২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

পুরান ঢাকায় লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে হামলার শিকার ইশরাক

রাজধানীর পুরান ঢাকায় লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে আজ রোববার হামলার শিকার হন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর পুরান ঢাকায় লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ইশরাক হোসেনের।

১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সমাবেশ ঘিরে পুরান ঢাকায় লিফলেট বিতরণ করতে গিয়েছিলেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ১ নম্বর সদস্য ইশরাক। তিনি বলেন, ‘পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা লিফলেট বিতরণ করতে যাই। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে আমাদের কর্মসূচি শেষ হয়। তখন গাড়িতে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসী ইট-পাটকেল, রড, হকিস্টিক নিয়ে হামলা চালায়।’

হামলায় বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাব্বির আহমেদ আরিফ, সাবেক কাউন্সিলর আবদুল কাদির, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ জনিকে রাজধানীর একটি হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলায় বিএনপির ছয়-সাতজন আহত হয়েছেন উল্লেখ করে ইশরাক হোসেন বলেন, তাঁদের মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হামলার সময় বিএনপির নেতা-নেত্রীদের নাম ধরে গালি দেন হামলাকারীরা। এ ছাড়া তাঁদের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

ইশরাক হোসেন জানান, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তারা। পুলিশের সামনেই তাঁর গাড়ি ভাঙচুর চালায় তারা এবং নেতা–কর্মীদের ওপরও হামলা চালিয়ে আহত করেছে। এ সময় পুলিশ ছাত্রলীগকে থামানোর পরিবর্তে উল্টো বিএনপি নেতা–কর্মীদেরই আটকের অভিযোগ করেন ইশরাক হোসেন।

পরে সেখান থেকে বিএনপি কার্যালয়ে আসেন ইশরাক হোসেন। এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘যতই হামলা করুক না কেন, যেকোনো মূল্যেই আমরা ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ সফল করব।’

বেলা একটার দিকে বিএনপি নেতা–কর্মীদের নিয়ে রাজধানীর গোপীবাগ থেকে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেন ইশরাক হোসেন। জনসংযোগ সহযোগে মিছিলটি রাজধানীর ওয়ারী, বংশাল, রথখোলা মোড়, রায়সাহেব বাজার ও ইসলামপুর হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় পুরান ঢাকার ওয়ারী থানা, বংশাল ও কোতোয়ালি থানায় গিয়ে সমাবেশ উপলক্ষে নেতা–কর্মীদের পুলিশি হয়রানি না করতে পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আহ্বানও জানান তিনি।

জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি প্রথম আলোকে বলেন, ইশরাক হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নাশকতা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করেছেন। তাঁর সঙ্গে থাকা কর্মীদের হামলায় ছাত্রলীগের ১০ জন আহত হন। শাখা ছাত্রলীগ তাঁদের ধাওয়া দিয়ে পুরান ঢাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সে দিন বরিশালে যাওয়ার পথে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারে ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।