খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন অসংখ্য মানুষ। স্বল্প খরচে মানসম্পন্ন সেবা লাভের আশায় বহু মানুষের ভিড় জমে এখানে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এখানে দালালের দৌরাত্ম্য লক্ষণীয়। দালালের অত্যাচারের কারণে সেবা পেতে বিঘ্ন ঘটছে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে গ্রাম থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষ এসব দালালের খপ্পরে পড়ে হারাচ্ছেন সর্বস্ব।
চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের বিভিন্ন ধরনের কথা বলে ভুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দালাল চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন মানহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সেখানে গিয়ে বেশির ভাগ সময়ই সাধারণ মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হন। একজন রোগী যখন ডাক্তারের কক্ষ থেকে বের হন, তখন থেকেই পিছু নিতে শুরু করে দালাল চক্র। রোগীর চিকিৎসাপত্র হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে অবলম্বন করে নানা ধরনের কৌশল।
চিকিৎসাপত্র হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পারলেই রোগীরা জিম্মি হয়ে যান দালাল চক্রের কাছে। তখন তাদের সঙ্গে ওই সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে বাধ্য করা হয় রোগীদের। অনেক সময় চিকিৎসকের সহকারীরাও এই দালাল চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। চিকিৎসকের কাছ থেকে চিকিৎসাপত্র রোগীর হাতে না দিয়ে সরাসরি তুলে দেয় দালাল চক্রের কাছে এবং দালাল চক্রের সঙ্গে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসককে রিপোর্ট দেখিয়ে যেতে বলেন। হাসপাতালের ভেতরে আনসার সদস্যদের উপস্থিতি থাকলেও এ বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় না।
কর্তৃপক্ষের কাছে সাধারণ জনগণের একটাই দাবি, দালাল চক্রের সদস্যদের হাসপাতাল থেকে বিতাড়িত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে হাসপাতালের সুস্থ–সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলুন।
ঐষীক
খুলনা