গাদ্দাফির ছেলে পারবেন লিবিয়ার হাল ধরতে?
লিবিয়ায় নির্বাচন হবে। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিলে বেশ তোড়জোড় চালাচ্ছে, যাতে এ বছরের শেষ দিকে সে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম বলতে গেলে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলামের নামটাও এসে যায়। প্রশ্ন ওঠে, তিনি কি নির্বাচনে দাঁড়াবেন? ধরতে পারবেন রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতায় টালমাটাল লিবিয়ার হাল?
এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে অন্য গল্প শুরু করা যাক। এটি এক তরুণীর গল্প।
দুই ভাই কারাগারে। থাকবস্তি বলে পারিবারিক যে বাড়িটা ছিল, যুদ্ধের ডামাডোলে সেটাও গেছে। আর নিজের বিদ্যাবুদ্ধির প্রমাণ দেওয়ার মতো যে কাগজপত্র লাগে, সেগুলোরও কোনো হদিস নেই। সব মিলিয়ে বলতে গেলে ২৬ বছরের তরুণী ফাতিমার দিনদুনিয়া আঁধার।
কিন্তু বেঁচে থাকতে হলে টিকে থাকার লড়াই তো করতে হবে। সে চেষ্টাই এখন করছেন লিবিয়ার বেনগাজির মেয়েটি। এটা নতুন করে দাঁড়ানোর চেষ্টা। তবে আগের সেই অনাবিল শান্তির জীবনে ফেরা আর কখনোই সম্ভব হবে না।
একসময় সবই ছিল ফাতিমার, এখন ঠাঁইঠিকানা ভাসমান। রাজধানী ত্রিপোলিতে আছেন বটে, কিন্তু সেটা তো তাঁর আসল ঠিকানা নয়। একটি দানা টিপলে যেমন সব ভাতের খবর পাওয়া যায়, এই এক ফাতিমা লিবিয়ার হাজারো সাধারণ মানুষের চিত্র তুলে ধরছেন। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের আয়োজন করার মতো পরিবেশের বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। এরপরও জাতিসংঘ এবং লিবিয়ার মিত্ররা বছরের শেষ দিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। নিবন্ধন চলছে ২৩ লাখ ভোটারের।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় ৬৪ লাখ মানুষের দেশটিতে যুদ্ধের কারণে প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত। তাঁদেরই একজন এই ফাতিমা। নিজের দেশেই তাঁরা এখন পরবাসী। এই ফাতিমারা আছেন লিবিয়াজুড়েই।
এসব অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু তৈরির মূলে রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্ব বড়ই জটিল।
খনিজ সম্পদ আর বাণিজ্যিক মুনাফায় সমৃদ্ধ বেনগাজিসহ পূর্বাঞ্চলীয় বিশাল এলাকা এখন সেনা কমান্ডার খলিফা হাফতারের করতলগত। তাঁরই রোষানলে পড়ে সপরিবারে উচ্ছেদ হয়েছেন ফাতিমারা এবং আরও অনেকে। তাঁদের বাসাবাড়ি, ব্যবসা–বাণিজ্য এখন হাফতারের অনুগত লোকজনের দখলে।
গত শতকের আশির দশকে হাফতার ছিলেন গাদ্দাফির প্রিয় সেনানায়ক। চাদের বিরুদ্ধে অভিযানে পাঠালে কর্নেল হাফতার ব্যর্থ হন এবং শ তিনেক সেনা কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পরে তাঁকে গাদ্দাফি সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার করেন। হাফতার চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সহযোগিতায় গাদ্দাফিকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে নামেন তিনি।
২০১১ সালের অক্টোবরে গাদ্দাফির পতনের পর দেশে ফেরেন হাফতার। তখন দেশে চারদিকে গোষ্ঠীগত বিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এ সময় রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে নানা মিলিশিয়া বাহিনী। এর মধ্যে একটি হচ্ছে আনসার আল শরিয়া। ইসলামপন্থী এই মিলিশিয়া দলে নাম লেখান ফাতিমার ভাইয়েরা। ২০১২ সালে বেনগাজির মার্কিন দূতাবাসে সন্ত্রাসী হামলা চালান তাঁরা। এতে মার্কিন রাষ্টদূতসহ চারজন নিহত হয়।
এ ঘটনার পর এই মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এই সুযোগে ইসলামিক স্টেট বা আইএস আর আল–কায়েদার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলো লিবিয়ায় ঢুকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তা চলতে থাকে টানা দুই বছর। এর মধ্যে হাফতার মিসর ও আরব আমিরাতের সহযোগিতায় এসব জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানে নামেন। হাফতারের এই সেনাবাহিনী লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা এলএনএ বলে পরিচিত।
২০১৪ সালে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের কাবু করে পূর্বাঞ্চলে এক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন হাফতার। একই সঙ্গে আনসার আল শরিয়াসহ অন্য মিলিশিয়া ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বেনগাজি এবং আশপাশের এলাকা থেকে বিতাড়িত করেন। এভাবে ফাতিমার মতো আরও অনেক লিবীয় পূর্বাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত হন।
