বাংলাদেশে মানবাধিকারের অবস্থান শূন্যের নিচে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক হলেও বর্তমানে বাংলাদেশে মানবাধিকার শূন্যের নিচে অবস্থান করছে। ক্ষমতাসীন সরকার বেপরোয়া নিপীড়ন–নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে নিয়েছে।
জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে। ক্ষমতাসীনেরা বাংলাদেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে। এ দেশে কেবল বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাই নয়— সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিক, নারী-শিশুসহ কারও কোনো নিরাপত্তা নেই। এঁরাও গুম, গুপ্ত হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টক শো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে এবং কারাবন্দী করে রাখা হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের জন্য যিনি বারবার আপসহীন লড়াই চালিয়ে গেছেন, সেই নেত্রীর সব মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাঁকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এমনকি তাঁর উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার অধিকারও সরকার হরণ করেছে।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেছেন, ‘আজকের এই মানবাধিকার দিবসে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক মানবিক অধিকারহারা নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। একই সঙ্গে আমি খালেদা জিয়ার প্রতি মনুষ্যত্বহীন নির্দয় আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। আমি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
বর্তমান সরকারের শাসনামলে মানুষের ন্যূনতম বাক্-ব্যক্তিস্বাধীনতা নেই অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘নিয়ন্ত্রিত রাজনীতির সীমিত সুযোগও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সভা-সমাবেশ তথা প্রতিবাদ করার ন্যূনতম সুযোগ অবশিষ্ট নেই। নাগরিক অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের দৃঢ় সংকল্প।’