বাংলাদেশে হবে ‘তারেক বসন্ত’: ছাত্রদল নেতা আকতার

খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের বিক্ষোভ। ২২ মে, ঢাকা
ছবি: প্রথম আলো

আরব বসন্তের মতো বাংলাদেশেও আরেকটি বসন্ত হবে বলে আশা করছেন বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন নেতা। সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আকতার হোসেনের আশা, বাংলাদেশে এই বসন্ত হবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে। আর এর নাম হবে ‘তারেক বসন্ত’।

আজ রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের প্রতিবাদী মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন আকতার হোসেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘হত্যার হুমকি’ দিয়েছেন অভিযোগ করে এর প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রদল।

পাশাপাশি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামের ওপর ‘সাদাপোশাকে পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদ, আটক ছাত্রদল নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং দেশব্যাপী পুলিশ-প্রশাসনের ‘নৈরাজ্য ও হয়রানি’ বন্ধের দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে আকতার হোসেন বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামসহ নেতা-কর্মীদের হয়রানি বন্ধের জন্য পুলিশ ভাইদের অনুরোধ করছি। তাঁদের বলব, আপনারা ওসি প্রদীপের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিন, সারা দেশে নৈরাজ্য বন্ধ করুন।’

এ সময় নেতা–কর্মীদের আশাবাদ শোনান আকতার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আরব বসন্তের মতো বাংলাদেশেও আরেকটি বসন্ত হবে। এর নাম হবে তারেক বসন্ত। সেই বসন্তের ছোঁয়ায় বাংলাদেশ আবারও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে।’

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনা আমাদের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। আমাদের আদর্শিক মাকে নিয়ে তিনি কটূক্তি করেছেন। তাই আমরা উত্তপ্ত। আমাদের আবেগ, আমাদের আদর্শিক মা খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করার চেষ্টা করবেন না। সৎ সাহস থাকলে পারলে ছাত্রদলকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করুন।’

সরকার প্রশাসনের শক্তিকে ‘অপব্যবহার’ করে আওয়ামী লীগের কাজে লাগাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন সাইফ মাহমুদ। ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামের ওপর বারবার আক্রমণ হচ্ছে উল্লেখ করে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা ঘোষণা করো কোথায় ছাত্রদলকে মোকাবিলা করতে চাও? কথা দিচ্ছি, সেখানেই ছাত্রদল তোমাদের প্রতিরোধ করবে। ছাত্রদলের আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে, পুলিশ দিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ছাত্রদল পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিন থেকে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মিছিলটি টিএসসি এলাকায় রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ছাত্রদলের প্রতিবাদ সমাবেশ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব মো. আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ নেন।

আরও পড়ুন