পরীক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধের কী উপায়

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর তৃতীয় বড় কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা। প্রায় সারা বছর ধরেই শিশু, কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদের আত্মহত্যার খবর পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন-রেডিওতে প্রচারিত হয়। সেসব মৃত্যুর নানা কারণ থাকে। তবে প্রতিবছর প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আত্মহত্যার খবরে সংবাদমাধ্যম সয়লাব হয়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২১ জন কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এদের মধ্যে ১৯ জনই কিশোরী। তবে কি মেয়েদের মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনো আর্থসামাজিক কারণ আছে? এর আগে জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক সমাপনী ও নিম্ন মাধ্যমিকের (জেএসসি) সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলে ১৭ জন শিশু আত্মহত্যা করে। এখানেও আনুপাতিক হারে মেয়েদের সংখ্যা বেশি ছিল। ১৭ শিশুর ১০ জনই ছিল মেয়ে।

শুধু যে অকৃতকার্য হয়ে ছেলেমেয়েরা আত্মহত্যা করছে তা কিন্তু নয়। পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়েছে কিন্তু অল্প কিছু নম্বরের জন্য ১ নম্বর গ্রেড না পেয়েও আত্মহত্যার নজির আছে। এসব স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে মনে নানা প্রশ্ন ভিড় করে। তবে কি শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস, জীবন মানেই জিপিএ-৫? জিপিএ-৫ না পেলে সব দুয়ার বন্ধ হয়ে যাবে? পরীক্ষার্থীদের আত্মহত্যার খবর প্রতিবছরই কম-বেশি আসে কিন্তু এবার আচমকা এত মৃত্যুর পেছনে কি করোনা-ক্লান্তি কাজ করেছে? নাকি পারিবারিক চাপ? বন্ধুদের ভালো করার খবরের চাপ? ভালো ফল করা শিক্ষার্থীদের পিতামাতা-অভিভাবকদের লোক দেখানো উদযাপনের চাপ? ঠিক হয়ে থাকা বিয়ে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা? নাকি মেয়েদের ক্ষেত্রে ফেল করার কারণে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার ভয়?

বিভাগীয় শহর বা মহানগরগুলো থেকে জেএসসি পর্যায়ের একজনের আত্মহত্যার খবর থাকলেও এসএসসি পর্যায়ের কোনো দুঃসংবাদ এবার আসেনি। তবে কি মহানগরগুলোর পরিস্থিতি-প্রেক্ষাপট ভিন্ন? সেখানে অন্য কোনো বিকল্প আছে? এ বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের সঙ্গে টেলিফোনে-ফেসবুক মেসেঞ্জারে আলোচনায় নানা প্রশ্ন আর কার্যকারণের কথা এসেছে। কোনোটা অভিজ্ঞতা থেকে, কোনটা ধারণাপ্রসূত আবার কোনোটা শোনা কথা। তবে এটা ঠিক, কোনো একটা কারণ সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। কিছু সাধারণ কারণ থাকতে পারে যা কম-বেশি সব ক্ষেত্রেই সত্য হতে পারে। কারণগুলো জানলে সমাধানের পথ খোঁজা সহজ হবে। বিষয়টি নিয়ে যাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে, তাঁদের মধ্যে শিক্ষাবিদ, মনোবিজ্ঞানী, শিশু অধিকারকর্মী, সাংবাদিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ ছিলেন। তাঁরা নানাভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের বিশ্লেষণ ও মতামতের ভিত্তিতেও এই উপস্থাপনা।
পরিস্থিতি বিশ্লেষণ

ফলাফল-পরবর্তী আত্মহত্যা হচ্ছে মূল সমস্যার একটি সামান্য প্রতিফলনমাত্র। বলা যায়, পাহাড়ের ভেসে থাকা চূড়ামাত্র। দৃষ্টির অগোচরে পানির নিচে আবছা যা রয়েছে তা হলো অভিভাবকদের আত্মমগ্ন মানসিকতা, সমাজের প্রথাবন্দী দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে শিক্ষকদের দুর্বল যোগ্যতা। তারও গভীরে আপাত-অদৃশ্য যা তা হলো, ভ্রান্ত শিক্ষাব্যবস্থা, অপরিণত যাচাইপ্রক্রিয়া এবং শিক্ষার লক্ষ্য ও নীতিহীনতা। শিশুর স্বতঃস্ফূর্ত প্রবণতা বোঝার দায় কেউ নেয় না। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কথা নাইবা বললাম। এসবের চাপ শিশু-কিশোরেরা কীভাবে নেবে? তাই কিছু করা জরুরি এবং সঙ্গে আছি।

শিশুর আত্মমর্যাদাবোধে যখন কোনো ঘটনা স্পর্শ করে, তখন তার মনে যে প্রতিক্রিয়া হয় তার প্রকাশ কিন্তু এ ধরনের আত্মহননের মধ্য দিয়ে ঘটে। আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিশুর মানসিক বিকাশের চেয়ে চাপিয়ে দেওয়া ব্যবস্থাটা বড় কঠিন হয়ে শিশুমনকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এখন পড়াশোনার চেয়ে কোচিং বড়। বাড়িতে শিশুটির আনন্দ তো নেয়ই বরং অভিভাবকদের দিক থেকে থাকে এক বিরাট চাপ। ভালো ফলাফল চাইই চাই—এ তাগাদায় প্রতিটি শিশু মানসিকভাবে অসহায় হয়ে পরবর্তীতে এ ধরনের সিদ্ধান্তে পৌঁছে। তাই পারিবারিক পরিবেশ, শিক্ষা অর্জন শুধু ভালো চাকরি বা টাকার জন্য নয়, বিষয়টি অভিভাবকদের বোঝানো দরকার।
শিক্ষাপদ্ধতির পরিবর্তন প্রয়োজন। কারণ ফলাফলই শুধু শিক্ষার মানদণ্ড হওয়া উচিত নয়।

সমস্যা হলো, আমাদের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট করলে মা-বাবা নির্দয় আচরণ করেন। বন্ধুমহল তিরস্কার করে। আত্মীয়স্বজনও খোঁচা দিয়ে কথা বলেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘বদনাম’ হয়, তাই শিক্ষকরাও ছেড়ে কথা বলেন না। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা লজ্জা পায় বেশি। এসব কারণে অবুঝ ছেলেমেয়েগুলো মূলত লজ্জা পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ‘খারাপ’ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো মাথাব্যথা নেই। নেই বিশেষ সতর্কতা। কিন্তু পাশ্চাত্য দেশে কে কী রেজাল্ট করল, এটা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। কবে পরীক্ষা হলো, কবে রেজাল্ট হলো, এসব নিয়ে সাংবাদিকদের দৌড়ঝাঁপ নেই (বিশেষ করে মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে)।
দায় কার? রাষ্ট্রের কী?

