৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থান হলো, এটিকে সামগ্রিকভাবে আপনি কীভাবে দেখেন?
হোসেন জিল্লুর রহমান: বাংলাদেশের ইতিহাসে একে এক অভূতপূর্ব ঘটনা হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে। এক অর্থে এটা ছিল প্রত্যাশিত, অন্য অর্থে ছিল অপ্রত্যাশিত।
বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাসে গত ১৫ বছর, বিশেষ করে গত ১০ বছরকে আলাদাভাবে দেখতে হবে। বাংলাদেশের অগ্রগতির যে ধারা সাধারণভাবে কার্যকর ছিল, গত ১০ বছরের শেখ হাসিনার এই শাসনামল মৌলিকভাবে বিপরীত দিকে চলে গিয়েছিল। উন্নয়নের ডামাডোলে ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণায় আমরা দেখলাম মানুষের আত্মমর্যাদা বলে যে একটি বিষয় থাকে, তা নিয়ে আর কেউ থাকতে পারছিল না।
খুন, গুম, গায়েবি হামলা, নির্যাতন নিত্যবাস্তবতায় পরিণত হয়েছিল। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে অত্যাচার হয়েছে, পথেঘাটে অপমানের দুঃসহ যাতনা বয়ে বেড়াতে হয়েছে। রাষ্ট্রযন্ত্রে নিয়মের বালাই ছিল না। যা সাধারণ মানুষ নিতে পারছিল না, কিন্তু মুখ বুজে সহ্য করছিল। সার্বিকভাবে সবার মর্যাদার জায়গাটাকে আহত করা হয়েছে। মানুষের কষ্টকে ব্যঙ্গ করা হতো। এ অবস্থা এত সময় ধরে চলতে পারে না। সেদিক থেকে এই পরিবর্তন ছিল প্রত্যাশিত।
অন্যদিকে অপ্রত্যাশিত ছিল এ কারণে যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ যেসব শক্তির এই পরিবর্তন আনার কথা, তারা অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারছিল না। পুরো ২০২৩ সাল ধরে এ চেষ্টা ও ব্যর্থতার চিত্র আমরা দেখেছি। এটা শেষ পর্যন্ত পেরেছে ছাত্ররা। তাদের সফলতার প্রধান কারণ ছিল, তারা দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ওই আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পেরেছিল।
সাধারণ মানুষকে যে ভয় এত দিন টেনে রেখেছিল, আবু সাঈদ এবং অন্য অনেকের আত্মত্যাগ ও সাহস সেই ভয়কে ভেঙে দেয়। ভয় ভেঙে যাওয়ার এই মনস্তাত্ত্বিক উত্তরণ সরকারের পতন ঘটায়। ছাত্রদের আন্দোলনে যুক্ত হয় জনতা। বোঝা গেল, সরকার এত দিন তাসের ঘরের মধ্যে ছিল। মূলত পুলিশি শক্তির ওপর নির্ভর করে এত দিন শেখ হাসিনার শাসন টিকে ছিল। এই পুলিশি স্তম্ভ নড়বড়ে হয়ে পড়ায় দ্রুত সরকারের পতন হয়।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যে একটি স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে পারল না, এটা কি প্রথাগত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি মানুষের অনাস্থার প্রকাশ? তাদের সঙ্গে জনগণ নামল না কেন?
