আওয়ামী লীগের ৪৯ যুব–তরুণ নেতা চীন সফরে গেছেন
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন এবং তরুণ নেতাদের একটি প্রতিনিধিদল শনিবার বিকেলে চীন সফরে গেছে। ৪৯ সদস্যের এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয়।
প্রতিনিধিদলটি চীনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ঝেজিয়াংয়ে অবস্থান করবে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা মূলত ছাত্র ও যুবনেতা। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি তাদের আমন্ত্রণপত্রে ছাত্র, যুব ও নারী নেতাদের প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করেছে। তাই প্রতিনিধিদলের সদস্যদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, যুব মহিলা লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের তথ্যভান্ডার তৈরিতে যুক্ত ওয়েব টিমের সদস্যরাও আছেন এই দলে। তাঁরা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, এরপর ২৫ জুন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর নেতৃত্বে আরেকটি দল চীন সফরের কথা রয়েছে।
গত বছরের ২২ মে এবং ৮ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বিমানমন্ত্রী ফারুক খানের নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা দুবার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে সে দেশ সফর করেন। ফারুক খান এর আগেও আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে চীন সফর করেছেন।
২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর প্রয়াত সদস্য আবদুল মতিন খসরুর নেতৃত্বে ২০ সদস্যের দল চীন সফর করে। এতে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আওয়ামী লীগের দাপ্তরিক কাজের জন্য কম্পিউটারসহ নানা সামগ্রী উপহারও দিয়েছে।
২০১৯ সালের ২১ মার্চ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। আওয়ামী লীগের আমন্ত্রণে সে সময় চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে দলটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মন্ত্রী সং তাও এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ সমঝোতা স্মারকে সই করেন। বাংলা, চায়নিজ ও ইংরেজি ভাষায় এই স্মারক সই করা হয়।
এতে বলা হয়, সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, সম-অধিকার, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ের হস্তক্ষেপ না করার ভিত্তিতে দুই বন্ধুপ্রতিম দল পারস্পরিক বিনিময় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দলীয় সম্পর্ক এবং ‘চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত সহায়তা ও অংশীদারত্ব’ আরও জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করবে। দুই সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট আলোচনা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে যোগাযোগ ও সহায়তা জোরদার করারও কথা বলা হয়।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের বামপন্থী শরিক দলের নেতাদেরও সাম্প্রতিক সময়ে চীন সফর বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১৪-দলীয় জোটের শরিকদের ৯ সদস্যের একটি দল চীন সফর করে দেশে ফিরেছে। এই দলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতারসহ শীর্ষ নেতারা ছিলেন। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও এসব নেতা চীন সফরে যান।