প্লিজ, সহকারীদের পালস বোঝার চেষ্টা করুন। একজন শিক্ষক কীভাবে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী থাকেন? বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতার সমান যোগ্যতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় চাওয়া হয়। এ বিবেচনায় সহকারী শিক্ষকদের নবম গ্রেড দেওয়ার কথা। কিন্তু সেখানে শিক্ষকদের ১৩ম গ্রেড দিয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী করে রাখা হয়েছে।
সমান যোগ্যতা নিয়ে পিটিআইসংলগ্ন প্রশিক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দশম গ্রেড অথচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেওয়া হচ্ছে ১৩তম গ্রেড। শুধুই ‘পরীক্ষণ’ শব্দটির জন্যই বৈষম্য। একজন শিক্ষকের জন্য এর চেয়ে বড় বৈষম্য আর কী হতে পারে।
এদিকে আবার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগ যোগ্যতা হলো কৃষি ডিপ্লোমা এবং বেতন দেওয়া হচ্ছে দশম গ্রেড তথা দ্বিতীয় শ্রেণি। অথচ তার চেয়েও বেশি যোগ্যতা থাকার পরও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে রেখে ১৩ম গ্রেডে বেতন দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকতা পেশার চেয়েও কি একজন কৃষি অফিসারের গুরুত্ব রাষ্ট্রের কাছে বেশি? যদি বেশি না হয়ে থাকে, তাহলে কেন শিক্ষকদের সঙ্গে এত বৈষম্য করা হয়।
একটি ভবনের ভিত্তি কেমন তার ওপর নির্ভর করে ভবনটির ভবিষ্যৎ। চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ তৈরির নেপথ্য নায়ক হিসেবে ভিত্তি গড়ে দেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। আর এই শিক্ষকদের উপযুক্ত বেতন ও মর্যাদা দিতে কেন এত কার্পণ্য।
কথায় আছে ‘ঘোড়াকে জোর করে পানির কাছে নেওয়া যায়; কিন্তু পানি খাওয়ানো যায় না’ ঠিক তেমনি প্রশাসনিক চাপে শিক্ষকদের ক্লাসে নেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তাঁরা কি মন উজাড় করে পাঠ দান করতে পারছেন। মেধাবী শিক্ষকদের ধরে রাখতে চাইলে তাঁদের জন্য দরকার আর্থিক নিরাপত্তা। শিক্ষকদের চাওয়া অনুযায়ী ন্যূনতম ১০ গ্রেড দেওয়া হোক।
মো. আবদুল কাদের
সহকারী শিক্ষক, ৪২ নম্বর বালুচরা সমাজকল্যাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী