দর্শনা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মান নিয়ে মাদারীপুর জেলায় অনেক সুনাম ছিল। ১৯৫৩ সালে ডাসারের (উপজেলা, ইউনিয়ন) দর্শনা গ্রামে অবস্থিত এ স্কুল ৬টি গ্রামের শিক্ষার্থীদের জন্য ভরসাস্থল। এখান থেকে পাস করে সরকারের বড় কর্মকর্তা হয়েছেন অনেকে।
এক সময় এ বিদ্যালয় থেকে পাসের হার ছিল ৯৮-৯৯ শতাংশ। এসএসসিতে এ প্লাস পেত ১০-১৫ জন করে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে শিক্ষার মান দাঁড়িয়েছে তলানিতে। শিক্ষকদের পাঠদানে যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাই শিক্ষক নিয়োগে আমাদের আরো বেশি সচেতন হওয়া দরকার।
অবকাঠামোগুলোও বেহাল। পাশে অবস্থিত প্রাইমারি স্কুল কয়েক ধাপে নতুন ভবন পেলেও হাই স্কুলটি পায়নি একটি ভবনও। ক্লাস রুমের সংকট নিরসনে স্কুল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়ে পুরোনো ভবনের ওপর গড়ে তোলে আরেক তলা। বলছিলাম ২০১৭ সালের কথা যখন অর্থের অভাবে শিক্ষকদের বেতন থেকে ছাউনির টিন কেনার টাকা দেওয়া হয়।
১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কে ডি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় চার তলা বিশিষ্ট আইসিটি ভবন পেলেও হাই স্কুলের পাওয়া হয়নি একটি নতুন ইটের ছোঁয়া। হাই স্কুল কমিটির এ নিয়ে যেন কোনো চিন্তাই নেই। নেই ছেলেদের জন্য শৌচাগারের ব্যবস্থা। মেয়েদের কমন রুমের বাজে হাল। শিক্ষকদের বসার জন্য নেই ভালো অফিস রুম। খেলার জন্য নেই একটা বড় মাঠ। পড়ার জন্য নেই লাইব্রেরি। দেখলে মনে হয় এক ভৌতিক পুরোনো বাড়ি।
আশপাশের এত কিছুর উন্নয়ন হয়। স্কুলটির উন্নয়নে কারো যেন কোনো মাথা ব্যথাই নেই। তাই সরকারের প্রতি আবেদন দর্শনা উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দিন। নতুন ভবনের জন্য পদক্ষেপ নিন।
ইমন হাওলাদার
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