খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচি চলছে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠিয়ে তাঁর সুচিকিৎসার দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আজ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে আজ সকাল ৮টার দিকে ঢাকার নয়াপল্টনে নেতা-কর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেন। এ কারণে সড়কের এক পাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আজ সকাল ১০টার দিকে দেখা যায়, সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আটকে পড়া গাড়িগুলো পার করার চেষ্টা করছেন। তখনো খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে আসছেন এবং মাদুর পেতে সড়কে বসছেন।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে পাঠিয়ে তাঁর সুচিকিৎসার দাবিতে যে কর্মসূচি নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে শুরু হয়েছে, তাতে উপস্থিত রয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও আবদুস সালাম প্রমুখ।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, লিভার, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত এপ্রিলে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। করোনা থেকে সেরে উঠলেও নানা জটিলতায় তাঁকে দুই দফা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে ইতিমধ্যে তাঁর পরিবার, নিজ দল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু সরকার রাজি নয়। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, খালেদা জিয়াকে দণ্ড স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এখন তাঁকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ আইনে নেই।
এদিকে গণ-অনশনে সবাইকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গতকাল শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব বলেছিলেন, ‘আমরা অনেক জায়গা চেয়েছিলাম। তারা জায়গা দেয়নি। আমরা আশা করব, সবাই আমাদের এই গণ-অনশনে একাত্মতা ঘোষণা করবেন।’