দারিদ্র্য ও বৈষম্যহীন সমাজ নিশ্চিতে বাজেটে সুস্পষ্ট লক্ষ্য চাই

বাজেট ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক হওয়া প্রয়োজনছবি : প্রথম আলো

২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের প্রস্তাবিত এই অর্থবছরের বাজেটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি দৃষ্টিভঙ্গিতে নতুনত্ব, বরাদ্দের অগ্রাধিকারে নমনীয় এবং বাজেট ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করে একশনএইড বাংলাদেশ, যাতে একটি দারিদ্র্য ও বৈষম্যহীন সমাজ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। এ লক্ষ্যে কয়েকটি খাতভিত্তিক বিশ্লেষণ তুলে ধরা হলো।    

জলবায়ু-সংক্রান্ত বরাদ্দ ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৬ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে হয়েছে ৪০ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। তবে আমরা লক্ষ করলে দেখতে পাই, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জলবায়ু বাজেটের ব্যবহার যেখানে ছিল ৯৪ শতাংশ, সেটি ২০২১-২২ অর্থবছরে এসে নেমেছে ৮৬ শতাংশে। সুতরাং জলবায়ু-সংক্রান্ত বরাদ্দ পেলেই চলবে না, সেই বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিক জায়গায় যথাযথ ব্যবহার হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা আর তার বাস্তবায়ন থাকতে হবে। জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করার জন্য গত বছরের বরাদ্দ ৬৫৩ দশমিক ৫০ কোটি টাকা থেকে এ বছর ৮১৪ দশমিক ৭১ কোটি টাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেট বাড়ানো হলেও সেটি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সাম্প্রতিক নজিরবিহীন বন্যা আমাদের জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তাই জলবায়ু ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আরও বাজেট বরাদ্দ এবং পরিবেশগত বিষয়ের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন প্রয়োজন।

বাজেটে শিক্ষা খাতে ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ দেশের মোট জিডিপির মাত্র ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা শিক্ষা খাতে যেকোনো দেশের জিডিপির ৪-৬ শতাংশ ব্যয় করার জন্য ইউনেসকোর সুপারিশের তুলনায় অনেক কম। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে শিক্ষার ব্যবধান কমাতে কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি এবারের বাজেটে।

একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দীর্ঘ মাত্রার দুর্যোগ, যেমন বন্যা-পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের ক্ষতি নিরসনে বিশেষ পদক্ষেপ এবং স্থানীয় পর্যায়ে ব্যবস্থাপনায় অধিক বাজেট বরাদ্দের প্রয়োজন রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় মোট বাজেট বরাদ্দের মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ রাখা হয়েছে, দেশের সার্বিক ঝুঁকি বিবেচনায় যা ৩-৫ শতাংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ ছাড়া উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে দুর্যোগ প্রভাব নিরূপণ এবং তা মোকাবিলার ব্যবস্থা রাখার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। সর্বোপরি বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি, যা জনগণের শক্তিকে কাজে লাগানোর সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায়।

এই অর্থবছরে সব ধরনের প্লাস্টিক এবং পলিথিন ব্যাগের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে প্লাস্টিকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই একে আবগারি শুল্কের অধীনে আনা উচিত।

গত বছরের তুলনায় কৃষি বাজেটে বরাদ্দ দশমিক ৯০ শতাংশ বাড়লেও তা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে তুলনা করলে কৃষি এডিপিতে বরাদ্দ ১৯ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা এবং পানিসম্পদে প্রায় ১৪ হাজার ৯৩২ কোটি টাকা কম। ফলে নদী খনন, তীর রক্ষা, জলাধার তৈরিসহ সংশ্লিষ্ট কাজ বিলম্বিত হবে, যা কৃষির প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বর্তমানে অ্যাগ্রিবিজনেসের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হলেও মার্কেট সিস্টেম তৈরি, নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি বা তাদের ট্রেনিং ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে কোনো বাজেট রাখা হয়নি।

