নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন
বিতর্কিত প্রার্থীদের ঘিরে শঙ্কা
২৭ ওয়ার্ডের ২১টিতে ২৯ কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, গুম, খুন, চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা।
৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা, ৬ জনের বিরুদ্ধে মাদক, ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ৪ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ‘কাকা’ তৈমুর আলম খন্দকার ও ‘ভাতিজি’ সেলিনা হায়াৎ আইভীর লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত অশান্তির কিছু হয়নি। দুই পক্ষে হাঙ্গামার তেমন আলামতও প্রকাশ পায়নি এখনো। তবে নানা শঙ্কা, ভয়, উদ্বেগ কাউন্সিলর পদে ভোট নিয়ে। খোদ সরকারি সংস্থাগুলোই অন্তত আটটি ওয়ার্ডে গোলযোগের আশঙ্কা করছে।
এ নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ভালো মুখ যেমন রয়েছে, তেমনি বহুল আলোচিত সাত খুনের মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের ভাই, ভাতিজা, সহযোগীরাসহ বিভিন্ন মামলার দাগি আসামিরাও আছেন। প্রথম আলোর অনুসন্ধান এবং প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের ২৭ ওয়ার্ডের ২১টিতেই কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২৯ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, গুম, খুন, চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা আছে। এঁদের মধ্যে ছয়জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা, ছয়জনের বিরুদ্ধে মাদক, পাঁচজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা রয়েছে।
ধর্ষণ, হত্যা, মাদক ও চাঁদাবাজির মামলার জেলখাটা আসামিরাও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। তারা জোর-জবরদস্তি করে জিততে চাইছে এবং অনেক জায়গায় মহড়াও দিচ্ছে। এসব কারণে আমরা ভরসা রাখতে পারছি নানারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রফিউর রাব্বী
এ ধরনের প্রার্থীরাই ভোটকেন্দ্রে হাঙ্গামা সৃষ্টি করে নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করতে পারেন বলে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন। যার প্রভাব পড়তে পারে মেয়রের ভোটে।
জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী আছেন ১৪৮ জন। সংরক্ষিত ৯ ওয়ার্ডে ৩৪ জন নারী প্রার্থীসহ সব মিলে কাউন্সিলর পদে ১৮২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর মাত্র এক দিন পর আগামী রোববার ভোট গ্রহণ। এই নির্বাচনে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে নেই। তবে দলের স্থানীয় অনেক নেতা কাউন্সিলর পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলমের বিএনপির নেতাদের একাংশের সমর্থন পাচ্ছেন। তাঁর ছোট ভাই মাকছুদুল আলম ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি। করোনাকালে সেবা দিয়ে আলোচিত হওয়া কাউন্সিলর মাকছুদুলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণসহ ৩৩টি মামলা রয়েছে। দুটি মামলায় তিনি খালাস ও অব্যাহতি পেয়েছেন। মাকছুদুল আলমের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে সব মামলাই রাজনৈতিক কারণে এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকে করা হয়েছে।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে অশান্তির কিছু হয়নি। কাউন্সিলরদের গোলযোগের আশঙ্কা করছেন ভোটসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
মাকছুদুল আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ–সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শাহ ফয়েজ উল্লাহর বিরুদ্ধেও নারী নির্যাতনসহ তিনটি মামলা বিচারাধীন। দুটি মামলা অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে।
২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রধান দুই প্রার্থী ইকবাল হোসেন ও আমিনুল হক আলোচিত সাত খুনের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। জেলা বিএনপির সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক ইকবাল বর্তমান কাউন্সিলর। তিনি সাত খুনের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল হক সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সাত খুন এবং আরও দুটি হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলার আসামি ছিলেন। সাত খুনসহ চারটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের ওপর হামলার একটি মামলা বিচারাধীন।
ভোটে সংঘাতের আশঙ্কা প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আমিনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘যারা আমারে নেতা বানাইছে, তাদের কেউই আমার লগে নাই। তারা বিএনপির ইকবালের (ইকবাল হোসেন) নির্বাচন করছে। হেরাই গন্ডগোল করতে পারে, কেন্দ্র দখল করতে পারে।’
এই ওয়ার্ডে আরেক প্রার্থী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির আটটি মামলা ছিল। সব কটি থেকে তিনি খালাস পেয়েছেন। শফিকুল সিদ্ধিরগঞ্জে সাত খুনে নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্যালক।
নূর হোসেনের ভাই নূরউদ্দিন মিয়া প্রার্থী হয়েছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটিতে খালাস পেয়েছেন। এখানে নূর হোসেনের সহযোগী আরিফুল হকও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সাত খুন মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের ভাতিজা কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবারও প্রার্থী। হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, শাহজালাল ইতিমধ্যে আটটি মামলা থেকে অব্যাহতি ও খালাস পেয়েছেন। এখন অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ চারটি মামলার বিচার চলছে। শাহজালালের দাবি, রাজনৈতিক কারণে প্রতিপক্ষরা তাঁর বিরুদ্ধে এসব মামলা দিয়েছে।
