ব্রেইলের বিকল্প নেই
আজ সোমবার বিশ্ব ব্রেইল দিবস। যুদ্ধের ময়দানে আলো না জ্বালিয়ে রাতে বিভিন্ন নির্দেশনা কীভাবে পড়া যায়, তার সমাধান চেয়ে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট নির্দেশনা জারি করেছিলেন। নির্দেশনা পেয়ে ফরাসি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা চার্লস বার্বিয়ার ‘নাইট রাইটিং’ নামে একটি ব্যবস্থার প্রস্তাব করেন। তাতে ফরাসি ভাষার একেকটি অক্ষরের জন্য ১২টি ডট বিভিন্ন বিন্যাসে সাজিয়ে নতুন বর্ণমালা তৈরির কথা বলা হয়। ১৮২১ সালে চার্লস বার্বিয়ারের নাইট রাইটিং নিয়ে কাজ শুরু করে ফ্রান্সের স্কুলপড়ুয়া কিশোর লুই ব্রেইল। মাত্র চার বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান ব্রেইল। তিনি বার্বিয়ারের ১২টি ডটের বর্ণমালা আরও সহজবোধ্য করে ছয়টি ডটে বিন্যস্ত করে নতুনভাবে সাজান। এই ছয় ডটের বর্ণমালাকেই ১৮৫৪ সালে রয়্যাল ইনস্টিটিউট ফর ব্লাইন্ড ইন প্যারিস ব্রেইল পদ্ধতি হিসেবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের লেখাপড়ার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে। ১৮০৯ সালের ৪ জানুয়ারি লুই ব্রেইলের জন্মদিনকে বিশ্ব ব্রেইল দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত হয়।
দেশব্যাপী বাংলাদেশ সরকারের ‘প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ চলমান জরিপ কর্মসূচি’র গতকালের তথ্য অনুযায়ী সারা দেশে জরিপভুক্ত ১২ ধরনের প্রতিবন্ধিতার শিকার মানুষের সংখ্যা ২১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮১ জন। এর মধ্যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষ ৩ লাখ ৬৪৯ জন। বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এখন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের পড়াশোনা ও যোগাযোগের কাজের সুবিধা বেড়েছে। তবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বলছেন, ব্রেইল পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। ব্রেইল পদ্ধতির নানা উপকরণ আরও সহজলভ্য করার বিষয়টিতেও জোর দিচ্ছেন তাঁরা।