আসন্ন পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে তিনটিতেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী বদল করেছে। গাজীপুর, সিলেট ও বরিশালে প্রার্থী বদল করা হয়েছে। রাজশাহী ও খুলনাতে বর্তমান মেয়রকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুরে সাময়িক বরখাস্ত বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সেখানে মনোনয়ন পেয়েছেন আজমত উল্লাহ খান।
বরিশালে চাচা–ভাতিজার লড়াইয়ে দলের সমর্থন গেছে আবুল খায়ের আবদুল্লাহর ওপর। তাঁর ভাতিজা ও বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবত সাদিক আবদুল্লাহ বাদ পড়েছেন।
করোনা মহামারির সময় বদরউদ্দিন আহম্মেদ কামরান মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন সিলেট সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন। এবার নতুন প্রার্থী দিতেই হতো। তবে যে আনোয়ারুজ্জামানকে প্রার্থী করা হয়েছে, তা অনেকটা চমকই বটে। কারণ, তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ভোট করার আগ্রহ দেখিয়ে কয়েক মাস ধরে দৌড়ঝাঁপ করছেন। এই সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে ১০ জন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।
আনোয়ারুজ্জামান ছাড়া বাকি সবাই স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। আগে থেকেই স্থানীয় নেতারা বলে আসছেন, আনোয়ারুজ্জামানকে ছাড়া স্থানীয় যে–কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হলে বাকিরা একযোগে কাজ করবেন। এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের মধ্যে থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন কেউ কেউ।
রাজশাহীতে বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জমান লিটন এবং খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেককেই রেখে দেওয়া হয়েছে। এই দুই সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীর সংখ্যাও কম ছিল।
পাঁচ সিটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ৪১ জন নেতা–কর্মী দলীয় ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বাধিক ১৭ জন আগ্রহী হয়েছিলেন।
কেন্দ্রীয় ও গাজীপুর আওয়ামী লীগের সূত্র বলছে, গাজীপুরে আজমত উল্লাহকে মনোনয়ন দেওয়ায় জাহাঙ্গীর আলম বিদ্রোহী প্রার্থী হন কি না, এই আলোচনা আছে। আর বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে দেওয়ার পেছনে পারিবারিক ‘সহানুভূতি’ কাজ করেছে। কারণ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগনে হিসেবে আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর পরিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে দীর্ঘদিন প্রভাব বিস্তার করে আসছে। তাঁর ভাই হয়েও আবুল খায়ের আবদুল্লাহর তেমন কোনো পদ–পদবি নেই। এ জন্য পরিবারের সদস্য হিসেবে এবার তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের সহানুভূতি পেয়েছেন।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ হবে। খুলনা ও বরিশালে ভোট হবে আগামী ১২ জুন। আর ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেটের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।