শিক্ষা ও পরীক্ষাপদ্ধতি নিয়ে ক্রমাগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা। হাইস্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত গ্রেড একমাত্র বিবেচ্য বিষয় হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষক, অভিভাবক, বন্ধু, কোচিং সেন্টার, গৃহশিক্ষক সবার দিক থেকেই একটা চাপ থাকে। পছন্দের ‘ভালো’ প্রতিষ্ঠানে আবেদন করার পূর্বশর্তই হচ্ছে গ্রেড। কোনো ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় সুযোগ বা সেকেন্ড চান্স বলে কিছু থাকছে না। এ বছর একজন পরীক্ষক নিয়ন্ত্রকের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিলেন, নম্বর বেশি দেওয়ার জন্য সব পরীক্ষককে নাকি নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একজন লিখেছেন, ‘আমি একটা কথা বুঝতে পারি না, কী করে এত বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী সব বিষয়ে ৮০-এর ওপর নম্বর পায়।’
প্রতিবছর পুনর্নিরীক্ষার আবেদন বাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ফল রদবদলের হারও। ২০১৫ সালে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১০ শিক্ষা বোর্ডে ফল পরিবর্তন হয়েছিল ২ হাজার ৯১ শিক্ষার্থীর। এর মধ্যে অকৃতকার্য থেকে কৃতকার্য হয়েছে ৪০৪ জন, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪১ জন। বাকিদের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৬ সালে ১০ বোর্ডে ফল পরিবর্তন হয়েছে ৪ হাজার ১৫২ জনের। এ সময় অকৃতকার্য থেকে কৃতকার্য হয়েছে ১ হাজার ৮৫২ জন, নতুন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১১ জন। বাকিদের গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে। এসব তথ্য প্রমাণ করে উত্তরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মান বজায় রাখাটাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগের বছরগুলোতে অনেকেরই আত্মহত্যার পর তাঁর পাসের খবর বা উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির কথা জানা গেছে।

অভিভাবক পিতামাতার দোষ?
একটি শিশু বা কিশোর-কিশোরী যখন আত্মহত্যা করে তখন বুঝতে হবে তার অভিমান আমরা শুনিনি, তার অভিমানকে আমরা গুরুত্ব দিইনি। এটি আমাদের অভিভাবকদের ব্যর্থতা। কোচিং ক্লাস, বাসায় টিচার। এ ছাড়া মডেল টেস্ট! এর পরও অভিভাবকেরা আরও কিছু চান! সন্তানদের প্রাণ? পরিসংখ্যান তা-ই তো বলছে!

মা-বাবার মধ্যেও এক ধরনের পিয়ার প্রেশার কাজ করে। শিক্ষার্থীর ফলাফলকে মা-বাবা ও অভিভাবকেরা তাঁদের অহমিকার ভূষণে পরিণত করেছেন। আশা করেন সবাইকে অলরাউন্ডার হতে হবে? অভিভাবকেরাই শিক্ষার্থীদের মাথায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে ‘জিপিএ ফাইভ না পেলে জীবনে কিছু হবে না। তোমাকে অমুক সাহেব, অমুক বাবু আর অমুক আপার সন্তানের চাইতে ভালো ফলাফল করতে হবে। কারণ আমি তাঁদের চাইতে তোমাকে বেশি স্বচ্ছন্দে রাখছি, বেশি খরচ করছি তোমার পেছনে। বেশি টিউটরের কাছে পাঠাচ্ছি। গরিবের ছেলেমেয়েরা পারলে তুমি কেন পারবে না।’ মা-বাবারা তাঁদের ক্রয়ক্ষমতা দিয়ে সবকিছু বিচার করতে চান। মা-বাবার শখ-আহ্লাদ, প্রত্যাশা পূরণের অত্যাচারে নাকি লজ্জা—কোনটার জন্য আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় এ কোমল শিশুরা?

অনেক অভিভাবক মনে করেন ছেলেমেয়রা দায়ী। সামাজিক মাধ্যমের আলোচনায় যেমন কেউ বলেছেন, ‘আত্মহত্যা ভীরুতার লক্ষণ, কাপুরুষেরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কাপুরুষেরা মরার আগে বারবার মরে, তারা কেবলেই ঘৃণা পেতে পারে।’ কারও মতে, ‘আজকাল একটা ঢং হয়েছে, কথায় কথায় আত্মহত্যা করার প্রবণতা। মা-বাবার কষ্টের কথা একটুও ভাবে না। রেজাল্ট খারাপ হয়েছে তো কী হয়েছে, ভালো করে পড়াশোনা করে, আগামী বছর আবার পরীক্ষা দেবে, তা না আত্মহত্যা। কোথায় পায় আত্মহত্যার ওষুধ।’ অন্য একজন এমন অধর্মের কাজ থেকে ছেলেমেয়েদের বিরত রাখার জন্য আল্লাহ পাকের ‘হেদায়েত’ প্রার্থনা করেছেন।

