শ্রমিকের সুরক্ষা

খুলনা ও মোংলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি সিমেন্ট কারখানা। সিমেন্ট তৈরিতে প্রয়োজন হয় ফ্লাই অ্যাশ নামক একধরনের ছাই। ফ্লাই অ্যাশ হলো কয়লা ব্যবহার করা হয়, এমন বয়লারের চিমনি থেকে ধোঁয়ার সঙ্গে বেরিয়ে আসা ছাই। এতে কার্বন ডাই–অক্সাইড, অ্যালুমিনিয়াম ডাই–অক্সাইডসহ প্রভৃতি রাসায়নিক উপাদান থাকে। জিপসাম সিমেন্ট জমাট বাঁধার সময়সীমা নিয়ন্ত্রণ করে। তাহলে এটুকু বোঝা যায়, এটি কোনোভাবে শরীরে প্রবেশ করলে শরীরের ওপর কতটা খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। শ্রমিকেরা ফ্লাই অ্যাশ লোড-আনলোডের সময় ব্যবহার করেন না কোনো সুরক্ষা। চোখ, নাক, কান দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে ফ্লাই অ্যাশ। খুলনার ৫ নম্বর ঘাট থেকে তোলা ছবি।

১ / ৯
ফ্লাই অ্যাশ আমদানি হয় ভারত থেকে। ট্রেনযোগে এ ফ্লাই অ্যাশ আসে খুলনার ৫ নম্বর ঘাটে
২ / ৯
শ্রমিকেরা প্রতি বগি বা ওয়াগন ফ্লাই অ্যাশ ট্রাকে তুলতে বা পাশে স্তূপ করতে মজুরি পান ৩০০ টাকা
৩ / ৯
সিমেন্ট কারখানাতে নিতে ট্রাকে তোলা হচ্ছে ফ্লাই অ্যাশের বস্তা
৪ / ৯
আনা–নেওয়ার সময় শ্রমিকের পুরো শরীর মেখে যায় ফ্লাই অ্যাশে
৫ / ৯
বস্তা তোলার সময় ফ্লাই অ্যাশ সরাসরি শ্রমিকের চোখে-নাকে চলে যায়
৬ / ৯
হঠাৎ দেখলে যাত্রার জোকার মনে হবে। শ্রমিকের শরীরময় ফ্লাই অ্যাশ মাখানো
৭ / ৯
ট্রেনের বগি বা ওয়াগন থেকে ট্রাক পর্যন্ত পুরো পথটায় ওড়ে ফ্লাই অ্যাশ
৮ / ৯
কর্তৃপক্ষ কোনো সুরক্ষাব্যবস্থা দেয় না এই শ্রমিকদের। ফলে শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন
৯ / ৯
কাজের ফাঁকে একটু মুক্ত নিশ্বাস নিতে দাঁড়িয়েছেন শ্রমিকেরা