পর্যবেক্ষকদের ইতিবাচক মন্তব্য দেশ দুটি অনুধাবন করবে, আশা কাদেরের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা পর্যবেক্ষকদের ইতিবাচক মন্তব্য দেশ দুটি অনুধাবন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা অশুভ রাজনীতির পথ অবলম্বন করেছে, তাদের পক্ষে জনগণ থাকেননি। ভবিষ্যতেও থাকবেন না।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে আয়োজিত যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

যৌথসভার শুরুতেই সাংবাদিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। তাঁর বক্তব্যের পর নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতির কথা উল্লেখ করে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, দেশ দুটি বলেছে, বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু বা অবাধ এবং গণতান্ত্রিক হয়নি। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বক্তব্য কী?

উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি এখানে হিট (আঘাত) করে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমি মনে করি, আমেরিকার, কমনওয়েলথের, ওআইসির প্রতিনিধিরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিলেন। আমার মনে হয়, যারা ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছে, তারা তাদের দেশ থেকে যে পর্যবেক্ষকরা এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে পজিটিভ (ইতিবাচক) মন্তব্য করেছেন, তার ভিত্তিতে সেটা অনুধাবন করবেন। ’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। আর যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বিবৃতিতে বলেছে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মানদণ্ড অনুযায়ী হয়নি।

গতকাল ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য মিশনের দুই মুখপাত্র প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য দেশ দুটি থেকে কয়েকজন নাগরিক ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাংলাদেশে এসেছেন। সরকারিভাবে কাউকে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পাঠায়নি।

আজ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে ওই যৌথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ বিপুলভাবে ভোট দিয়ে প্রমাণ করেছেন, যারা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে, ভোটাররা তাদের বর্জন করেছেন। বিএনপির জনবিচ্ছিন্নতা মাত্রাতিরিক্ত। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে বিএনপি ও জামায়াতের যে তথাকথিত আন্দোলন, তাতে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছেন না তাঁরা।

বিএনপির চলমান আন্দোলনকে দল বাঁচানোর অপকৌশল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, কোনো অপশক্তি বা ষড়যন্ত্র দেশের বা আওয়ামী লীগের যাতে কোনো ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকে দল সর্বদা সতর্ক থাকবে। সবকিছু মোকাবিলা করেই আওয়ামী লীগ এই বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণে। আগামী দিনেও সব অপকৌশলকে পরাজিত করে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে আওয়ামী লীগ।

আরও পড়ুন

দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের ঠান্ডা মাথায় চলতে হবে। কোথাও সহিংসতা সংঘাতে জড়ানো যাবে না। ২০২৪ সালে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যৌথসভায় বলেন, ‘আমাদের মূল কাজ হবে ইশতেহারে দেওয়া অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা।’

যৌথসভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন