বয়লারের পরীক্ষায় অনিয়ম

শিল্প কারখানায় উৎপাদনের ক্ষেত্রে বয়লারের ভূমিকা অন্যতম প্রধান। বয়লার পরিচালক যাঁরা, তাঁরা সুনির্দিষ্ট সময় বয়লার সরকারি পদে কর্মদক্ষতার অভিজ্ঞতা প্রমাণ দিয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সার্টিফিকেট অর্জন করেন প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় থেকে। এটি ১৯৫৩ সালের বয়লার পরিচারক রুলস হিসেবে পরিচিত।

এই সার্টিফিকেট দিয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কল-কারখানায় অত্যন্ত বিশ্বস্ততা, বিচক্ষণতা, দক্ষতা ও সচেতনতার মাধ্যমে অনেক মানুষ দায়িত্ব পালনে জীবিকা নির্বাহ করেন।

বিশাল এই জনগোষ্ঠীর রুটি-রুজি একটি অসাধু ও দুর্নীতিবাজ গোষ্ঠীর কারণে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে তারা ‘বয়লার আইন-২০২২’ প্রণয়নের মাধ্যমে বয়লার সার্টিফিকেটকে ‘বয়লার লাইসেন্স’—এ পরিণত করা হয়েছে। এতে সার্টিফিকেটধারী সুদক্ষ মানুষগুলো নিশ্চিতভাবেই হয়রানির শিকার হবেন।

বলা বাহুল্য— বয়লারের পরীক্ষায় লিখিত ও ভাইভাতে যথাযথ উত্তর দেওয়ার পরও, ঘুষ ছাড়া সার্টিফিকেট পাওয়া যায় না বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ। এখন লাইসেন্স নবায়নের সময় অহেতুক নানান অজুহাত দেখিয়ে ঘুষ দিতে সংশ্লিষ্টদের বাধ্য করা হবে বলে আশঙ্কা সবার।

তা ছাড়া সার্টিফিকেটকে লাইসেন্সে পরিণত করার আর কি এমন যুক্তি থাকতে পারে? যেমন যুক্তি সামনে আনা হোক, সার্টিফিকেটকে লাইসেন্সে পরিণত করতে হলে, দেশে যতো সার্টিফিকেট রয়েছে সবই লাইসেন্সে পরিণত করতে হবে।

ইব্রাহীম খলীলুল্লাহ্

ঢাকা