আসুন, রাজপথে মোকাবিলা হবে: কাদের
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর যেকোনো ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি রাজপথে মোকাবিলা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা রাজপথের পুরাতন খেলোয়াড়। বিএনপি তো এই পথে নতুন। আসুন, রাজপথে মোকাবিলা হবে, ফয়সালা হবে।’
বিএনপিকে আগুন নিয়ে না খেলার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আগুন নিয়ে খেলতে এলে পরিণাম হবে ভয়াবহ।
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির জনক হতে পেরেছেন তাঁর পাশে সহযোদ্ধা-সহযাত্রী হিসেবে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের মতো মহীয়সী নারী ছিলেন বলেই। তাঁর মতো প্রজ্ঞা ও ধৈর্যশীল নারী না থাকলে একটি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দেওয়া জাতির জনকের জন্য অত্যন্ত দুরূহ হতো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে বঙ্গমাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওবায়দুল কাদের। পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি বঙ্গমাতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, আবদুর রহমান ও এ এইচ এম খাইরুজ্জমান লিটন; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম; মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস; প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান প্রমুখ।
বঙ্গমাতা ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক। মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির জনকের হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন তিনি।