শওকত মাহমুদের ব্যাখ্যা চায় বিএনপি
রাজধানীতে সমাবেশ করে সরকার পতনের ডাক দেওয়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিএনপি। দুই বছর আগে একই ধরনের ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
আজ বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে শওকত মাহমুদকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ভাইস চেয়ারম্যান পদে থেকেও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে বিভিন্ন ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন এবং সেগুলোতে তিনি অংশগ্রহণ করছেন—যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানিয়ে পাঁচ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শওকত মাহমুদের নেতৃত্বে ‘পেশাজীবী সমাবেশ’ হয়। ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির’ দাবিতে এই সমাবেশ থেকে সরকার পতনের ডাক দেন শওকত মাহমুদ। সেখানে তিনি বলেন, রাজনীতিবিদেরা যদি ব্যর্থ হন, তাহলে পেশাজীবীরা গণ-অভ্যুত্থানের দায়িত্ব নেবেন। শিগগিরই পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন জানিয়ে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকারও আহ্বান জানান শওকত মাহমুদ।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে এ সমাবেশ আয়োজনের জন্য শওকত মাহমুদের ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। শওকত মাহমুদ সাংবাদিক ও পেশাজীবী নেতা।
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, সরকার পতনের আন্দোলনের নামে এ ধরনের তৎপরতার পেছনে সরকারের ষড়যন্ত্র রয়েছে। এ কারণে দলের উচ্চপর্যায় থেকে অনেককে ফোন করে সেই সমাবেশে যেতে নিষেধ করা হয়।
এ বিষয়ে শওকত মাহমুদ বলেছেন, ‘আমি চিঠি পেয়েছি। দল আমার কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে। যেহেতু আমি দল করি এবং একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আছি, তাই যথাসময়েই আমি ব্যাখ্যা দেব।’
এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছিল। তখন শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এবং হাফিজউদ্দিন আহমেদকে পাঁচ দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়। দুজনই ওই নোটিশের জবাব দিয়েছিলেন।