তরুণ শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছিলেন, এ কথা সত্য। কিন্তু তার চেয়ে বেশি সত্য, দেশটির ২৪ বছরের ইতিহাসে কখনোই তিনি নিজেকে পাকিস্তান রাষ্ট্রকাঠামোয় প্রতিস্থাপন করেননি। কলকাতায় প্রগতিশীল মুসলিম তরুণদের নিয়ে যে ইনার সার্কেল গঠিত হয়েছিল, তাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। এই সার্কেলের প্রধান সংগঠক মোয়াজ্জেম চৌধুরীর সহায়তায়ই ১৯৬৩ সালে বঙ্গবন্ধু আগরতলা গিয়েছিলেন স্বাধীনতাসংগ্রামে ভারতের সহায়তা পাওয়ার আশায়। কিন্তু দিল্লির সঙ্গে যাঁকে যোগাযোগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তিনি সেটি করতে না পারায় বঙ্গবন্ধুকে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয়। মোয়াজ্জেম চৌধুরী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘শেখ মুজিব যে এত বড় নেতা হলেন, এটার মূল কারণ হচ্ছে যে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের সঙ্গে তিনি কখনো আপস করেননি। অন্যদিকে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেও তিনি গণতান্ত্রিক সংগ্রামে নির্ভীক ছিলেন এবং সেটার জন্যই পাকিস্তানের এক নম্বর লিডার হয়ে গেলেন।’ (১৯৭১ চতুর্থ খণ্ড, আফসান চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎকার।)
প্রকৃত প্রস্তাবে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলার সেদিনই বিচ্ছেদ ঘটল, যেদিন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় ঘোষণা করলেন, ‘উর্দু এবং উর্দুই হবে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।’ সূচনালগ্ন থেকে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীর বৈরী, বিদ্বেষপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক নীতি বাঙালির স্বশাসনের দাবিকে আরও শাণিত করে। বঙ্গবন্ধু তখনই মোটামুটি বুঝে গেছেন, ‘ওদের সঙ্গে থাকা যাবে না।’ কেননা ওদের ভাষা, সংস্কৃতি, চেহারা—কিছুতেই বাঙালি বা এ দেশের মানুষের সঙ্গে মিল নেই।
শেখ মুজিবই এ দেশে প্রথম রাজনীতিকে সাধারণ মানুষ তথা গ্রামের মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত তরুণদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম
হয়েছিলেন। তাঁর উদ্দীপনাময় ও আবেগময় বক্তৃতা সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে মুগ্ধ ও প্রাণিত করত। নবাব-অভিজাত শ্রেণি যাদের তুচ্ছ–তাচ্ছিল্য করত, তিনিই তাদের নেতা হলেন, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক প্রথম কৃষকের অধিকার নিয়ে রাজনীতি করলেও তাঁর মধ্যে একটি দোলাচল কাজ করত। কিন্তু শেখের বেটা হয়ে উঠলেন সত্যিকারের গণমানুষের নেতা। প্রিয় দেশবাসীর বিপরীতে তাঁর ‘ভায়েরা আমার’ ও ‘বোনেরা আমার’ শব্দবন্ধ গোটা জনগোষ্ঠীকে আন্দোলিত করেছিল।
শেখ মুজিবের চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সবার সঙ্গে থেকে সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়া। তিনি যখন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তখন, সেই পদটি দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আবার তিনি যখন সভাপতির পদ অলংকৃত করেন, তখন সেই পদটিই দলের ঐক্যের প্রতীকে পরিণত হয়।
যে দেশের রাজনীতিতে চরম বাম থেকে ডানে যাওয়ার অসংখ্য উদাহরণ আছে, সে দেশে তিনি বরাবর ছিলেন মধ্যপন্থার অনুসারী। তিনি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গেছেন; হঠাৎ বিপ্লবস্পৃহা তাঁকে কখনো আকর্ষণ করেনি। তিনি যেমন ছিলেন সময়ের সন্তান, তেমনি সময়কেও এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
ষাটের দশকে শুরুতে নিষিদ্ধঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মণি সিংহ ও খোকা রায়ের সঙ্গে শেখ মুজিবের একটি বৈঠক হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল আন্দোলনের গতিপথ ঠিক করা। আলোচনার একপর্যায়ে মুজিব বললেন, দাদা, গণতন্ত্র-স্বায়ত্তশাসন এসব কিছুই পাঞ্জাবিরা দেবে না। কাজেই স্বাধীনতা ছাড়া বাংলার মুক্তি নেই। কমিউনিস্ট পার্টির দুই নেতা তাঁকে বোঝাচ্ছিলেন, স্বাধীনতার জন্য তো মানুষকে আগে প্রস্তুত করতে হবে। তখন মুজিব বললেন, আপনাদের কথা এখন মানলাম, কিন্তু স্বাধীনতাই আমার চূড়ান্ত লক্ষ্য। (সূত্র: সাপ্তাহিক একতা, ১৯ আগস্ট ১৯৮৮)
