ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনায় প্রশংসা পেয়েছে ছাত্রলীগ। আর এই প্রশংসা এসেছে মূল দল আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাদের কাছ থেকে। তাঁরা বলেছেন, ছাত্রদল ও বিএনপির নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে। ছাত্রলীগ এর সমুচিত জবাব দিতে পেরেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় ছাত্রলীগ এই প্রশংসা পেয়েছে। সভাসংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বৈঠকে অংশ নিয়েছেন, এমন একাধিক নেতা জানান, যৌথ সভায় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হবে। সরকারের এই অর্জনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য বিএনপি ও ছাত্রদল উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে পরিস্থিতি অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এই তৎপরতা রুখতে ৪ জুন সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। আর ঢাকা মহানগর উত্তর করবে ৮ জুন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ করবে ১০ জুন। এর বাইরে ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা জুন মাসজুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকবেন।
সভার শুরুতে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, আর আমরা কি বসে বসে তামাক খাব?’
সরকার বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছে বলে মির্জা ফখরুল ইসলামের অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাধার কোনো বিষয় নয়, আমার সামনে নেত্রীকে (শেখ হাসিনা) বলছেন, পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এই কথা শুনলে তরুণদের কি মাথা ঠিক থাকে? সন্ত্রাসীকে কি বাধা দেব না?’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিলে ছাত্রলীগ কি চুপ করে বসে থাকবে? নেত্রীকে অপমান করা হচ্ছে। এই অপমান কি আমরা সইতে পারি? এসব কটূক্তির প্রতিবাদ ছাত্রলীগ করেছে।’
ছাত্রদলকে দিয়ে বিএনপি আন্দোলন শুরু করবে, দলটির এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরাও দেখব কত ধানে কত চাল। সবকিছুর একটা শেষ আছে। বাড়াবাড়ি ভালো নয়। মির্জা ফখরুল, বলে দিচ্ছি, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেললে পরিণতি হবে ভয়াবহ।’
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মুহাম্মদ ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ প্রমুখ।