শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের নিন্দা

বাম গণতান্ত্রিক জোটছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। আদালতের দোহাই দিয়ে সময়ক্ষেপণ না করে কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান জোটের নেতারা।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এসব দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সমাজের বিভিন্ন অনগ্রসর অংশকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে মূল স্রোতে নিয়ে আসার জন্য বিশ্বজুড়েই কোটাব্যবস্থা চালু আছে। সমাজের নারী, প্রতিবন্ধী, আদিবাসীসহ অনগ্রসর শ্রেণির জন্য কোটাপদ্ধতি থাকা প্রয়োজন; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিদের সুবিধা দেওয়ার নামে ৩০ শতাংশ কোটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবি যৌক্তিক।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে
ছবি: সাজিদ হোসেন

সরকার নির্যাতনের মাধ্যমে আন্দোলনকে দমন করতে চাইছে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, নির্যাতনের নগ্ন প্রকাশ হলো—আজকে ইডেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা। হামলায় ছাত্রফ্রন্টের সুস্মিতা মরিয়ম, অদিতি ইসলাম, ইনজামাম, প্রিয়া, ছাত্রফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) সায়মা আফরোজ, সুমিসহ প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র আহত হয়েছেন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে নেতারা সরকারের প্রতি হামলা, মামলা ও দমন-পীড়নের পথ পরিহার করার দাবি জানান। পাশাপাশি অবিলম্বে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া এবং হামলাকারীদের বিচারের দাবি করেন।

বিবৃতিদাতারা হলেন বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আবদুল আলী।