ভাইয়ের উত্তরসূরি হতেই কাদের মির্জা মাঠে
নোয়াখালীতে বিশেষ করে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট এলাকায় আলোচনা আছে, দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন ওবায়দুল কাদের। সে ক্ষেত্রে তাঁর নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনটি শূন্য হবে। তখন ওই আসনে দল থেকে কে নির্বাচন করবেন? কে হবেন ওবায়দুল কাদেরের রাজনৈতিক উত্তরসূরি? স্ত্রী, ভাই, না অন্য কেউ? এ নিয়ে পরিবার আর পরিবারের বাইরের নানামুখী তৎপরতা ও আশঙ্কা থেকে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে মাঠে নামেন আবদুল কাদের মির্জা।
আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। তিনি বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়রও। আড়াই মাস আগে তিনি হঠাৎ ভাই ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত নোয়াখালী সদর ও ফেনী সদর আসনের দুই সাংসদসহ দুই জেলার আরও কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। অভিযোগের তির ছোড়েন ভাই ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রীর দিকে। শেষে ওবায়দুল কাদেরকেও ‘এলাকায় অপরাজনীতির পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া’র জন্য অভিযুক্ত করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এ জন্যই তো তাঁর বউ এত বেপরোয়া, তিনি এমপি হবেন। তবে আমার মনে হয় না নেত্রী (শেখ হাসিনা) এই ভুল করবেন।আবদুল কাদের মির্জা
স্থানীয় রাজনীতিক এবং কাদের মির্জার কর্মকাণ্ড যাঁরা অনুসরণ করছেন, তাঁরা প্রথম আলোকে বলেছেন, এখানে উপজেলা, পৌর ছাত্রলীগসহ মূল দল এবং অঙ্গসংগঠনের সব কমিটিই মির্জা কাদেরের নিয়ন্ত্রণে। মূলত ওবায়দুল কাদের জাতীয় রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকায় তাঁর পক্ষে ভাই কাদের মির্জাই এলাকায় সবকিছু দেখভাল করতেন। কিন্তু ওবায়দুল কাদের যখন মুমূর্ষু অবস্থায় সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তখন তাঁর স্ত্রী ইশরাতুন্নেছা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকে অনুরোধ করেন। ভাবির এই তৎপরতা কাদের মির্জার মনে সন্দেহ জাগায়। সর্বশেষ ওবায়দুল কাদেরের রাষ্ট্রপতি হওয়ার আলোচনা কাদের মির্জার পুরোনো সন্দেহকে ঘনীভূত করে এবং ভাইয়ের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার প্রশ্নে নিজের অবস্থান পোক্ত করতে মাঠে নামেন তিনি।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল শপথ নেন। সে হিসেবে রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ২৩ এপ্রিল। দেশের জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। কে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হবেন, তা নিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগেও কোনো আলোচনা আছে বলে শোনা যায়নি।
কিন্তু গত মঙ্গল ও বুধবার ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলায় ঘুরে ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রপতি হবেন—এমন গুঞ্জন শোনা গেছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ ছয়জন নেতা এবং স্থানীয় প্রশাসনের দুজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে নোয়াখালীতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। গুঞ্জনের সত্যতা নিশ্চিত করে তাঁরা বলেছেন, এই আলোচনা এখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে কবিরহাট বাজারে কথা হয় কবিরহাট সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আল আমীনের সঙ্গে। এর আগে সকালে বসুরহাট বাজারে কথা হয় ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা খিজির হায়াত খানের সঙ্গে। দুই উপজেলার নবীন ও প্রবীণ দুই বাসিন্দাই জানান, ওবায়দুল কাদেরের রাষ্ট্রপতি হওয়ার আলোচনা তাঁরাও শুনেছেন। বিষয়টি নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয়েছে কি না জানতে চাইলে খিজির হায়াত খান হেসে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব রাষ্ট্রপতি হতে পারেন, এটা আমি শুনেছি। এর বেশি কিছু জানি না, বলতেও চাই না।’
এলাকায় ওবায়দুল কাদেরের রাষ্ট্রপতি হওয়ার আলোচনার কথা স্বীকার করেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান ওরফে বাদলও। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের যদি প্রেসিডেন্ট হয়ে যান তাহলে ওনার ওয়াইফ (স্ত্রী) এখানে এমপি ইলেকশন করবেন, কে বা কারা এটা কাদের মির্জার মাথায় ঢুকিয়েছে। এখানে টাকাপয়সার কিছু ব্যাপার থাকলেও কাদের মির্জার এসব কর্মকাণ্ডের মূল কারণ এটাই।’
জানতে চাইলে আবদুল কাদের মির্জা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এ জন্যই তো তাঁর বউ এত বেপরোয়া, তিনি এমপি হবেন। তবে আমার মনে হয় না নেত্রী (শেখ হাসিনা) এই ভুল করবেন।’
বসুরহাট পৌরসভার নির্বাচন হয় গত ১৬ জানুয়ারি। আবদুল কাদের মির্জা ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন। সেদিন কাদের মির্জার একটি বক্তব্য ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে আলোচনার ঝড় ওঠে। তাঁর সেই বক্তব্যের সারসংক্ষেপ ছিল, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বৃহত্তর নোয়াখালীতে দু-তিনজন ছাড়া আওয়ামী লীগের এমপিরা পালানোর জন্য দরজা খুঁজে পাবে নান। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনেরও দাবি তোলেন।
ভাইয়ের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার প্রশ্নে ক্ষোভ থাকলে তা পরিবারের মধ্যেই রাখতে পারতেন কাদের মির্জা। পার্শ্ববর্তী সংসদীয় আসন ও পাশের জেলার সাংসদকে কেন এতে জড়ালেন তিনি? এই প্রশ্নের জবাবও পাওয়া গেছে এলাকায় ঘুরে। ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ আসন দুই উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট নিয়ে গঠিত। ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি কোম্পানীগঞ্জে। এখানে দলীয় নিয়ন্ত্রণ কাদের পরিবারের হাতে। পাশের উপজেলা কবিরহাটের নিয়ন্ত্রণ নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর হাতে। কারণ, তাঁর গ্রামের বাড়ি কবিরহাটে।
অতীতে ভোটের ফলাফলে দুই উপজেলায় দুজনের জনপ্রিয়তা দেখা গেছে। অবস্থা এমন, সুষ্ঠু ভোটে এই আসনে জিততে হলে একরাম চৌধুরীকে হাতে রাখতে হবে। ২০০১ সালের নির্বাচনে একরামুল করিম চৌধুরী এই আসনে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে প্রায় ৪০ হাজারের বেশি ভোট পান। জয়ী হন বিএনপির প্রার্থী মওদুদ আহমদ।
স্থানীয় রাজনীতিকেরা জানান, একরামুল করিম চৌধুরী সদর আসন (নোয়াখালী-৪) থেকে পরপর তিনবার সাংসদ হলেও নিজ জন্মস্থান কবিরহাটকে তিনি হিসাব থেকে বাদ দেননি। তাঁর স্ত্রী কামরুন্নাহার এখন কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরীকেও রাজনীতিকে সম্পৃক্ত করছেন তিনি। মায়ের নির্বাচনের সময় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার কাজে সক্রিয় ছিলেন সাবাব। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে সাবাবকে যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছিল। যদিও সমালোচনার মুখে এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হয়।
গত শুক্রবার নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জব্বরে সাংসদ একরাম দলীয় কর্মীদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন নোয়াখালী কে চালায়? প্রধানমন্ত্রীর এক ঘনিষ্ঠজনকে আমি জানিয়ে দিয়েছি, নোয়াখালী আমি চালাই।’ তবে এর আগে কাদের মির্জা-সংকট নিয়ে কথা বলার সময় সাংসদ একরাম প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘এটা কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের ব্যাপার। ওবায়দুল কাদের রাজনীতির উচ্চ শিখরে আছেন। আমি মনে করি, উনি এমন কোনো সিদ্ধান্ত দেন না বা নেন না, যা দল ও পরিবারের ওপর আসতে পারে। সেখানে যা হয়েছে, তা ব্যক্তিবিশেষের ব্যাপার।
দ্বন্দ্ব পুরোনো, প্রেক্ষাপট নতুন
স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওবায়দুল কাদেরের স্ত্রী ইশরাতুন্নেসার সঙ্গে দেবর কাদের মির্জার দ্বন্দ্ব শুরু হয় প্রায় দুই বছর আগে। তার প্রথম প্রকাশ ঘটে কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইশরাতুন্নেসা কাদের প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ওরফে বাদলকে। কিন্তু কাদের মির্জার বিরোধিতায় তিনি মনোনয়ন পাননি। সেখানে মির্জার প্রার্থী সাহাবউদ্দিন জয়ী হন। আবার পাশের কবিরহাট উপজেলায় ইশরাতুন্নেসার সমর্থন ছিল দলের বিদ্রোহী প্রার্থী আলা বক্স তাহেরের (টিট) পক্ষে। কাদের মির্জা সমর্থন দেন নোয়াখালীর সাংসদ একরাম চৌধুরীর স্ত্রী কামরুন্নাহারকে। নির্বাচনে জিতেন কামরুন্নাহার।