নূর হোসেনের ভাই নূরউদ্দিন মিয়া প্রার্থী হয়েছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধের আটটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে দুটিতে খালাস পেয়েছেন। এখানে নূর হোসেনের সহযোগী আরিফুল হকও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আরিফুলের বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদকের দুটি মামলা আছে। উচ্চ আদালতে নির্দেশে সেগুলো স্থগিত আছে। সাত খুনের ঘটনার পর জেলা প্রশাসন আরিফুলের দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে। এই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী নজরুল ইসলামও দুই মামলার আসামি।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল হত্যা-বিস্ফোরকসহ ১৭ মামলার আসামি। দুটিতে খালাস পেয়েছেন। সাদরিল ২০১৬ সালের নির্বাচনেও কাউন্সিলর হয়েছিলেন। তিনি বিএনপির সাবেক সাংসদ গোলাম মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে প্রধান দুই প্রার্থী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ মোট মামলা ২৮টি। মতিউর বর্তমান কাউন্সিলর আর সিরাজুল সাবেক কাউন্সিলর। মতিউরের বিরুদ্ধে ২৩টি মামলার ১৭টিতে খালাস ও ৩টিতে অব্যাহতি পেয়েছেন বর্তমান সরকারের আমলে। একটি স্থগিত আছে। সিরাজুলের পাঁচটি মামলা আছে। দুজনই দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কার কথা জানিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার প্রতিদ্বন্দ্বী মতিউর রহমানের সমর্থকেরা বিভিন্ন জায়গায় আমার মহিলা কর্মীদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। বুধবার রাতে আদমজী বাজার এলাকায় আমাকে প্রচারে বাধা দিলে ফেরত আসতে বাধ্য হই। সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিতভাবে একাধিক অভিযোগ করেছি।’
অবশ্য মতিউর রহমান পাল্টা অভিযোগ করেন সিরাজুলের বিরুদ্ধে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা শুনছি তারা কিছু কেন্দ্র দখল করবে। থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’
৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি হত্যা মামলা তদন্তাধীন আছে। দুটি মামলায় তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইস্রাফিল প্রধানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের একটি মামলা রয়েছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে লিয়াকত আলী বিস্ফোরকের তিনটিসহ সন্ত্রাস দমন আইনে ৯টি মামলার আসামি। ১১ নম্বর ওয়ার্ডে অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা-বিস্ফোরকসহ সাতটি মামলা ছিল, এর মধ্যে ছয়টিতে খালাস পান। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শওকত হাশেমের বিরুদ্ধে হত্যা ও বিস্ফোরকসহ পাঁচ মামলার বিচার চলছে। এর আগে তিনি সাত মামলায় খালাস পান। শওকত জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি কিসমত হাশেমের ভাই। তাঁর বিপক্ষে সেলিম খানকে প্রার্থী করেছে আওয়ামী লীগ।
একসময় প্রতারণার মামলার আসামি হয়েছিলেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী দিদার খন্দকার। ওই মামলায় খালাস পেলেও তিনি বর্তমানে বিস্ফোরকসহ পাঁচ মামলার আসামি। মামলাগুলো সাক্ষ্য ও অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে আছে বলে জানা গেছে।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল করিমের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ দুটি মামলা বিচারাধীন। এর আগে সাতটি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। আবদুল করিম বর্তমান কাউন্সিলর।
১৮ নম্বরে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সাবেক কাউন্সিলর কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে চেক প্রচারণার তিনটি মামলা ছিল। দুটিতে বাদীর সঙ্গে আপসরফা করেছেন, একটিতে খালাস পেয়েছেন। ২১ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর হান্নান সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ পাঁচটি মামলা বিচারাধীন। হান্নান মহানগর বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক।
২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রধান ছয় প্রার্থী ২৫টি মামলার আসামি। এর মধ্যে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর সুলতান আহমেদসহ ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বী। বিএনপির সমর্থক সুলতানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ও চাঁদাবাজিসহ চারটি মামলা বিচারাধীন আছে। বাকি পাঁচ প্রার্থীর তিনজনই সরকারি দলের নেতা। তাঁদের মধ্যে পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরুল ইসলাম একটি হত্যা মামলার আসামি। তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন। আরেক প্রার্থী বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও চাঁদাবাজিসহ চারটি মামলা রয়েছে। মাসুদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে ঠেকাতে তিন প্রার্থী এক হয়েছে। তারা অরাজকতা লাগাতে চাইছে। কীভাবে কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ করবে, সে চেষ্টায় আছে।’
২৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন দুলালের বিরুদ্ধে মাদকসহ তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দুলাল বর্তমান কাউন্সিলর। এই ওয়ার্ডে আরেক প্রার্থী মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাউসারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ ১১টি মামলা সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ খোকন হত্যাসহ দুই মামলার আসামি।
২০১৬ সালের নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১২টি আওয়ামী লীগ, ১০টিতে বিএনপি, ২টিতে জাতীয় পার্টি ও বাসদ, ১টিতে জামায়াতে ইসলামী ও ১টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হন। এঁদের মধ্যে দুজন কাউন্সিলর মারা গেছেন, দুজন এবার নির্বাচন করছেন না। এবার দুটি ওয়ার্ড ছাড়া ২৫টিতেই আওয়ামী লীগের এক বা একাধিক নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও দলটির মাঠপর্যায়ের নেতা ও সমর্থকদের অনেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্থানীয় রাজনীতিক ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ১৯২টি ভোটকেন্দ্র মূল্যায়ন করে দেখেছি, দু-একটিতে উত্তেজনা আছে, তবে বড় ধরনের আশঙ্কা নেই। এরপরও আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি আছে। এমনও হবে, কোনো কেন্দ্রে ভোটারের চেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যের সংখ্যা বেশি থাকবে।’
তবে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রফিউর রাব্বী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধর্ষণ, হত্যা, মাদক ও চাঁদাবাজির মামলার জেলখাটা আসামিরাও নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছে। তারা জোর-জবরদস্তি করে জিততে চাইছে এবং অনেক জায়গায় মহড়াও দিচ্ছে। এসব কারণে আমরা ভরসা রাখতে পারছি না।’