হোসেন জিল্লুর: আমি বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখি। ২০২৩ সালে বোঝা যাচ্ছিল যে মানুষ পরিবর্তন চায়। মানুষ প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে চাইছিল, করছিলও। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো যথাযথ আন্দোলন সংগঠিত করতে পারছিল না। আসলে এর জন্য যা দরকার ছিল, তা হচ্ছে বেপরোয়া সাহস। রাজনৈতিক দলগুলো তা দেখাতে পারেনি। কিন্তু ছাত্ররা বেপরোয়া সাহস দেখিয়ে মানুষকে সাহসী করে তুলেছিল। সে কারণে জনগণ তাদের সঙ্গে মাঠে নেমেছে। বাঁধ যখন ভেঙে যায়, তখন সবকিছু ভেসে যায়। ছাত্ররা তো লাখ লাখ ছিল না। কিন্তু তারা ভ্যানগার্ড হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। সেই কাজটি তারা সঠিকভাবে করতে পারায় লাখ লাখ মানুষ পথে নেমেছে।
সরকার পতনের পর অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকারের কার্যক্রমকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
হোসেন জিল্লুর: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান-পরবর্তী পরিস্থিতিকে দুভাবে দেখার সুযোগ আছে। প্রথমত, আমলাতান্ত্রিক দৃষ্টিতে যদি দেখি, তাহলে বলতে হবে, শুরুতে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্য দিয়ে সরকারকে যেতে হয়েছে। এই বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনাটা প্রধান কাজ হিসেবে দেখা, যা এখনো পুরোপুরি অর্জিত হয়নি।
দ্বিতীয়ত, আমরা যদি পরিস্থিতিকে বৈপ্লবিক দৃষ্টিতে দেখি, তাহলে শুধু অবস্থা স্বাভাবিক করার ব্যাপার ছিল না, স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে জনমানুষের আকাঙ্ক্ষাকে কার্যকরভাবে ঐক্যবদ্ধ করতে উদ্যোগের প্রয়োজন ছিল। গণ-অভ্যুত্থানের পর সরকারের মূল কাজ হতে পারত ওই মুডটাকে বিবেচনায় নিয়ে দেশকে সংহত করা।
ওই মুডটা কি চলে গেছে?
হোসেন জিল্লুর: পুরোপুরি বলতে পারছি না। কিন্তু ঐক্যের ওই মুডটা আমি এখন দেখতে পারছি না। সরকারের উচিত ছিল মানুষের সঙ্গে কথা বলা, জনগণের কাছে যাওয়া। এটা একতরফাভাবে হবে না, প্রটোকলের ডামাডোলে তো নয়ই। ব্যাপকভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল। জনগণকে আস্থায় আনার জন্য ও আশ্বস্ত করার জন্য শুরুতেই এই কাজটি করা দরকার ছিল। এটা একটা রাজনৈতিক কাজ।
আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে এই সরকার প্রচলিত রাজনৈতিক নয়, কিন্তু তাদের কাজটা রাজনৈতিক। যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, সেই পরিবর্তন নামীদামি লোকেরা আনেনি। নামহীন লোকেরা এনেছে। এই নামহীন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সংযোগ জরুরি ছিল।
এটি সত্য, পতিত স্বৈরাচারী সরকারের অনেক সহচর আছে। তাদের নেত্রী পালিয়ে গেছেন, কিন্তু এসব সহচর তো পালিয়ে যায়নি। ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে আমলাতন্ত্র—সবখানেই এসব সহচর রয়ে গেছে। তাদের পাল্টা আঘাত হানা এবং বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা মোকাবিলা করাও একটি বড় কাজ ছিল; যা সরকার মোকাবিলা করেছে। কিন্তু মানুষের ‘মুড’কে কাজে লাগানোর বৃহত্তর কাজটি হলো কি না, সেটা আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরেকটা বিষয় মনে রাখতে হবে। সরকার হচ্ছে রাষ্ট্রের একটি দিক। দেশের অর্থনীতি কিন্তু চলে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে। তারা সক্রিয় হবে কি না, তা নির্ভর করবে তাদের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে কি না, তার ওপরে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খোলামেলা এনগেজমেন্ট কোথায়? ব্যবসায়ী মানে শুধু এফবিসিসিআই নয়। সাধারণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের উদ্যোগ তো দেখছি না।
