গত ডিসেম্বরে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানাসহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে তিনটিতে হেরেছে কংগ্রেস। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এই ফল আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
তিস্তা শেতলবাদ: আমরা বিজেপি শাসনামলে (২০১৪ থেকে ২০২৪) এর কাছাকাছি কিছু দেখিনি। ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা (১৯৭৫ সালের জুন থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ) জারি করেছিলেন এবং মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিলেন। তবে সেটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জারি হয়েছিল এবং এক ব্যক্তির ইচ্ছা-নিয়ন্ত্রিত সিদ্ধান্ত ছিল। অবশ্যই সেটি স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত। সেই তুলনায় ২০১৪ সালের পরের পর্বকে প্রায়ই ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ বলে বর্ণনা করা হয়। এ সময় এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে, যা অনেক বেশি উদ্বেগজনক।
প্রথমত, ভারতের (সাংবিধানিক রক্ষাকবচ) প্রতিষ্ঠানগুলোর পতন ঘটেছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের মধ্যে যে ভারসাম্য ও কলকবজা রাখা হয়েছিল, যেগুলো ব্যবস্থাটিকে নিয়ন্ত্রণ করত, তা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, যেভাবে সংসদ সদস্যদের বহিষ্কার করা হয়েছে, একাধিক বিল পাস করা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি বেছে বেছে বিলের অনুমোদন দিচ্ছেন বা তামিলনাড়ু, পাঞ্জাবের মতো বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলোর বিল প্রত্যাখ্যান করছেন, যেভাবে রাহুল গান্ধী এবং মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করা হলো তাতে স্পষ্ট, কোনো কিছু নিয়মনীতি সাপেক্ষে চলছে না। এ ছাড়া যেভাবে কিছু বিচারপতিকে (কলেজিয়াম দ্বারা প্রস্তাবিত) নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এবং অনেককে বিবেচনা করা হচ্ছে না বা তাঁরা যোগ্য (বিচারপতি) হলেও নিয়োগে বিলম্ব করা হচ্ছে, সেগুলোর দিকে তাকালেও একই চিত্র দেখা যাবে।
দ্বিতীয় বিপদ হিন্দুত্ববাদ। হিন্দুত্ববাদ ভারতের রাষ্ট্র ও সামাজিক কাঠামো নির্মাণ করছে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) বলছে, তারা সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণে কাজ করছে। এখন সমস্যা হলো, যে সমাজ ও রাষ্ট্রের কথা তারা বলছে, সেটি একটি বিশেষ ধরনের আধিপত্যবাদী, ধর্মতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র। এমন রাষ্ট্রে সরকারি সম্পদ ব্যক্তিমালিকানায় চলে যায় অনায়াসে। এই কাজে তারা অনেকটাই সফল। ফলে দক্ষিণপন্থী অর্থনীতি ও দক্ষিণপন্থী সামাজিক-ধর্মীয় ও রাজনীতি ক্রমেই এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এটা সমাজের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
যে সমাজ ও রাষ্ট্রের কথা আরএসএস বলছে, সেটি একটি বিশেষ ধরনের আধিপত্যবাদী, ধর্মতান্ত্রিক, কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র।
বিজেপির শাসনব্যবস্থা সরকারি সংস্থাগুলোকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছে।
যদি কংগ্রেস ৩০ শতাংশ ভোটও পায়, তাহলেও বিজেপি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
বিজেপি যতই শক্তিশালী হোক না কেন, গণতন্ত্রের যুদ্ধ শেষ হয়নি।
এ জন্য প্রাথমিকভাবে তো কংগ্রেসকেই দায়ী মনে হয়...
