ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পড়াশোনা মান বাড়ানোর জন্য ২০১৭ সালে এসব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিভুক্ত করা হয়; কিন্তু পড়াশোনা মান ভালো করার চেয়ে খারাপ হয়েছে বেশি।
বিভিন্ন সময়ে নানা প্রতিকূল অবস্থা পার করে আসতে হয়েছে অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের। যথাসময়ে পাস করতে না পারা শিক্ষার্থীদের আগে এক বছর জরিমানা ফি ছিল পাঁচ হাজার টাকা। এখন সেটা ১০ হাজার করা হয়েছে। দুই বছর জরিমানা ফি দিতে হবে ২০ হাজার এবং তিন বছর জরিমানা ফি ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।
প্রতিটি জায়গায় টাকা বাড়ানো হয়েছে। অভিযোগ আছে, চূড়ান্ত পরীক্ষায় গণহারে ফেল করিয়ে আয়ের উৎস বানানো হয়েছে সাত কলেজকে। সরকারি সাত কলেজের পড়াশোনার মান আগের চেয়ে ভালো হওয়ার কথা, কিন্তু ভালো তো হচ্ছেই না; বরং প্রশাসনের লালফিতার দৌরাত্ম্য থামানোর কেউ নেই। শিক্ষার্থীদের থেকে বেশি টাকা আদায় এবং গণহারে ফেল করানো—এই সব করে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা যায় না।
এতে আরও বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার ভবনে গেলে হয়রানি হতে হয় তাঁদের। সাত কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো মনিটরিং করা হচ্ছে না। আমরা সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই। শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা কোনোভাবেই মানা যায় না।
জাহাঙ্গীর হাওলাদার
ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা কলেজ