মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান নামেও পরিচিত) রাজ্যকে ‘বাঙালিমুক্ত’ (পড়ুন রোহিঙ্গামুক্ত) করার প্রক্রিয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামের জন্য শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির শাসনামলে গুরুতর রূপ নিয়েছে। বিপরীতে বিস্ময়করভাবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শক্তিগুলো মিয়ানমারে একটি সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর নির্মূল অভিযান থেকে নিজেদের দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে রেখেছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে এবং রোববার ৩ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস সু চির প্রতি অবিলম্বে এই নিষ্ঠুরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় প্রতিবেশীদের জোট আসিয়ান এবং আরব দেশগুলো অব্যাহত নীরবতার নীতি অনুসরণ করে চলেছে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে তুরস্ক এ বিষয়ে কিছুটা সোচ্চার হয়েছে এবং বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
লাখখানেক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে কয়েক যুগ ধরে আশ্রয় দেওয়া প্রতিবেশী বাংলাদেশের অবস্থান এ ক্ষেত্রে আরও জটিল ও ঘোলাটে। অগোছালো এই নীতিতে আছে সংশয়ের ছাপ, অস্পষ্টতা ও ধারাবাহিকতার অভাব। অত্যন্ত জনবহুল এই জনপদে আর কাউকে ঠাঁই দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই—এই যৌক্তিকতায় সরকার নতুন কোনো শরণার্থীকে গ্রহণ না করার নীতি ঘোষণার পরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী এখন সীমান্ত এলাকার মাঠ-ঘাট, রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে।
অতীতে সীমান্তে অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধে মিয়ানমারের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করার কথা বললেও এবারই প্রথম কথিত ইসলামি জঙ্গিসহ উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। গত ২৮ আগস্ট এই প্রস্তাব দেওয়া হয়। অথচ মাত্র এক দিন আগে ঢাকায় মিয়ানমারের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে নিয়ে নতুন করে শরণার্থীপ্রবাহ সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় মিয়ানমারে ইসলামি উগ্রপন্থীদের কী জাগরণ ঘটল যে সরকারকে উল্টো নীতি গ্রহণ করতে হবে, তার কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা নেই। এটা চূড়ান্ত বিচারে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নিধন অভিযানে পক্ষে যাওয়ার বিপদই বেশি।
আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের অভিজ্ঞতার আলোকে বিশ্বে যেকোনো ধরনের গণহত্যার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের একটি দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার কথা। কিন্তু রাজাপক্ষের আমলে শ্রীলঙ্কার গণহত্যার মতোই দ্বিতীয়বারের মতো মিয়ানমারে জাতিগত নির্মূলের নীতিতে পরিচালিত গণহত্যার অভিযোগকে আমরা উপেক্ষা করে চলেছি।
গত বছরের অক্টোবরে এক দফায় মাসাধিককাল চলা অভিযানে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়েছে ৮৫ হাজার রোহিঙ্গা (সূত্র: ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন)। আর এবার ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া নিরাপত্তা অভিযানে মাত্র এক সপ্তাহেই ঘরবাড়ি ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছে ৫৮ হাজার (বিবিসি উদ্ধৃত জাতিসংঘ সূত্র)। তবে বেসরকারি সূত্রগুলোর দাবি, ১০ দিনে এই সংখ্যা ১ লাখ ছুঁয়েছে। শুধু দেশান্তরি হওয়ার সংখ্যা থেকেই দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর নিষ্ঠুরতার মাত্রা কী পরিমাণে বেড়েছে, তা অনুমান করা যায়। মিয়ানমারের এই রাজ্যটি হচ্ছে সংখ্যালঘু মুসলমান রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আবাসভূমি। অবশ্য এ বছরের জানুয়ারিতে বিবিসি জানায়, অং সান সু চি বলেছেন যে আরাকানের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী শঙ্কিত যে তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। দেশটির সর্বশেষ শুমারিতে দেখা যায়, আরাকানে রোহিঙ্গা মুসলমানের সংখ্যা ১৪ লাখের মতো। যার মানে দাঁড়াচ্ছে, গত এক বছরেই অন্তত ১০ শতাংশ রোহিঙ্গাকে তারা সেখান থেকে বিতাড়ন করেছে। সাংবাদিকদের জন্য নিষিদ্ধ ওই রাজ্যে ত্রাণকর্মীদেরও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গত শুক্রবার ১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সহিংস বাড়াবাড়ির খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে একটি মানবিক দুর্যোগ এড়াতে সংযম প্রয়োজন। তিনি একই সঙ্গে অসহায় লোকজনের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বাস্তবতায় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে কী ধরনের অভিযান পরিচালনা করছে, তার কোনো পূর্ণাঙ্গ ও নির্ভরযোগ্য বিবরণ পাওয়া যাচ্ছে না। মানবাধিকার গোষ্ঠী, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অবশ্য এ ক্ষেত্রে উপগ্রহ থেকে পাওয়া ছবির সাহায্য নিয়ে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। রাথেডং শহরের কাছে শিন খার লি নামের একটি গ্রামের ছবিতে তারা দেখিয়েছে যে সেখানকার প্রায় সাত শ বাড়ির ৯৯ শতাংশই সেনাবাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া কার্যক্রমের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বিবিসিকে বলেছেন যে ২৫ আগস্টের ভোরেই এই ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকেও সংবাদদাতারা আগস্টের শেষ দিনগুলোতে মিয়ানমারের বিভিন্ন গ্রামে আগুন জ্বলতে দেখেছেন। লন্ডনের সাপ্তাহিক অবজারভার রোববার ৩ সেপ্টেম্বর জানিয়েছে যে অন্যবারের তুলনায় এবার শরণার্থীদের মধ্যে পুরুষদের সংখ্যা লক্ষণীয়ভাবে কম, নারী ও শিশুই বেশি। এর কারণ হিসেবে পত্রিকাটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদ্ধৃত করে বলছে, লড়াই করতে সক্ষম এমন বয়সী পুরুষদের বেছে বেছে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে।
অবজারভার ও বিবিসি বলছে, গত বছরের অক্টোবর এবং গত ২৫ আগস্টে রোহিঙ্গাদের যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে, তারা আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) নামের একটি নতুন সংগঠন। মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতা ও উত্তেজনার দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও এর আগে সেখানে কোনো বিদ্রোহী তৎপরতা ছিল না বলেও এসব প্রতিবেদনে বলা হয়। তবে বাংলাদেশে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশন নামের একটি গোষ্ঠীর তৎপরতার কথা প্রকাশিত হয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে অভিযোগ আছে যে এই আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের সঙ্গে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীর যোগসূত্র রয়েছে। তবে বিস্ময়করভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বীকৃত ও অঘোষিত আশ্রয়শিবিরগুলোর প্রাধান্য রয়েছে যে কক্সবাজার জেলায়, সেখানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংসদের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ সুবিদিত। এমনকি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও পাসপোর্ট পাওয়ায় সহায়তা করার অভিযোগও অনেক দিনের পুরোনো।
গত বছরের অক্টোবরে আরাকানে নতুন করে যে সহিংসতা শুরু হয়, সে সময় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার অভিযোগ উঠলেও জোরালো কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণে বাংলাদেশ অনেকটাই পিছিয়ে থাকে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পালিয়ে আসা দুই শতাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাক্ষাৎকারভিত্তিক প্রতিবেদনে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে রোহিঙ্গা নির্মূল নীতি অনুসরণের কথা জানায়। তারও আগে ২০১৬ সালের জুনে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্মূলের নীতি সম্ভবত মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে অভিহিত করেন। চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৪ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৩৪তম অধিবেশন। সেখানেই প্রথম জাতিসংঘে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক তদন্তের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইন্দোনেশিয়ার