২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বার কাউন্সিল নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ, ফলাফল ঘোষণা ২৯ মে

দেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক ও তদারক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে আজ বুধবার উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। ২৯ মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

বার কাউন্সিলের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি। গণনা শেষে ২৯ মে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

তিন বছর পরপর বার কাউন্সিলের নির্বাচন হয়ে থাকে। গত বছর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে গত বছরের আগস্টে এই কাউন্সিলের কার্যক্রম পরিচালনায় অ্যাডহক কাউন্সিল গঠন করা হয়।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত মার্চে নির্বাচনের জন্য ২৫ মে দিন ঠিক করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। বার কাউন্সিল নির্বাচনে ১৪টি পদে ভোট হয়। এর মধ্যে সাধারণ পদে (দেশজুড়ে) সাতজন ও সাতটি অঞ্চলভিত্তিক আইনজীবী সমিতির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন করে আরও সাতজন নির্বাচিত হয়ে থাকেন। সরাসরি ভোটে নির্বাচিত ১৪ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকারবলে কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

এবারের নির্বাচনে সাধারণ পদে ৩৫ জন ও অঞ্চলভিত্তিক সাতটি পদের বিপরীতে ২৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। এর মধ্যে প্যানেল হিসেবে প্রার্থী দিয়েছে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ–সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (সাদা প্যানেল হিসেবে পরিচিত) ও বিএনপি-সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেল (নীল প্যানেল হিসেবে পরিচিত)।

এর আগে ২০১৮ সালের মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে ১২টিতে জয় পান বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ মনোনীত প্রার্থীরা। সাধারণ পদে একটি, অঞ্চলভিত্তিক পদে একটিসহ মোট দুটিতে জয় পান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

দুই প্যানেলের প্রার্থী যাঁরা

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সাধারণ সাতটি পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা হলেন সৈয়দ রেজাউর রহমান, মো. কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান, শাহ মো. খসরুজ্জামান, মো. রবিউল আলম, মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ ও মো. নজরুল ইসলাম খান। এ ছাড়া বিএনপি-সমর্থিত ঐক্য প্যানেল থেকে সাধারণ সাতটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা হলেন এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, আবদুল্লাহ-আল-মামুন, মো. জসিম উদ্দীন সরকার, মো. রুহুল কুদ্দুস ও মো. আবদুল মতিন।

সাতটি অঞ্চলভিত্তিক পদে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন গ্রুপ ‘এ’তে (বৃহত্তর ঢাকা জেলার সব আইনজীবী সমিতি) মো. মহসিন মিয়া, গ্রুপ ‘বি’তে (বৃহত্তর ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও ফরিদপুর জেলার সব আইনজীবী সমিতি) আ. বাকী মিয়া, গ্রুপ ‘সি’তে (বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার সব আইনজীবী সমিতি) এ এস এম বদরুল আনোয়ার, গ্রুপ ‘ডি’তে (বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ও সিলেট জেলার সব আইনজীবী সমিতি) এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন, গ্রুপ ‘ই’তে (বৃহত্তর খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের সব আইনজীবী সমিতি) মো. এনায়েত হোসেন, গ্রুপ ‘এফ’-এ (বৃহত্তর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলার আইনজীবী সমিতি) মো. মাইনুল আহসান এবং গ্রুপ ‘জি’তে (বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া ও পাবনা জেলার সব আইনজীবী সমিতি) শফিকুল ইসলাম প্রার্থী হয়েছেন।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে অঞ্চলভিত্তিক পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা হলেন আবদুল বাতেন (গ্রুপ এ), মো. জালাল উদ্দিন খান (গ্রুপ বি), মোহাম্মদ মুজিবুল হক (গ্রুপ সি), এ এফ মো. রুহুল আনাম চৌধুরী (গ্রুপ ডি), আনিছ উদ্দিন আহমেদ সহিদ (গ্রুপ ই), মো. একরামুল হক (গ্রুপ এফ) ও মো. আবদুর রহমান (গ্রুপ জি)।