গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা মহাসড়কের পাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ইটভাটা। প্রায় ১ কিলোমিটার দূরত্বে ৮ টি ইটভাটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পরিবেশের ওপর হুমকিস্বরূপ অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা গড়ে তোলায় এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ইটভাটার মাটির জোগানের জন্য আশপাশের এলাকার উর্বর জমি থেকে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর ফলে ওই এলাকার কৃষি ব্যাপক হুমকিতে রয়েছে। ইটভাটার ধোঁয়ায় এলাকায় বায়ু দূষণের মাত্র অত্যধিক হারে বেড়ে যাচ্ছে। বায়ু দূষণ এলাকার ফলমূলসহ ফসলি জমিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।
এ ছাড়া কয়লার দাম বেশি ও জোগানের স্বল্পতায় কিছু ইটভাটায় অবৈধভাবে গাছ পোড়ানোর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়। শুধু পরিবেশের ওপর হুমকিই নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকায় শিক্ষার হারে অবনতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইটভাটাগুলো। ইটভাটায় শ্রমিক সংকটে কারণে সেখানে শিশুশ্রমের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। এসব শিশু সংগ্রহ করা হচ্ছে প্রাথমিক স্কুল থেকেই। ফলে আশপাশের এলাকায় প্রাথমিকে গণ্ডি পার হতে না হতেই ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা।
এলাকার পরিবেশ সুরক্ষা, কৃষিজমি রক্ষা ও শিক্ষার মান বিবেচনায় ইটভাটাগুলো বন্ধ করা হোক। প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া চালু থাকা ইটভাটাগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
আবু সুফিয়ান সরকার
পলাশবাড়ী, গাইবান্ধা
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা