ভয়াবহ বন্যা

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে আসা পানির ঢলে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক এলাকার লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী। পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িও ডুবে গেছে।

বানভাসিদের কেউ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কেউ বেড়িবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। এ অবস্থায় পানিবন্দীদের উদ্ধারের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় খাবার প্রদান জরুরি হয়ে পড়েছে। গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি নিয়ে অনেকে বিপাকে পড়েছেন।

আসুন, আমরা প্রত্যেকেই আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী বন্যাদুর্গতের পাশে দাঁড়াই। বন্যার ক্ষয়ক্ষতি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলেও এর প্রকোপ ও ভয়াবহতা পরিকল্পিত পদক্ষেপের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্যা মোকাবিলায় বেশি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নদীর দুই তীরে উঁচু ও মজবুত বাঁধ তৈরি করতে হবে, নদীগুলোর নিষ্কাশন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ড্রেজিং ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে, ভারত থেকে যেন পানি না আসতে পারে সেদিকে সরকারের নজর রাখতে হবে, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক রেখে এবং নদীর মুখ বন্ধ না করে রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে হবে, সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় পানি প্রবেশ রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলেই বন্যার প্রকোপ ও ভয়াবহতা অনেকটা কমে আসবে।

সাকিবুল হাছান

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