মারজুকি দারুসম্যানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের ওই কমিটির অপর দুজন হলেন শ্রীলঙ্কার মিস রাধিকা কুমারাস্বামী এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টোফার ডমিনিক সিদোতি। মিয়ানমার এই আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের সে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা এবং গণহত্যা ও অবিচারের বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বৈশ্বিক পরিসরে কূটনৈতিক উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়ায় বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও সে রকম কিছু আমরা প্রত্যক্ষ করি না।
প্রশ্ন হচ্ছে, কেন বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে উদ্যোগী হচ্ছে না। এর সম্ভাব্য একটি ব্যাখ্যা হতে পারে আঞ্চলিক বৃহৎ শক্তিগুলোর সমর্থনের অভাব। ভারত ও চীন উভয়েরই নজর রয়েছে মিয়ানমারের তেল-গ্যাসসহ খনিজ সম্পদের ওপর এবং রাখাইন রাজ্য জ্বালানিসম্পদে সমৃদ্ধ বলে ধারণা করা হয়। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থের পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক কৌশলগত কারণেও উভয় দেশই মিয়ানমারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অর্জনের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। সুতরাং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের কঠোর কূটনৈতিক উদ্যোগে চীন ও ভারত কারোরই সমর্থন ছাড়া বেশি দূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব না-ও হতে পারে বলে একটি মত প্রবল। তবে এর পাল্টা মত হিসেবে অনেকে মনে করেন, মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের দীর্ঘকালের সখ্যের পটভূমিতে চীনের কাছে সহায়তা চাইলে বাংলাদেশ কিছুটা সহানুভূতি পেতেও পারে। যুক্তি হিসেবে তাঁরা চীনের বৈশ্বিক আকাঙ্ক্ষার বিবেচনায় ভারত মহাসাগরে মিত্র হিসেবে বাংলাদেশকে পাওয়ার আগ্রহের কথা বলেন। তবে সরকারের সমালোচকদের কেউ কেউ মনে করেন, ক্ষমতাসীনদের মানবাধিকারের রেকর্ড নিয়ে যত সমালোচনা আছে, সেগুলোর আন্তর্জাতিকীকরণ ঠেকানোর কারণেই অন্য দেশের মানবাধিকারের ইস্যুর আন্তর্জাতিকীকরণে তারা অনাগ্রহী।
রোহিঙ্গা সমস্যার মূলে রয়েছে তাদের নাগরিক অধিকারের প্রশ্ন। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৩৪তম অধিবেশনে আরাকানে নৃশংসতার অভিযোগের আন্তর্জাতিক তদন্তের সিদ্ধান্তের পাশাপাশি আরও যেসব প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে, তার মধ্যে এই নাগরিকত্বের স্বীকৃতির বিষয়টি আলাদাভাবে গুরুত্ব পেয়েছে। এতে রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার ঝুঁকির কারণ হিসেবে দেশটির ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনকে চিহ্নিত করে তা পর্যালোচনা ও সংশোধনের আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ২৩ আগস্ট জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন মিয়ানমার সরকারের গঠিত কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতেও এই নাগরিকত্ব আইন সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের উচিত হবে রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে সব ধরনের সংশয় ঝেড়ে ফেলে বৈশ্বিক ফোরামগুলোতে সক্রিয় হওয়া। নিরাপত্তা পরিষদে এ মাসেই মিয়ানমার নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পরিষদের নতুন সভাপতি। সুতরাং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের কাছে মিয়ানমারের অমানবিক ও জাতিগত নির্মূল নীতির বিরুদ্ধে নৈতিক অবস্থান গ্রহণের দাবির পাশাপাশি লাখ লাখ শরণার্থীর মানবিক সহায়তা ও প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থার কথা বলতে হবে। ১১ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৩৬তম অধিবেশনে আন্তর্জাতিক তদন্তকারীদের প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। সেই তদন্তের বিষয়েও জোরালো অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন, যাতে গণহত্যার দায় থেকে কেউ পরিত্রাণ না পায়। গণহত্যার বেদনা কত গভীর ও ব্যাপক, তা বাংলাদেশের ভালোই জানা আছে। এর বিরুদ্ধে নৈতিক অবস্থান গ্রহণের বিকল্প কিছু নেই।
কামাল আহমেদ: সাংবাদিক।