যে তৈরি পোশাকশিল্পে দেশের ৮০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়, সেই শিল্পে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের যখন বেতনের কথা আসে, তখন যত কম দেওয়া যায়, তার জন্য সরকারের লোকজন ও মালিকেরা উঠেপড়ে লাগেন।
সরকারি কর্মকর্তারা তো ডিউটি করেন দিনে আট ঘণ্টা। আর একজন পোশাকশ্রমিককে দিনে ১০ থেকে ১৫ ঘণ্টাও কাজ করতে হয়। জোরপূর্বক কাজ না করাতে আইনে লেখা আছে কিন্তু কেউ কাজ না করলে তাঁর চাকরি থাকবে না। এক দিন এক মিনিট দেরি হলে তাঁর হাজিরা বোনাস কাটা হবে। ১০ ঘণ্টা কাজ করার পর ২০ টাকা নাশতা বিল।
২০২৩ সালে যখন বেতন সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়, তখন এক ডলারের দাম ছিল ৮৬ টাকা। এ হিসাবে ১৪৫ ডলার, টাকায় ১২ হাজার ৫০০ টাকা। কিন্তু এখন এক ডলারের দাম ১২৫ টাকা। ফলে শ্রমিকদের প্রকৃত বেতন তো কমে গেছে।
এই জন্যই বছর বছর শ্রমিকদের জীবনের কোনো পরিবর্তন হয় না। শ্রমিকেরা টিসিবির ট্রাক থেকেও কিছু কিনতে পারেন না। এই জন্যই শ্রমিকেরা সকালে না খেয়ে টাকা বাঁচান, যেন অন্য দুই বেলা ডাল–ভাত খেতে পারেন।
মারজান আখতার
প্রথম আলোর পাঠক