সরকারের লোকজন বলছেন যে তাঁরা সংকট সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
হোসেন জিল্লুর: সংকট সামাল দেওয়া একটা প্রায়োগিক কাজ। এটা তাঁদের করতে হবে। এটা জনগণের কাছে বলার বিষয় নয়, এটা করার বিষয়। যা করার বিষয়, সরকার সেটাকে বলার বিষয়ে পরিণত করছে।
অর্থনীতির মূল কাজ আস্থা তৈরি ও ব্যবসার পরিবেশের উন্নতি। বিবেচনা করতে হবে সরকার কাজটি করছে কি না।
সাধারণ মানুষ নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাইছে। তাদের নিয়ে আমরা কীভাবে এগোব, সেই কার্যকর উদ্যোগ কোথায়। উপদেষ্টাদের তাঁদের নিজের দপ্তর থেকে বের হতে দেখছি না। তাঁদের তো এখন মাঠে-ময়দানে বেশি করে যাওয়া উচিত ছিল। সাধারণ মানুষ তাঁদের দেখতে পেলেও তো বুঝতে পারবে, সরকার কাজ করছে। সেটা তো দেখছি না।
শুধু আমলাতন্ত্রের ভাষায় কথা না বলে আরও বৃহত্তরভাবে বিষয়গুলো দেখতে হবে।
উপদেষ্টাদের বয়স কি একটা ব্যাপার? অনেকে এসব প্রশ্ন তুলছেন।
হোসেন জিল্লুর: বয়স তো ব্যাপার হতে পারে না। বয়স যদি সমস্যা হয়, তাহলে দায়িত্ব কেন নেওয়া হয়েছে? দরকার ছিল বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষকে সংযুক্ত করা, তাঁদের কথা শোনা, নিছক করার জন্য করা নয়, মনোযোগের সঙ্গে, আন্তরিকতার সঙ্গে।
সরকার যেভাবে স্বপ্ন, লক্ষ্যমাত্রার কথা বলছে, তা খুব উঁচু মানের। কিন্তু অনেকাংশে কর্মকৌশলবিবর্জিত। তারা যেভাবে বাস্তবায়ন করেছে, তা কিন্তু আগের চেয়ে বেশি আমলানির্ভর হয়ে যাচ্ছে। এখন তো দেখছি সবকিছু আমলাতান্ত্রিকভাবে হচ্ছে। কাজ না থাকলেও পদোন্নতির হিড়িক বেড়েছে বৈ কমেনি। এসবের মাধ্যমে প্রশাসনকে অনেকটা অকার্যকর করে তোলা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার কি রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে?
হোসেন জিল্লুর: সরকার যেভাবে স্বপ্ন, লক্ষ্যমাত্রার কথা বলছে, তা খুব উঁচু মানের। কিন্তু অনেকাংশে কর্মকৌশলবিবর্জিত। তারা যেভাবে বাস্তবায়ন করেছে, তা কিন্তু আগের চেয়ে বেশি আমলানির্ভর হয়ে যাচ্ছে। এখন তো দেখছি সবকিছু আমলাতান্ত্রিকভাবে হচ্ছে। চাপের কারণে সরকার ঢালাও পদোন্নতি দিয়েছে, ছাত্রদের একাংশের চাপে অটো পাস মেনে নিচ্ছে—এগুলোর মানে কী? কাজ না থাকলেও পদোন্নতির হিড়িক বেড়েছে বৈ কমেনি।
এসবের মাধ্যমে প্রশাসনকে অনেকটা অকার্যকর করে তোলা হচ্ছে। ফাইল চালাচালিতে পারদর্শী আমলারা মাঠের উন্নতিকে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে আগ্রহী নয়। মূল কাজ হচ্ছে সরকারের সক্রিয় হওয়া, কিন্তু তা হচ্ছে না।
অনেকে মনে করেন, এ সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন নিয়ে আসা একটি সরকার। তারা কি তাদের শক্তিটা বুঝতে পারছে? সরকারের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতা, সিদ্ধান্ত নিয়ে বদল করার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সরকার কি তার নিজের শক্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল? অথবা নিজের দুর্বলতা কোথায়, তা কি বুঝতে পারছে?