শেখ মুজিব বাঙালির মুক্তির সনদ বলে পরিচিত ছয় দফা কর্মসূচি এমন সময়ে ঘোষণা করলেন, যখন বাঙালিদের মধ্যে পাকিস্তানি শাসকবর্গ সম্পর্কে প্রচণ্ড বিরূপ ধারণা জন্ম নিয়েছিল, ১৯৬৫ সালে ১৩ দিনের যুদ্ধে তারা পূর্ববাংলাকে অরক্ষিত রেখে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েই ব্যস্ত ছিল। আবার যখন চরম বামেরা সত্তরের নির্বাচন বর্জন করে এক পাকিস্তান কাঠামোয় জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব করার চিন্তা করছিল, বঙ্গবন্ধু নির্বাচনকে নিলেন তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পক্ষে গণভোট হিসেবে। আর ব্যালটে তিনি এমন অভাবিত বিজয় অর্জন করলেন যখন পাকিস্তানিদের বুলেট, ট্যাংক, কামান—সবই তুচ্ছ হয়ে গিয়েছিল।
যাঁরা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি বলে ফালতু বিতর্ক করেন, তাঁদের ইতিহাসজ্ঞান সম্পর্কে সন্দেহ না করে পারা যায় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে সীমিত নয়, বলা যায় পাকিস্তান প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই স্বাধীনতার নতুন সংগ্রামের শুরু। আর স্বাধীনতার এই স্পৃহা বাঙালি মানসে শেখ মুজিব এমনভাবে প্রোথিত করেছিলেন যে যেদিন ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করলেন, সেদিনই বাংলাদেশে পাকিস্তানিরা কর্তৃত্ব হারাল; বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হলো গণরাজ অথবা জনগণের শাসন। আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার আগে তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিয়ে নিলেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চেয়েছেন, কিন্তু যুদ্ধ চাননি। যুদ্ধটা পাকিস্তানিরাই চাপিয়ে দিয়েছে।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর তৎকালীন পাকিস্তান, বিশেষ করে পূর্ববাংলার রাজনীতিতে যেসব উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে, তার প্রধান পুরুষ ছিলেন শেখ মুজিবই। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন যখন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়, তখন তিনি কারাগারে, কিন্তু দল গড়ার প্রস্তুতিটি আগেই নিয়ে রেখেছিলেন। এমনকি আসাম থেকে আগত আরেক লড়াকু নেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সামনে রেখে এই দলটি গঠিত হবে, সেসবও তিনি ঠিক করে রেখেছিলেন। সোহরাওয়ার্দী তখন কলকাতা ছেড়ে করাচিতে এবং আবুল হাশিম ভারতে থেকে যাওয়ায় তাঁদের অনুসারীদের সংগঠিত করার দায়িত্ব এসে পড়ে শেখ মুজিবের ওপরই। প্রথমে তিনি ছাত্রলীগকে পুনর্গঠন করেন। এরপর বিভিন্ন জেলা শহরে সভা করতে থাকেন।
পাকিস্তানি শাসনামলের অর্ধেক সময়ই বঙ্গবন্ধুর কেটেছে কারাগারে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ও উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের নেতা তোফায়েল আহমেদ সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর কারাবাসের যে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন, তা দেখে শিহরিত হতে হয়। তাঁর জীবনের ৪ হাজার ৬৮২ দিন কেটেছে কারাগারে। এর মধ্যে স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ব্রিটিশ আমলে ৭ দিন কারাভোগ করেন। বাকি ৪ হাজার ৬৭৫ দিন তিনি কারাভোগ করেন পাকিস্তান সরকারের আমলে। তিনি ১৯৩৮ সালে প্রথম কারাগারে যান। এরপর ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিনি ৫ দিন কারাগারে ছিলেন। একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আটক হয়ে মুক্তি পান ১৯৪৯ সালের ২১ জানুয়ারি। এ দফায় তিনি ১৩২ দিন কারাভোগ করেন। এরপর ১৯৪৯ সালের ১৯ এপ্রিল আবারও কারাগারে গিয়ে ৮০ দিন কারাভোগ করে মুক্তি পান ২৮ জুন। ওই দফায় তিনি ২৭ দিন কারাভোগ করেন। একই বছরের ১৯৪৯ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৩ দিন এবং ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৯৫২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি টানা ৭৮৭ দিন কারাগারে ছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পরও বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে যেতে হয়। সে সময়ে বঙ্গবন্ধু ২০৬ দিন কারাভোগ করেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক আইন জারির পর