কৃষির মূল চালিকা শক্তি ক্ষুদ্র ও পারিবারিক কৃষির উন্নয়ন, কৃষিসংশ্লিষ্ট উৎপাদন ও সেবা এবং জৈব কৃষি বা জলবায়ুসহনশীল স্থায়িত্বশীল কৃষিচর্চায় বরাদ্দ নির্দিষ্ট করতে হবে। নারী কৃষিশ্রমিকদের জন্য রাষ্ট্রীয় সেবা ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কৃষি নীতিমালায় নারী কৃষকদের কৃষি উপকরণ ও জামানতবিহীন ঋণ প্রদান সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিধান রাখা প্রয়োজন। শক্তিশালী, দক্ষ ও কার্যকর ‘স্যাটেলাইটভিত্তিক ডিজিটাল সার্ভিল্যান্স ও ফোরকাস্টিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য শস্যবিমা চালু করার প্রয়োজন রয়েছে। পরিবেশবান্ধব কৃষিব্যবস্থাকে উৎসাহিত করার কথা থাকলেও ভর্তুকি বৃদ্ধি করা হয়েছে রাসায়নিক সার আমদানিতে। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি কৃষি সার ও কীটনাশক তৈরিতে ভর্তুকি বৃদ্ধির বিষয়টি উপেক্ষা করা যাবে না।

এবারের বাজেটে জেন্ডার ও নারী উন্নয়নে ৪৪টি মন্ত্রণালয়ে মোট ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা দেশের জিডিপির ৫.১৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে নারীদের উন্নয়নের জন্য এই বাজেট ছিল ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের বহুপক্ষীয় কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ সাড়ে ৪ কোটি টাকা কমেছে, যদিও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, করোনাকালীন নারীর প্রতি সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে সরকারের প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তা ছাড়া মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিধবা ও বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধির জন্য বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।

প্রশংসনীয় উদ্যোগ হচ্ছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী শিল্প উদ্যোক্তাদের দ্বারা পরিচালিত সংস্থাগুলোর ন্যূনতম ট্যাক্সের জন্য টার্নওভার ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব এসেছে এবারের বাজেটে। এর ফলে বিনিয়োগযোগ্য উদ্বৃত্ত বাড়বে, যা নারী বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে নতুন নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। কোনো কর প্রদানকারী নিয়োগকর্তা যদি মোট কর্মরতদের ১০ শতাংশ কিংবা ১০০ জনের বেশি হিজড়া জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন তাহলে তাদের জন্য সরকার আয়কর ছাড়ের প্রস্তাব রেখেছে। এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। এতে বঞ্চিত ও অবহেলিত হিজড়া জনগোষ্ঠীর ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হিজড়া জনগোষ্ঠীর ব্যক্তিদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে যে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করবে, তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

শিল্প মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট গত অর্থবছরের তুলনায় কমেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এর বরাদ্দ কমেছে ৬৯১ কোটি টাকা (২ হাজার ২১২ কোটি টাকা থেকে ১ হাজার ৫২১ কোটি টাকা) এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমেছে ৩ কোটি টাকা (৩৬০ কোটি টাকা থেকে ৩৫৭ কোটি টাকা)। অথচ নিরাপদ ও টেকসই কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই মন্ত্রণালয় দুটির বরাদ্দ এ বছর আরও বৃদ্ধি করার প্রয়োজন ছিল। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর বেশি মনোযোগ দেওয়া হলেও অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মীরা বঞ্চিত হচ্ছেন, যদিও তাঁরা কর্মক্ষেত্রের ৮৫ শতাংশ দখল করে আছেন। অনানুষ্ঠানিক খাতকে বিবেচনায় নিয়ে এ খাতের উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

