দুদক সংস্কারে গণ অধিকার পরিষদের ২২ দফা প্রস্তাবনা

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামানের কাছে দুদকের সংস্কার নিয়ে নিজেদের প্রস্তাবনা জমা দেনছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারে ২২ দফা প্রস্তাব দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। দুদক আইনের সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রকৃত স্বাধীন, জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করেছে তারা।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামানের কাছে প্রস্তাবনা জমা দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ।

গণ অধিকার পরিষদের ২২ দফা প্রস্তাবনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিসিএসে দুদকের জন্য স্বতন্ত্র ক্যাডার চালু করা। প্রতিটি জেলায় দুদকের নিজস্ব কার্যালয় স্থাপন করা। দুদকের নিজস্ব বাহিনীর মাধ্যমে দুর্নীতি নির্মূলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা ও দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করা।

প্রস্তাবনায় রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে সার্চ কমিটির আইন প্রণয়ন ও সার্চ কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলা উল্লেখ করা হয়েছে। সার্চ কমিটি দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সদস্যসংখ্যার দ্বিগুণ নাম চূড়ান্ত করে গণমাধ্যমে প্রচার ও গণশুনানির মাধ্যমে নাম চূড়ান্ত করবেন। রাষ্ট্রপতি এসব নাম থেকে চেয়ারম্যান ও কমিশনার নিয়োগ করবেন। দুদকের সচিবও সার্চ কমিটির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনে একজন চেয়ারম্যান, আটজন কমিশনার রাখার প্রস্তাবনা দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। দুদক সংস্কারে প্রতিটি থানায় দুদকের অভিযোগ বক্স থাকবে, যাতে যে কেউ সহজে অভিযোগের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজের সন্ধান দিতে পারে। দুদকের হটলাইন ১০৬–কে আরও কার্যকরী করতে হবে এবং অভিযোগকারীর তথ্য সব সময় গোপন রাখতে হবে বলে মনে করে দলটি।

দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অভিযুক্তের সব অর্থসম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ। দুদকের ন্যূনতম একজন করে দক্ষ কর্মকর্তাকে বাংলাদেশের বিদেশি দূতাবাসগুলোতে ও দেশের বিভিন্ন দুর্নীতিপ্রবণ হাবগুলোতে বসাতে হবে। মানি লন্ডারিং অপরাধ দমন ও প্রতিরোধের জন্য বিদেশি মিশনগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে হবে; যাতে অর্থ পাচার রোধ ও পাচারকৃত অর্থ সহজে দেশে ফেরত আনা যায়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সহসভাপতি নাজমুস সাকিব, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক  মো. মোমিনুল ইসলাম, পেশাজীবী অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক  মো. মেহেদী হাসান।