রিসোর্ট করায় হারিয়ে যাচ্ছে কৃষিজমি

বাংলাদেশের বিভিন্ন পল্লি এলাকায় কৃষিজমি নষ্ট করে অসংখ্য দামি ও বিলাসবহুল রিসোর্ট গড়ে উঠেছে এখন। এসব রিসোর্টের অধিকাংশই অবৈধ টাকায় নির্মিত হচ্ছে বলে অনেকে ধারণা করে থাকেন। এসব রিসোর্টে এক দিনের থাকার খরচ কয়েক হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকার ওপর।

এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র। একটু কম দামে চাল-ডাল কেনার জন্য যাঁদের টিসিবির ট্রাকের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়, সেখানে এসব রিসোর্ট কাদের অবকাশযাপনের জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে? প্রকৃত ব্যবসার উদ্দেশ্যে কি এগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে?

অনেকে মনে করেন, অবৈধ টাকা বিনিয়োগের জন্যই এগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। তাই মুনাফা না এলেও তাঁদের মাথাব্যথা নেই! যেখানে কৃষিজমির স্বল্পতা বিবেচনা করে মাছ চাষের জন্য পুকুর খনন নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেখানে কোন যুক্তিতে জলাশয় ও কৃষিজমি নষ্ট করে এসব রিসোর্ট  নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে?

কৃষিজমি কমে যাওয়ার অজুহাতে মৎস্যচাষিদের মাছ চাষের জন্য পুকুর খনন করতে দেওয়া হচ্ছে না, অথচ রিসোর্টের নামে শত শত একর কৃষিজমি নষ্ট করা হচ্ছে। এই স্ববিরোধিতা কেন? আইন কি কেবল গরিবের জন্য? অবিলম্বে পল্লি এলাকায় রিসোর্ট নির্মাণ নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সঙ্গে এসব রিসোর্টের মালিকদের আয়ের উৎস তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।

মো. আলী হায়দার
পল্লবী, ঢাকা