কর্মক্ষেত্রে গার্মেন্টস শ্রমিকদের দুর্ঘটনা ও আঘাত থেকে রক্ষা করার জন্য এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি স্কিমের (ইআইএস) পাইলট প্রকল্প চালু করা ছাড়া কোনো নির্দিষ্ট বরাদ্দ এবং পদক্ষেপের উল্লেখ পাওয়া যায়নি এবারের বাজেটে। অধিকন্তু দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচির (ইজিপিপি) জন্য বরাদ্দ ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। নারী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্যও কোনো নির্দিষ্ট বরাদ্দ রাখা হয়নি বাজেটে।

আরও পড়ুন

বাজেটে কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে একটি সুনির্দিষ্ট বার্ষিক পরিকল্পনা এবং বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। শ্রমিক ডেটাবেজ তৈরি করতে বাজেটে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। এটি একটি ডিজিটাল ডেটাবেজ হতে পারে, যেটি এনআইডি ডেটার সঙ্গে কর্মসংস্থান ডেটা (কর্মসংস্থানের খাত/প্রকৃতি/মজুরি/দুর্বলতা) একত্র করতে পারে। শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একটি বিশেষ পেনশন স্কিম, বেকারত্ব ভাতা এবং রেয়াতি ভাতার বিধান প্রবর্তনের জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও বাজেট বরাদ্দ অন্তর্ভুক্ত করারও প্রয়োজন রয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে বেশ কয়েকটি ব্যবসাবান্ধব পদক্ষেপেরও প্রস্তাব করা হয়েছে। শিল্পপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানোর প্রস্তাব এসেছে। নন-গ্রিন শিল্পের জন্য ১২ শতাংশ করের হার এবং গ্রিন শিল্পের জন্য ১০ শতাংশ করের হার যা শুধু আরএমজি শিল্পের জন্য প্রযোজ্য ছিল, তা অন্য সব সাধারণ শিল্পের জন্যও প্রযোজ্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই উদ্যোগ আরএমজিবহির্ভূত শিল্পগুলোকে বিকশিত হতে সমান সুযোগ প্রদানে ভূমিকা রাখতে পারে। মোট জনশক্তির কমপক্ষে ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি নিয়োগ দিলে নিয়োগকর্তার জন্য প্রদেয় করের ওপর ৫ শতাংশ ছাড়ের প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের বাজেটে, যা বিভিন্ন প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বসবাসকারী ব্যক্তিদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা যায়। মহামারির শিক্ষা কাজে লাগিয়ে, শিল্প ও বাণিজ্যের জন্য বিশেষ তহবিল গড়ে তোলা প্রয়োজন, যা ভবিষ্যতে একই ধরনের পরিস্থিতিতে কাজে লাগবে।

আরও পড়ুন

বাজেটে শিক্ষা খাতে ৮১ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত অর্থ দেশের মোট জিডিপির মাত্র ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ, যা শিক্ষা খাতে যেকোনো দেশের জিডিপির ৪-৬ শতাংশ ব্যয় করার জন্য ইউনেসকোর সুপারিশের তুলনায় অনেক কম। কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালে শিক্ষার ব্যবধান কমাতে কোনো সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি এবারের বাজেটে। বর্তমানে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার মাত্র ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। মানসম্পন্ন ও বাজারভিত্তিক কারিগরি শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয় এবং পরিবীক্ষণ কার্যক্রম শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

স্টার্টআপগুলোর জন্য টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ১ শতাংশ নির্ধারণ করে গত বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে। আয়কর রিটার্ন ব্যতীত সব ধরনের রিপোর্ট জমা দেওয়া থেকে স্টার্টআপগুলোকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের বাজেটে। এই উদ্যোগ তরুণ জনগোষ্ঠীসহ অন্যদের নতুন নতুন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ বিষয়টি মাথায় রেখে উল্লিখিত খাতসমূহে বাজেটের পুনর্বিবেচনা ও যথাযথ প্রয়োগই আমাদের সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ফারাহ্ কবির একশনএইড বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর