩টি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা যেভাবে বিবৃতি দিয়েছেন, রাজনৈতিক দলের মতো এমন জোটবদ্ধ হয়ে বিবৃতি দেওয়া রাষ্ট্রদূতদের আচরণবিধির যে ভিয়েনা কনভেনশন আছে, সেটির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে অনুরোধ জানাব ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলার জন্য।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, ভারত কিংবা পাকিস্তানে যখন সহিংসতা হয়, কিংবা আশপাশের অন্য দেশে যখন সহিংসতা হয়, সেখানে রাষ্ট্রদূতেরা এ রকম বিবৃতি দেন না। আমাদের দেশে কেন এ ধরনের বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে? আসলে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজের কেউ কেউ এগুলো দেওয়ার জন্য উসকানি দেয়।
সুতরাং রাষ্ট্রদূতদের এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার আগে তাঁদের যাঁরা “প্রোভোক” করে, তারা এই ক্ষেত্রে দায়ী। তবে অবশ্যই কূটনীতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা প্রয়োজন।’
‘সরকার পদত্যাগ না করলে আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকবে না’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্যে তো এটি স্পষ্ট যে তাঁরা সহিংসতা করতে চায়, সহিংসতা শুরু করেছে। সহিংসতা শুরু করলে সরকার বসে থাকবে না। যারা সহিংসতা করবে, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে, তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে থাকবে।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষিত নানা কর্মসূচি ও মন্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ফেসবুকে দেখলাম যে রিজভী সাহেব ঢাকা-১৭ আসনের একজন প্রার্থীর ব্যাপারে বলেছেন যে, “সে অর্ধ-পাগল, অর্ধ-শিক্ষিত”। কোনো প্রার্থীকে এ রকম অর্ধ-পাগল, অর্ধ-শিক্ষিত বলা সমীচীন নয়।’