দেবর-ভাবির সম্পর্কের এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ওবায়দুল কাদের অসুস্থ হলে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। কাদের মির্জার ভাষ্য, ভাই সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার পর তিনি ভাইকে দেখতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকার বাসায় যান। কিন্তু ভাবি তাঁকে বাসা থেকে বের করে দেন। এরপর গত জানুয়ারিতে পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র হওয়ার পর ঘনিষ্ঠ নেতা-কর্মীদের নিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে তিনি আবার ঢাকায় ভাইয়ের বাসায় যান। এবার ওবায়দুল কাদেরের ব্যক্তিগত সহকারী তাঁদের বলেন, করোনার সময় ওবায়দুল কাদের বাসায় দেখা করবেন না। তাঁদের আওয়ামী লীগ অফিসে যেতে উপদেশ দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার শতাধিক নেতা-কর্মী পরিবেষ্টিত কাদের মির্জা তাঁর পৌরসভার কার্যালয়ে আক্ষেপ করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওরা দেখেছে, এমনিতেই আমি কালো মানুষ, লজ্জায় সেদিন আমার মুখ আরও কালো হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কিচ্ছু বলিনি, চলে এসেছি। অথচ নিজাম হাজারী, স্বপন মিয়াজীরা বাসায় যায়, খায়। কেন? কোম্পানীগঞ্জের মানুষের সঙ্গে দেখা করলে করোনা হবে, ফেনীর মানুষের করোনা নেই?’ নিজাম হাজারী ফেনীর সাংসদ আর স্বপন মিয়াজী ফেনী পৌরসভার মেয়র।
উভয়সংকটে ওবায়দুল কাদের
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান বলেন, ‘মির্জা মনে করে সে-ই একমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচনে জিতেছে। ইভিএমে ৬৬ পার্সেন্ট ভোট পেয়ে মনে করছে শেখ হাসিনার পর সে-ই জনপ্রিয় ব্যক্তি। ওবায়দুল কাদেরকে পর্যন্ত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছে। পোলাপাইন স্লোগান দিচ্ছে কাদের ভাই, কাদের ভাই। সে ধমক দিয়ে বলে, চুপ কর, দুর্নীতিবাজের জন্য কিসের স্লোগান। এবার বুঝেন অবস্থা।’
স্থানীয় রাজনীতিকেরা বলছেন, প্রথম দিকে পুরো বিষয়ে নীরব থাকলেও পরিস্থিতি বুঝে ওবায়দুল কাদের ভাইকে চাপে রাখার পথে হাঁটেন। কোম্পানীগঞ্জসহ ফেনী, সোনাগাজী, দাগনভূঞা আওয়ামী লীগের নেতাদের ব্যবহার করে মির্জাকে চাপে রাখেন তিনি। অবশ্য এলাকায় এমন কথাও আছে, শুরুতে কাদের মির্জার তৎপরতায় ওবায়দুল কাদেরের সায় ছিল। কিন্তু মির্জা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় তিনি দূরে সরে গেছেন। কাদের মির্জা প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ওবায়দুল কাদের আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। আমি ধরিনি।...প্রশাসন দিয়ে এখন তিনি আমাকে চাপে রাখতে চাইছেন।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা করে প্রথম আলো। তাঁকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। পরে তাঁর মুঠোফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠানো হয়। তাতেও সাড়া না দেওয়ায় ওবায়দুল কাদের ও তাঁর মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছেরের ই-মেইলে প্রশ্ন পাঠানো হয়। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ই-মেইলের জবাব না পেয়ে আবার মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তাকে মোবাইলে ফোন করা হয়। তখন তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর পাঠানো ই-মেইলের বিষয়ে মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। মন্ত্রী মহোদয় ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ভাই কাদের মির্জার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেছেন, বিষয়গুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধানের নজরে আছে, উনি দেখবেন। আর এলাকায় তাঁর (সেতুমন্ত্রী) রাষ্ট্রপতি হওয়ার আলোচনার বিষয়ে বলেছেন, এসব অপপ্রচার, গুজব। মহামান্য রাষ্ট্রপতির এখনো মেয়াদ আছে। এ ছাড়া এ পদের জন্য তিনি নিজেকে যোগ্য মনে করেন না।