ছেলেমেয়েদের যে আমরা বুঝতে পারছি না, অভিভাবকেরা যে নিজেদের কোনো ঘাটতি দেখছেন না, ওপরের আপাতনিষ্ঠুর মন্তব্যগুলো সেটাই নির্দেশ করে।

আত্মহত্যার পথ থেকে ফেরানোর উপায় কী হতে পারে
আমাদের আলোচনায় অংশ নেওয়া বন্ধুদের অনেকেই সমাধানের নানা পথ বাতলেছেন। সবাই মনে করেন এই পরিস্থিতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত এই অর্থহীন ফলাফলের দৌরাত্ম্য বন্ধ হওয়া আবশ্যক! বলেছেন, যা করার আমাদেরই করতে হবে। শিশুদের বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের। দীর্ঘ ও মধ্যমেয়াদি আর তাৎক্ষণিক সেসব পদক্ষেপের মধ্যে আছে

১। পরীক্ষাপদ্ধতি এবং রেজাল্ট-পদ্ধতির আশু পরিবর্তন।
২। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগে থেকেই অভিভাবক ও মা-বাবাকে সতর্ক করে দেওয়ার জন্য প্রচারণা। পরিবারে পরীক্ষার্থী থাকলে তাকে সব সময় চাপমুক্ত রাখতে হবে। ফলাফল প্রকাশের পর বিপন্ন শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা এবং তাদের প্রতি যত্নবান ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
৩। ফেসবুক ও নানা সামাজিক মাধ্যমে উদযাপনের মাত্রা উসকানিমূলক পর্যায়ে চলে যায়। উদযাপন বন্ধ করা।
৪। যেহেতু আত্মহত্যার তালিকায় মেয়েদের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেশি, তাই মেয়েদের বিষয়টি আলাদাভাবে ভাবতে হবে।
৫। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনাসহ একজন প্রশিক্ষিত মনোসামাজিক সহায়ক থাকবেন।
৬। অভিভাবক-শিক্ষক সংঘ, ছাত্র-শিক্ষক ক্লাব ইত্যাদির সভায় বিষয়টিকে আলোচনার তালিকায় রাখা। এবং আত্মহত্যানিরোধক পদক্ষেপ গ্রহণ।
৭। এ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা তৈরির জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী দল বা কার্যকর কোনো সংগঠিত স্বেচ্ছাসেবী দল থাকলে তাদের সহযোগিতা নেওয়া।
৮। সব ধরনের প্রচারমাধ্যমে বিষয়টিকে সারা বছর আলোচনায় রাখা।
তবে সব আলোচনা ছাপিয়ে যে বিষয়গুলো বারবার আলোচনায় এসেছে সেগুলো হচ্ছে: ক. সমাজের সব স্তরে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন খ. শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষক সবারই মনোসামাজিক পরিচর্যা গ. আত্মহত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়াদের সুরক্ষা।
এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই, এ দেশে মানসিক স্বাস্থ্য একটি অবহেলিত বিষয়। এ বিষয়ে আমাদের ধারণাগুলো খুবই সেকেলে আর ভ্রান্ত। অভিভাবকতা বা প্যারেন্টিং যে শেখার বিষয়, সেটা অনেক কথিত সচেতন ব্যক্তিও স্বীকার করেন না। কিশোর-কিশোরীদের মনের খবর আমরা রাখতে পারি না! দিন দিন মুখস্থ পড়াশোনা হয়ে উঠছে জীবনের বিকল্প। মানসিক অসুস্থতা থেকেই আত্মহত্যার মতো সংকটের সৃষ্টি হয়। এটা প্রতিহত করা সম্ভব। এই আলোচনা বা প্রস্তাবনা তখনই সম্পূর্ণ হবে যখন শিশু, কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে তাদের মতামতকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে।


লেখক: গবেষক
[email protected]