দেশে ফিরে রওশন বললেন, আলোচনা করে ভুল-বোঝাবুঝি দূর করবেন
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। আজ রোববার দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন রওশন এরশাদ। জাপা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রওশন এরশাদ। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, জি এম কাদেরসহ দলের সবার সঙ্গে আলোচনা করে ভুল–বোঝাবুঝির অবসান ঘটানো হবে।
দলটির প্রেস উইং থেকে গত শুক্রবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এবারও দেশে ফিরে রওশন এরশাদ রাজধানীর গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে উঠবেন।
গত জুনে রওশন এরশাদ একবার ব্যাংকক থেকে দেশে এসেছিলেন। তখনো তিনি গুলশানের নিজের বাসায় না উঠে ওয়েস্টিন হোটেলে ছিলেন। সেখান থেকেই গত ৫ জুলাই তিনি আবার চিকিৎসার জন্য ব্যাংক যান।
রওশন এরশাদ এমন একসময় দেশে ফিরেছেন, যখন তাঁর সম্মেলন আহ্বানকে কেন্দ্র করে জাপায় বিভক্তি ছড়িয়েছে। বিভক্তির জেরে সম্প্রতি জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ দলের সব পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় মসিউর রহমানকে (রাঙ্গা)।
জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হকের করা এক মামলায় গত ৩০ অক্টোবর আদালত জাপার চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা জি এম কাদেরের ওপর দলীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই জাপার সব কার্যক্রমের ওপর বাধ্যতামূলক নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা হয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে জি এম কাদের রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের প্রার্থীর মনোনয়ন ফরমে স্বাক্ষর করতে পারছেন না।
২৯ নভেম্বর প্রার্থী মনোনয়নের শেষ দিন। ইতিমধ্যে মোস্তাফিজার রহমানকে জাপার মেয়র পদপ্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এখন রওশন এরশাদ দেশে ফিরে যদি নতুন করে অন্য কাউকে প্রার্থী ঘোষণা করেন বা লাঙ্গল প্রতীক দেন, তাতে জটিলতা আরও বাড়বে।
রওশন এরশাদকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেনসহ দলের কিছু নেতা-কর্মী। এ ছাড়া জাপার বহিষ্কৃত নেতা জিয়াউল হক, মসিউর রহমান, গোলাম মসীহ উপস্থিতি ছিলেন।