তিস্তা শেতলবাদ: হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। সংখ্যাগরিষ্ঠের যে আধিপত্যবাদ, তার বীজ বপন এবং বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়েছিল কংগ্রেস আমলে। তা-ও বলব কংগ্রেসের মধ্যে একটি অন্য ব্যবস্থা ছিল...কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সম্পর্কে আশাবাদ ছিল। গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি আইন [২০০৪ সালে ক্ষমতায় এসে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স (ইউপিএ) করেছিল] বা তথ্যের অধিকার আইন দেখলে সেটা বোঝা যায়। সম্পদ ও ক্ষমতা বণ্টনের একটা চেষ্টা ছিল।
প্রথম ইউপিএ জমানায় বামপন্থীদের উপস্থিতির কারণে সুষমভাবে সম্পদ বণ্টনের চেষ্টা ছিল বলে আমার মনে হয়। যাই হোক, ২০১৪ সালের পর এই চেষ্টার গলা টিপে ধরা হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের প্রশ্নে বলতে হয়, বিরোধী দলগুলো এই মুহূর্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, আদর্শগতভাবে তারা দুর্বল। সেদিক থেকে সাম্প্রতিক নির্বাচন তাদের জন্য একটি ধাক্কা। তবে একটা ইতিবাচক দিক আছে।
‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠনের পর একটি উপলব্ধি বিরোধীদের মধ্যে এসেছে। সেটি হলো, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, দলিত, ক্ষুদ্র জাতি, আদিবাসী থেকে সংখ্যালঘু, সুবিধাপ্রাপ্ত বর্ণের বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোকে নানাভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করছে বিজেপি...
তিস্তা শেতলবাদ: এই শাসনব্যবস্থা সরকারি সংস্থাগুলোকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করছে। তারা যেভাবে ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট), সিবিআই (সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন), দিল্লি পুলিশ বা আয়কর দপ্তরকে ব্যবহার করে বিরোধীদের আক্রমণ করেছে, তা অবিশ্বাস্য। ইন্দিরা গান্ধী কখনোই এই পর্যায়ে যাননি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ডিলিমিটেশন (নির্বাচনী আসনের নতুন সীমানা নির্ধারণ) করা হলে, উত্তর ভারতে (ডিলিমিটেশনের কারণে) ভবিষ্যতের নির্বাচনে আসনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলে (যেখানে উত্তর ভারতে বিজেপি দক্ষিণ বা পূর্বের চেয়ে শক্তিশালী) এবং বিজেপি জিতলে আপনার কি মনে হয় ভারত একটি ভিন্ন দেশে পরিণত হবে?
তিস্তা শেতলবাদ: নতুন সীমানা নির্ধারণ যেভাবে করা হচ্ছে, তাতে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্রের যেটুকু অস্তিত্ব আছে, সেটুকু অবলুপ্ত হবে। এ কারণে দুর্বল হলেও বিরোধীদের এক হওয়া অত্যন্ত জরুরি। লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি আবার ৩০০ বা তার বেশি আসন পেলে (২০১৯ সালে ছিল ৩০৩) এবং নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে পারলে আমরা সম্পূর্ণ আলাদা একটি দেশ দেখতে পাব। এটি কেবল ধর্মীয় বা জাতিগত প্রতিনিধিত্বের বিষয় নয়, আনুপাতিক ভাষাগত বৈচিত্র্যও গুরুতর সমস্যায় পড়বে। হিন্দি-হিন্দু এবং হিন্দু রাষ্ট্রের যে কথা বলা হয়, সেটাই ভারতকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
এ অবস্থায় কংগ্রেস কী করতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
তিস্তা শেতলবাদ: মোটামুটি ২৫০ আসনে কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাদের উচিত, অবিলম্বে এই ২৫০ আসনের ওপর নজর দেওয়া, কৌশলী প্রচার জোরদার করা। অবশ্যই প্রার্থী নির্বাচনে মনোযোগ দিতে হবে। আমরা ২০১৪ সালের আগের দশকের দিকে তাকালে দেখব, ২০০৪ সালে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোটের কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের (সিএমপি) কী বিশাল তাৎপর্য ছিল। ইউপিএ-১-এর (২০০৪-২০০৯) প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল বামফ্রন্টের সক্রিয় ভূমিকা। এটা ঠিক, দিন ও পরিস্থিতি পাল্টেছে। তবু বামদের ভূমিকা এখনো রয়েছে। আমি বুঝতে পারছি না, কেন বামপন্থীরা আগামী নির্বাচনের আগে সিএমপির ওপর জোর দিচ্ছেন না। জিতলে তাঁরা কী করবেন, তার একটা রূপরেখা সামনে আনা উচিত।
বিরোধী দল সিএমপি নিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছে না। তারা কী হারাচ্ছে?
তিস্তা শেতলবাদ: অনেক কিছু। বর্ণ-শুমারির উদাহরণ যদি ধরেন, এটি একটি বৈধ কর্মসূচি। দেশের সম্পদের ওপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দখল জনসংখ্যার অনুপাতে ন্যায্যভাবে ভাগ করা দরকার। সুতরাং বর্ণ-শুমারির অর্থ কী, তা বিরোধীদের ব্যাখ্যা করতে হবে। এর অর্থ অনেক কিছু। যেমন সব সরকারি চাকরি যা মোদি সরকারের অধীনে পূরণ করা হয়নি, তা পূরণ করতে হবে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লাখ লাখ শূন্য পদ পূরণ করতে হবে—এসব তুলে ধরা প্রয়োজন। প্রশ্ন হলো, কেন বিরোধীরা এসব রূপরেখা দিতে পারছে না?
সিএমপির মাধ্যমে দলগুলোর বেকারত্ব বৃদ্ধির কথা বলা উচিত। বলা উচিত ‘ক্রনি ক্যাপিটালিজম’-এর কথা। এটা উৎপাদনকে স্থবির করে এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে শেষ করে দেয়। এগুলো বলতে বিরোধীদের প্রচারকেন্দ্রিক কর্মসূচি নিতে হবে, যার নাম দেওয়া যেতে পারে ‘বেকারত্বের বিরুদ্ধে ভারত’। দিল্লিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে সারা দেশ থেকে তরুণদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ জন্য এখনো সময় আছে। অভিযানের শেষ পর্যায়ে কৃষক, দলিত, নারীদের সংগঠিত করে প্রচার চালালে এর প্রভাব পড়বেই। সবকিছুর আগে নিজেদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে হবে, যাতে প্রতিটি আসনে ইন্ডিয়া জোটের শরিকেরা পরস্পরের বিরুদ্ধেই লড়াই না করে।
বিজেপি বারবার জিতছে কেন? যদিও আমরা জানি, তাদের দলে নরেন্দ্র মোদির মতো একজন খেলোয়াড় আছেন।
তিস্তা শেতলবাদ: দুর্ভাগ্যবশত, হ্যাঁ। অটল বিহারি বাজপেয়ী যখন নেতৃত্বে এসেছিলেন, তখন মাত্র দুটি আসন (১৯৮৪) থেকে বিজেপি এক লাফে ৮৫ (১৯৮৯) আসন পেয়েছিল। বাজপেয়ী ও আদভানির নেতৃত্বে এটা ছিল তাদের নাটকীয় উত্থান।
চূড়ান্ত পর্যায়ে বাবরি মসজিদ ভাঙার (১৯৯২) পর বিজেপির সমর্থন বিপুল হারে বেড়ে যায়। এরপর ২৪ শতাংশ (১৯৯৯) ভোট বিজেপির পক্ষে একত্র হয়েছিল। এটা খুব বড় বৃদ্ধি। সেখান থেকে ২০১৯ সালে তারা ৩৭ শতাংশে গিয়েছে। অর্থাৎ সামান্য ভোট থেকে নব্বইয়ের দশকে ২৪-২৫ শতাংশ এবং সেখানে থেকে আরও ১০-১১ শতাংশ বাড়িয়ে বিজেপি ২০১৯ সালে ৩৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
আমি দীর্ঘদিন ধরে বোঝার চেষ্টা করেছি, নব্বইয়ের দশকে ভোটটা কেন বাড়ল? এটা কি কট্টরপন্থী হিন্দুত্ববাদের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধির লক্ষণ? মানুষ যেভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘকে বোঝেন, সেই জায়গা থেকে কি তাঁরা সমর্থন দিচ্ছেন? নাকি এটা সবকিছুর মিশ্রণ? এবং সেটা কি একধরনের অর্থনৈতিক দক্ষিণ পন্থার উত্থানের সঙ্গে অতীতের রাজনৈতিক দলগুলোর ধর্মনিরপেক্ষতার নামে একধরনের ‘টোকেনিজম’ থেকেই জন্ম নিল? আমরা সত্যিই নিশ্চিতভাবে সেটা জানি না।
মোদির মতো নেতা চালকের আসনে বসার সঙ্গে সঙ্গে ছবিটা আরও অস্পষ্ট হয়ে যায়। যা হোক, আমাদের মনে রাখতে হবে, একই সময় বিশ্বজুড়ে কিন্তু এমনটা ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপও এর বাইরে নয়।
মে মাসে কর্ণাটকে ও নভেম্বরে তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কিছু সাফল্য এসেছে। এতে নাগরিক সমাজের ভূমিকা কতটা?
তিস্তা শেতলবাদ: কর্ণাটক ও তেলেঙ্গানার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক আন্দোলনের দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যা অন্যান্য রাজ্যে এতটা জোরালো নয়। এটা ঠিক, সুশীল সমাজের একটা ভূমিকা ছিল। তবে রাজ্যস্তরে কংগ্রেস নতুনভাবে অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছে, বিশেষ করে প্রার্থী বাছাইয়ে তারা অনেক ভাবনাচিন্তা করেছে।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের দ্বিতীয় পদযাত্রা শুরু হলো ১৪ জানুয়ারি, চলবে ৬৬ দিন, যাবে দেশের ১১০ জেলায়। নির্বাচনে এই মিছিলের প্রভাব কতটা পড়তে পারে?
তিস্তা শেতলবাদ: পদযাত্রা কংগ্রেসের নেতা-কর্মীদের মধ্যে অবশ্যই উৎসাহ তৈরি করবে। কিন্তু দলের বুথ স্তরে সাংগঠনিক শক্তি দরকার। অন্তত ২৫০ আসনে ভোটারদের সঙ্গে দলের যোগাযোগ থাকা জরুরি। নির্বাচনী কেন্দ্রে দলের কাজ ও যোগাযোগ দুটোই থাকতে হবে। কংগ্রেস তো বটেই, অন্যান্য বিরোধী দলের ক্ষেত্রেও এটা সত্যি।
বিজেপি যতই শক্তিশালী হোক না কেন, গণতন্ত্রের যুদ্ধ শেষ হয়নি। কারণ, জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। এই ক্ষোভ কেবল অর্থ বা প্রচার দিয়ে স্তব্ধ করা যাবে না। অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেস রাজ্যে যেমন দক্ষিণ বা পূর্ব ভারত, তামিলনাড়ু বা বাংলার মতো রাজ্যে যেখানে শক্তিশালী স্থানীয় নেতানেত্রী রয়েছেন, তাঁরা এখনো বিজেপির জন্য বিরাট চিন্তার কারণ। মনে রাখতে হবে, এসব অঞ্চলে মোট ৫৪৩ আসনের মধ্যে প্রায় ৩০০ আসন রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ভুলে গেলে চলবে না, পরাজিত হলেও কংগ্রেস সাম্প্রতিক রাজ্য নির্বাচনে প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। যদি তারা ৩০ শতাংশ ভোটও পায়, তাহলেও বিজেপি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কিছু বিক্ষিপ্ত লড়াইয়ে হার হয়েছে ঠিকই; কিন্তু যুদ্ধে সামগ্রিক পরাজয় হয়েছে বলে আমার মনে হয় না।
ধন্যবাদ
তিস্তা শেতলবাদ: আপনাকেও ধন্যবাদ।