হোসেন জিল্লুর: সরকারের শক্তি হচ্ছে জনসমর্থন ও আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু সরকার যদি এই জনসমর্থনকে ‘টেকেন ফর গ্রান্টেড’ বা নিশ্চিত বিষয় বলে ধরে থাকে, তাহলে বড় ধরনের ভুল হবে। এ সরকার কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেনি। মানুষের আকাঙ্ক্ষার সমর্থনই এই সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নির্ধারণ করেছে।
এখন যদি সরকার আমলাদের ফাইল চালাচালির সংস্কৃতিতেই তাদের কার্যক্রমে আবদ্ধ রাখে এবং পতিত সরকারের দোসরদের ষড়যন্ত্রকে বড় করে দেখতে থাকে, তা হলে এটা সরকারের দুর্বলতার লক্ষণ।
উপদেষ্টারা কি আমলাতান্ত্রিক নেতা, নাকি একটি গতিশীল বাস্তবতার মধ্যে থাকা নেতৃত্ব—সে ব্যাপারে তাঁদের পরিষ্কার হওয়া জরুরি। এ পর্যন্ত সরকার ১০টি সংস্কার কমিশন করেছে। এ ধরনের আরও সংস্কার কমিশন করা সম্ভব। কিন্তু দেখা দরকার এগুলো কেতাবি বিষয়ে পরিণত হচ্ছে কি না। এখানে অগ্রাধিকার সুনির্দিষ্ট করার একটি ব্যাপার আছে।
রাজনৈতিক সরকারের চেয়ে এই সরকারের আকার ছোট। কিন্তু একটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তাদের সামাল দিতে হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থান যে জন-আকাঙ্ক্ষা তৈরি করেছে, তার চাপ আছে। এমন একটি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য এই সরকার কতটা ডায়নামিক?
হোসেন জিল্লুর: সরকার ডায়নামিক কি না, তা সূচকের মাধ্যমে দেখতে হবে। এই সরকারের কাজ তিনটি—রুটিন কাজ, সংস্কার ও রাজনৈতিক উত্তরণ। এগুলো করতে গেলে মাঠের চাহিদা বোঝা দরকার। প্রথমত, আমি বলব অর্থনৈতিক দিক থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব জায়গায় নিশ্চিত দুর্নীতি হতো, তা বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, সংস্কারের বিষয়ে আরও খোলামেলা আলোচনা দরকার, অগ্রাধিকার সুনির্দিষ্ট করা দরকার। কৌশলগত চিন্তা দিয়ে সংস্কারকে সাজানো দরকার ছিল, যা দৃশ্যত হচ্ছে না।
তৃতীয় কাজটি হচ্ছে, একটি রাজনৈতিক রোডম্যাপ তৈরি করা। যা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট করা। সরকারে মেয়াদ নিয়ে অনেক কথা, অনেক বিতর্ক। শুরু থেকেই যৌক্তিক মেয়াদের কথা বলা হয়েছে। তবে ওই যৌক্তিক সময় কী? যৌক্তিকতার কোনো কেতাবি বোঝাপড়া এখানে গ্রহণযোগ্য হবে না। জন-আকাঙ্ক্ষাসংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট ও সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া না গেলে যৌক্তিক মেয়াদের মানে বদলে যাবে। এই মেয়াদ আরও ছোট হয়ে আসবে।
আপনি বলেছেন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রাজনৈতিক উত্তরণ। মানে নির্বাচন। এর প্রস্তুতি সরকার কীভাবে নিতে পারে?
হোসেন জিল্লুর: স্থানীয় সরকার নিয়ে আমাদের নতুন করে চিন্তাভাবনা করা উচিত। আমি মনে করি, অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে যেকোনো পর্যায়ের অন্তত একটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আয়োজন করা উচিত। এটি একটি পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত হবে।
তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের যে বিধান ২০১৪ সালে নিয়ে আসা হয়, তা বাতিল করতে হবে। আর নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতার ধারাগুলো আলোচনা করে সংশোধন করতে হবে। যাতে অত্যাচারী, খুনের আসামি ও দুর্নীতিবাজেরা সুযোগ না পায়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সফল আয়োজন জাতীয় নির্বাচনের একটি প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।