বঙ্গবন্ধু ১১ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন। এ সময়ে টানা ১ হাজার ১৫৩ দিন তাঁকে কারাগারে কাটাতে হয়। এরপর ১৯৬২ সালের ৬ জানুয়ারি আবারও গ্রেপ্তার হয়ে মুক্তি পান ওই বছরের ১৮ জুন। এ দফায় তিনি কারাভোগ করেন ১৫৮ দিন। এরপর ’৬৪ ও ’৬৫ সালে বিভিন্ন মেয়াদে তিনি ৬৬৫ দিন কারাগারে ছিলেন। ছয় দফা দেওয়ার পর বিভিন্ন মেয়াদে ৯০ দিন কারাভোগ করেন। এরপর ১৯৬৬ সালের ৮ মে আবারও গ্রেপ্তার হয়ে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে মুক্তি পান। এ সময় তিনি ১ হাজার ২১ দিন কারাগারে ছিলেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই পাকিস্তান সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ দফায় তিনি কারাগারে ছিলেন ২৮৮ দিন। (জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা, প্রথম আলো, ৭ মার্চ ২০১৭)
সমকালীন অন্যান্য নেতার সঙ্গে শেখ মুজিবের ফারাকটি উপলব্ধি করা যায় একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের বয়ানে। আটষট্টি সালে পিডিএম নেতারা সারা দেশ চষে বেড়াচ্ছেন তাঁদের ঘোষিত আট দফার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে। কিন্তু তাঁরা যেখানে যান সেখানেই লক্ষ করেন জনসভায় আগত লোকজন শেখ মুজিবের কথা জানতে চান। একবার ট্রেনে যেতে পিডিএম নেতা আবদুস সালাম খান সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করেন, আচ্ছা বলেন তো মানুষ এত শেখ মুজিব, শেখ মুজিব করে কেন? তখন একজন সাংবাদিক বলেন, আপনারা এখন কোথায় আছেন? উত্তর ট্রেনের প্রথম শ্রেণির সেলুনে। আর শেখ মুজিব কোথায় আছেন? জেলখানায়। তখন ওই সাংবাদিক বললেন, এ কারণেই মানুষ শেখ মুজিব শেখ মুজিব করে। (সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু, আমির হোসেন, অ্যাডর্ন পাবলিকেশনস।)
দীর্ঘ ছয় দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির কেন্দ্রীয় চরিত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জীবদ্দশায় তো বটেই, মৃত্যুর পরও তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে আমাদের রাজনীতি। জীবিতকালে তিনি এ দেশের জনমানসে যে জায়গা করে নিয়েছিলেন, মৃত্যুর ৪২ বছর পর তা আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। যাঁরা একসময় তাঁর বিরোধিতা করতেন, তাঁরাও এখন জাতীয়তা ও স্বাধীনতা বিনির্মাণে তাঁর ভূমিকার কথা স্বীকার করেন। সমসাময়িক রাজনীতিকেরা যেখানে বারবার নীতি পরিবর্তন করেছেন, তাত্ত্বিক বিতর্কে দলকে বিখণ্ডিত করেছেন, সে সময়ে শেখ মুজিব জীবন-মৃত্যু পায়ের ভৃত্যজ্ঞান করে বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন, পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে করে তুলেছেন অনিবার্য। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর অসহযোগও মহাত্মা গান্ধী বা মার্টিন লুথার কিংয়ের মতো নিছক প্রতিবাদ-আন্দোলন ছিল না; ছিল পাকিস্তানি রাষ্ট্রকাঠামো এবং শাসনের বিরুদ্ধে একটি সফল ও বিকল্প শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
১৫ আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়েই কি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সঙ্গে শেখ মুজিবের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে? অবশ্যই নয়। ঘাতকেরাও জানত, বাংলাদেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। এ কারণেই মৃত্যুর পরও তারা সংঘবদ্ধ হয়ে শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ও অপপ্রচার চালিয়েছে। একসময় রাষ্ট্রীয় প্রচারযন্ত্র দূরে থাক, বেসরকারি গণমাধ্যমেও তাঁর নাম উচ্চারণ করা হতো না। সেই নিষেধাজ্ঞার দেয়াল পেরিয়ে শেখ মুজিব আজ বাংলাদেশের মানুষের চিন্তা ও মনন, আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। সেদিন যাঁরা তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরাই ইতিহাসের পাতায় নিষিদ্ধ হয়ে গেছেন।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় যদি আমাদের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ অর্জন হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড সবচেয়ে বড় বিয়োগান্ত ঘটনা, এ কথা স্বীকার করতেই হবে।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।