বর্ষাকাল বা বৃষ্টির দিনগুলোতে মশার উপদ্রব বাড়ে। মশা খুবই ভয়ানক। ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়া থেকে ডেঙ্গু, নানা রোগের বাহক এই মশা। তাই মশা থেকে সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে।
মশা থেকে বাঁচতে বাড়ির চারপাশ পরিষ্কারসহ রাস্তার দুই পাশের অবৈধ দোকানপাট-হাটবাজার উচ্ছেদ করা জরুরি। বাড়ির চারধারে রাস্তার দুই পাশে ও ফুটপাতে ব্লিচিং পাউডার দেওয়া চাই।
রাতে অবশ্যই মশারি টাঙানো দরকার। তবে বাড়ির আশপাশে ও রাস্তার দুই পাশের পানি থেকে সাবধান, ওটাই মশার আঁতুড়ঘর। চটজলদি মশা তাড়াতে বাড়িতে রাসায়নিক মশারোধী ধূপ, কয়েল, সিট্রোনেলা তেল, রেপেলেন্ট লোশন ইত্যাদি ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে এই সব উপকরণ থেকে সাবধান। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
অনেকেই ভেষজ আবিরের কথা জানেন, পৃথিবীর বহু দেশে ভেষজ ধূপকাঠি দিয়ে মশা তাড়ানো হয়। সেই কথা মাথায় রেখে আমাদের দেশেও তৈরি করা যেতে পারে পরীক্ষিত ভেষজ ধূপকাঠি। যে ধূপকাঠি মশা তাড়াতে সাহায্য করবে, কিন্তু শরীরের ক্ষতিও হবে না।
বাংলাদেশের বাজারে এখনও মশা মারার জন্য ভেষজ ধূপকাঠি তেমন একটা পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে খুব একটা প্রস্তুত হয় বলে মনে হয় না। তবে বহু দেশে বর্তমানে ভেষজ ধূপকাঠি পাওয়া যায়।
আমাদের দেশে ধূপকাঠি তৈরিতে বিভিন্ন কোম্পানিকে উৎসাহিত করা যেতে পারে। আর সেই সব ধূপকাঠি তৈরি করে বর্ষার মৌসুমে সব বাড়ি বাড়ি দেওয়া যেতে পারে বিনা মূল্যে। বিশেষকরে নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে মশা মারার ধূপকাঠি তৈরি করা গেলে একদিকে তাদের আয়ের সুযোগ হবে, অপরদিকে মশা তাড়ানোর বিকল্প ভাবনা হবে।
ধূপকাঠি সাধারণত প্রাকৃতিক ভেষজ দিয়ে তৈরি, যার সুবাস নেতিবাচক শক্তি দূর করতে সাহায্য করে। এটি জ্বালালে মশা সহ ক্ষতিকারক কীটপতঙ্গ দূর করা খুব সহজে সম্ভব হয়। কয়েল জ্বালানো মানেই তো স্বাস্থ্যের ক্ষতি ও কয়েলের ঝাঁঝ ও গন্ধে যে কোনো সুস্থ মানুষের শ্বাসকষ্ট দেখা দেবে, এটাই স্বাভাবিক। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ জানাই।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা