হামলা, বাধা অব্যাহত
বিএনপির ওপর মারমুখী আ.লীগ
নরসিংদীতে পুলিশের রাবার বুলেটে বিদ্ধ বিএনপির ২৭ নেতা-কর্মী। যশোরে তরিকুল ইসলামের বাড়ি ও দলীয় কার্যালয়ে হামলা।
২২ আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত বিএনপির ১৯ কর্মসূচিতে হামলা।
আটটি স্থানে বিএনপি নেতাদের বাড়িঘরে হামলা।
দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি, ৮ উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি।
ছয়টি স্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা।
বিএনপিকে মাঠে দাঁড়াতে দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গতকালও দুটি জেলায় বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছেন সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা। এর মধ্যে নরসিংদীর মনোহরদীতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হামলার পাশাপাশি পুলিশও গুলি ছুড়েছে। এতে ২৭ নেতা-কর্মী রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
এদিকে গতকাল রোববার যশোরে আবারও বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। তরিকুলের ছেলে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলামের গাড়িতেও হামলা হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে যশোর জেলা বিএনপির কার্যালয়।
বিএনপির পর আওয়ামী লীগও পাল্টা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়ায় গতকাল তিনটি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি ছিল। ফলে সেখানে কর্মসূচি বাতিল করেছে বিএনপি। ভোলা, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
‘আমাদের ২৭ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ১১ জন আহত হয়েছেন।’সরদার সাখাওয়াত হোসেন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ২২ আগস্ট থেকে ঢাকার বাইরে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। এরপর থেকে গতকাল পর্যন্ত টানা সাত দিনই বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মারমুখী অবস্থানে দেখা গেছে।
এই কয়েক দিনে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ১৯টি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আটটি স্থানে বিএনপি নেতাদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে হামলা হয়েছে চারটি স্থানে। দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণার কারণে আটটি উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ছয়টি স্থানে বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দেয় পুলিশ।
নরসিংদীতে পুলিশের গুলি, আ.লীগের হামলা
নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হেতেমদী মোড়ের সমাবেশস্থলে যাচ্ছিলেন কর্মী-সমর্থকেরা। হেতেমদী মোড়সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের ২৭ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ১১ জন আহত হয়েছেন।’
তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ রায় প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। আর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইমন আলমের ভাষ্য, বিএনপি যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে, সে জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অবস্থান ছিল।
জানতে চাইলে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিলে অংশ নেওয়ায় তাঁদের সড়কে না যেতে অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। বাধ্য হয়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছোড়ে। এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তরিকুলের বাড়িতে হামলা, কার্যালয় ভাঙচুর
বিএনপির প্রয়াত নেতা তরিকুল ইসলামের যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাড়িতে আওয়ামী লীগের কর্মীরা আবারও হামলা চালিয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলামের গাড়ি এবং দলটির জেলা কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তরিকুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিস বেগম যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক।
এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাতে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে শাসকগোষ্ঠী। এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা সারা দেশে বেপরোয়া সহিংসতা চালাচ্ছেন। যার ধারাবাহিকতায় অনিন্দ্য ইসলামের ওপর আক্রমণ চালিয়েছেন।
অনিন্দ্য ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দড়াটানা মোড়ে ২৫ থেকে ৩০ জন পুলিশ সদস্যের সামনে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের লোকজন আমার গাড়িতে হামলা করেন। ওই সময় যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন এবং পৌর কাউন্সিলর জাহিদুর রহমানকে দেখেছি। তাঁরা হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। এরপর আমার বাড়িতে হামলা হলো দিনদুপুরে। ওই সময় পুলিশে কল করা হলে হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ আসে।’
অভিযোগের বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিএনপি কর্মীদের নিয়ে অনিন্দ্য ইসলাম প্রথমে দড়াটানা মোড়ে এবং পরে তাঁর বাড়ি ও লালদীঘিপাড়ের দলীয় কার্যালয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন। আমরা তা প্রতিহত করেছি।’
এর আগে গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত যশোরে তরিকুল ইসলামসহ বিএনপির চার নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। শনিবার সদর উপজেলার রুপদিয়া বাজারে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ চলার সময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
