কুমিল্লায় মেয়র পদে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হকের (সাক্কু) মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, নৌকা মার্কার প্রার্থী আরফানুল হক তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ির প্রতীকের মনিরুল হক সাক্কুর চেয়ে এক হাজার ৪৭১ ভোটে এগিয়ে আছেন।
আজ বিকেল চারটায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এরপরই শুরু হয় ভোট গণনা। নগরীর শিল্পকলা একাডেমি থেকে ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে।
এটা কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের তৃতীয় নির্বাচন। ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি বুথে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়। ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০। কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন গত দুবারের মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক (টেবিল ঘড়ি) ও আওয়ামী লীগের আরফানুল হক (নৌকা)। অন্য তিনজন হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রাশেদুল ইসলাম (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন (ঘোড়া) ও কামরুল আহসান (হরিণ)। এর মধ্যে মনিরুল হক বিএনপির ও নিজামউদ্দিন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ছিলেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭২ কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আওয়ামী লীগের আরফানুল হক পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৭৯৩। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩২২ ভোট।
সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর হিজড়া ভোটার দুজন। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। এতে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী হয়েছেন।
বৃষ্টি ও ইভিএমের জটিলতা ভোট গ্রহণকে শ্লথ করে ফেলেছিল। তবে সব মিলিয়ে আজকের নির্বাচন ছিল সুষ্ঠু। আজ ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর মনিরুল হক সাক্কু বলেছেন‘ধীর গতির ভোট হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ভোটারদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। তার ওপর বৈরী আবহাওয়ার কারণে ভোটার কম এসেছেন। অনেক কেন্দ্রে ইভিএম ঠিকমতো কাজ করেনি। তারপরও প্রশাসন ভালো ভোট করেছে বলে আমি মনে করি।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) বলেছেন, এ নির্বাচনে প্রশাসন থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা তিনি পাননি। অন্তত ৭ /৮টি ভোটকেন্দ্রে নৌকার লোকজনকে হয়রানি করা হয়েছে। কোথাও মারধর করা হয়েছে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশের কম-বেশি (১-২ শতাংশ) ভোট পড়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পর পর্যন্তও ভোট চলছিল।