অতএব সিদ্ধান্ত
আমাদের সন্তানকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছি না! নাহ!
একমাত্র সন্তান আমাদের; উচ্চশিক্ষা নিতে গিয়ে যদি সে হয়ে ওঠে কোনো ছাত্রসংগঠনের দুর্ধর্ষ কর্মী!
নাহ! একটা ‘পিশাচ’ বানাতে আমাদের নাড়িছেঁড়া ধনকে পাঠাচ্ছি না, নাহ!
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রসংগঠনের মারামারি দেখলাম। একদল আরেক দলকে নির্বিচারে পেটাচ্ছে। নালাতে ফেলে মারছে। বাঁশ-লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারছে। আদালত চত্বরে ফেলে রক্তাক্ত করছে। বলতে পারেন, এ আর নতুন কি? দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় তো এসবই চলে। তাই বলে, এসব পশুত্বকে আমরা মেনে নেব? লাঠি হাতে বা ধারালো অস্ত্র হাতে আমার সন্তানের ছবি ঘুরে বেড়াবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, টিভিতে বা সংবাদপত্রে—এটি কী করে মেনে নিই!
আমার সন্তান তারই সহপাঠী অনুজ, অগ্রজ, নাম না জানা, অচেনা, সাতপাঁচে নেই, অদেখা বান্ধবী, বোন কিংবা সহপাঠিনীকে কোপাবে, থেঁতলাবে, পিষবে, শুধু লাথি-কিলঘুষি নয়।
রক্তাক্ত হয়ে দৌড়ানো আদম সন্তানকে ধাওয়া করে সগর্বে, দল বেঁধে, ক্রমাগত ক্রমাগত কোপাবে, থেঁতলাবে, পিষবে! নিথর পড়ে থাকলে আবারও সদলে কোপাবে, থেঁতলাবে, পিষবে।
তার চেয়ে বরং আমাদের সন্তান মূর্খ থাকুক, পিশাচ না হয়ে যতটা সম্ভব মানুষ থাকুক!
মাননীয় উপাচার্য আর সম্মানিত অধ্যক্ষমণ্ডলী, আপনাদের পশু বানানোর প্রতিষ্ঠানে আমার সন্তানকে আর পাঠাচ্ছি না, নাহ।
হাসান সাইমুম ওয়াহাব
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ঢাকা