বিএনপির নেতারা ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা একটি মামলায় বিএনপির গ্রেপ্তার ২৮ নেতা-কর্মীকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়। এ জন্য অনিন্দ্য ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন বিএনপি নেতা আদালতে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে অনিন্দ্য ইসলামের গাড়িতে হামলা হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অনিন্দ্য ইসলামের বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে কিছু ইটপাটকেল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বিএনপির কর্মীদের হাতে বাঁশের লাঠিসোঁটা দেখা গেছে। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুলিশের সামনে গাড়িতে হামলার বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সেখানে ওই সময়ে পুলিশ ছিল কি না, তা আমার জানা নেই।’
তিন জেলায় হামলা, বাধা
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর বিএনপির কার্যালয়ে গতকাল রাত আটটার দিকে হামলার ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে বিএনপির তালাবদ্ধ কার্যালয় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল আজিজ মুসুল্লীর। তবে আওয়ামী লীগ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
টাঙ্গাইলের কালিহাতী বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গতকাল দুপুরে আয়োজিত সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
এতে অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসানুজ্জামিল ও ফরহাদ ইকবাল। তাঁরা বলছেন, সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীদের ১৭টি মোটরসাইকেল, ৪টি বাস ও ৬টি পিকআপ ভাঙচুর করা হয়।
কর্মসূচি পালনের জন্য বোরহানউদ্দিন উপজেলায় যাওয়ার পথে ভোলা শহরের যুগীরঘোলা এলাকায় গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের বহর আটকে দেয় পুলিশ।
উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশটি হওয়ার কথা ছিল। দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিনে কর্মসূচির অনুমতি না থাকায় বাধা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভোলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
তিন উপজেলায় ১৪৪ ধারা
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে গতকাল কক্সবাজারের পেকুয়া, রাঙামাটির কাপ্তাই ও ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারির কারণে কর্মসূচি বাতিল করে বিএনপি। তবে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে খণ্ড খণ্ড মিছিল করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। কাপ্তাই ও পীরগঞ্জে কর্মসূচি বাতিল করে দুই দলই।
দুই উপজেলায় পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আজ সোমবার বিকেলে জনসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। একই সময়ে একই স্থানে প্রতিবাদ ও শোকসভার ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
এর আগে গত বুধবার একই স্থানে সমাবেশ করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু একই সময়ে ও স্থানে আওয়ামী লীগ শোকসভা ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করলে বিএনপি কর্মসূচি স্থগিত করে।
ফেনীর সোনাগাজীতে সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই স্থানে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
মাগুরা ও নোয়াখালীতে দুই মামলা
মাগুরায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে শনিবার হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার বাদী আদর্শ কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ মোল্লা। বোমা হামলা, ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে এই মামলায় বিএনপির ৩৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
যদিও বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, গত শনিবার সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির ডাকা সমাবেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। বোমা হামলাসহ অস্ত্র প্রদর্শনের যে অভিযোগে বিএনপির নেতাদের নামে মামলা হয়েছে, সেই ঘটনাগুলো ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই ঘটিয়েছেন।
ঘটনাস্থল থেকে আটক বিএনপির ছয় নেতা-কর্মীকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ এম এম মাহবুব উদ্দিনসহ ৯৪ জনের নামে মামলা হয়েছে।
শনিবার রাতে মামলাটি করেছে সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক শাহ আলম। এতে অজ্ঞাত আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই বিএনপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সোনাইমুড়ী থানার ওসি হারুন অর রশিদ।
বেশ কিছুদিন ধরেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নিরুত্তাপ অবস্থা বিরাজ করছিল। বিরোধীদের কর্মসূচি বিষয়েও কিছুটা নমনীয় অবস্থানে ছিল সরকার। এর মধ্যে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং ও ভোলায় গুলিতে দুই নেতা নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি ১১ আগস্ট নয়াপল্টনের সমাবেশে বড় জমায়েত করে।
এর পাল্টা হিসেবে ১৭ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে বড় সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। সেখান থেকে বিএনপিকে রাজপথে মোকাবিলা করার ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
এই ‘মোকাবিলার’ অংশ হিসেবেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে হামলা চলছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী, টাঙ্গাইল ও প্রতিনিধি, নরসিংদী, মাগুরা, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, সোনাগাজী, চকরিয়া, রাঙ্গুনিয়া, পীরগঞ্জ, গোয়ালন্দ, কলাপাড়া এবং যশোর অফিস]