হাফতারের বয়স এখন ৭৫। কিছু দিন আগে বেশ অসুস্থ হয়ে তিনি প্যারিসে চলে যান। ওই সময় তাঁর মৃত্যুর খবরও রটে। তবে সে গুঞ্জন ভুল প্রমাণ করে সদর্পে দেশে ফিরেছেন তিনি। তাঁর একটি বড় শক্তি হচ্ছে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির সমর্থন। সিসি এর মধ্যে মিসরের লৌহমানব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি তাঁর পাশে হাফতারের মতো একজনকে চাইছেন—অনেকটা মাসতুতো ভাইয়ের মতো। বর্ষীয়ান হাফতারের লক্ষ্য রাজধানী ত্রিপোলি নিজ করতলে নেওয়া। গোটা লিবিয়ার একক অধিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
জাতিসংঘের সমর্থনে লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের প্রাণকেন্দ্র ত্রিপোলিতে এখন জাতীয় ঐক্যের (জিএনএ) যে সরকার রয়েছে, এর মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। হাফতার এক টেলিভিশন ভাষণে এই সরকারের বৈধতা নেই বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
হাফতার যা–ই বলুন না কেন, জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় প্রতিষ্ঠিত ত্রিপোলির সরকারই এখন দেশ চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ফায়েজ আল সারাজ। তাঁরও বয়স কম নয়। ষাটের কাছাকাছি। বলিষ্ঠ কোনো রাজনৈতিক পটভূমি না থাকলেও ফায়েজের বাবা গাদ্দাফির মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বাবার সূত্রে ধনাঢ্য ফায়েজের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কম নয়, যদিও সরাসরি রাজনীতিতে সেভাবে কখনো তিনি আসেননি। ফায়েজ ক্ষমতায় এলেনই মাত্র ২০১৬ সালে। মধ্যপন্থী ফায়েজের জনসমর্থনও রয়েছে। কাজেই আগামী নির্বাচনে তিনিও একজন প্রভাবশালী প্রার্থী হতে পারবেন।
লিবিয়ার বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক আনাস আল গোমাতি সম্প্রতি দেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে আল–জাজিরায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, লিবিয়ার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী হবেন মূলত মিসরের সমর্থন পাওয়া হাফতার এবং জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন পাওয়া ফায়েজ। হাফতার যেহেতু একজন সেনানায়ক এবং যুদ্ধবাজ নেতা, কাজেই তিনি আগের সেই একনায়কত্বই ফিরিয়ে আনতে চাইবেন, যেখানে তাঁর থাকবে একক আধিপত্য। অন্যদিকে, ফায়েজ পুরোপুরি বেসামরিক শাসনের পক্ষে। এ পর্যায়ে দেশের মানুষ দ্বিধাবিভক্ত। তারা কাকে বেছে নেবে, এ নিয়ে ভেবে কূল পাচ্ছে না।
এখানে জাতিসংঘ যত জারিজুরিই দেখাক না কেন, বাস্তবে হাফতারের মতো কঠিন সেনা কমান্ডারকে বাগে আনা কঠিন। নির্বাচনে হাফতারের হার হলে তিনি সহজে যে মেনে নেবেন, এরও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এ ছাড়া আরও ছোট ছোট সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে, যারা এলাকাভিত্তিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় হরদম লিপ্ত, তাদেরও কবজা করা কম কথা নয়। তারা অনেকেই নির্বাচন চায় না। যেভাবে লুটেপুটে খাওয়া চলছে, সেভাবেই চলুক তাদের মগের মুল্লুক। সন্ত্রাসী বা জঙ্গি সংগঠনগুলোও চায় না নির্বাচনের মাধ্যমে স্থিতিশীল প্রশাসন এসে তাদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করুক। চলতি মাসের শুরুতে এ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ তারা ঘটিয়েছে। ত্রিপোলিতে নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তরে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১২ জন নিহত ও অনেকে আহত হয়। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা এটিকে নির্বাচনের জন্য অশনিসংকেত বলে মনে করছেন।
বেসামাল লিবিয়ার হাল ধরতে অভিলাষী অপর যে ব্যক্তির নাম শোনা যাচ্ছে, তিনি সাইফ আল ইসলাম। গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে তিউনিসে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়, আগুয়ান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলামও লড়বেন। ঘোষণাটি দেন লিবিয়ান পপুলার ফ্রন্ট পার্টির নেতা আয়মান আবু রাস। এর পরদিনই অবশ্য জিনতান মিলিশিয়াদের পক্ষ থেকে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, সাইফ আল ইসলাম এ ধরনের ঘোষণা দেওয়ার জন্য তাঁর পক্ষে কাউকে নিয়োগ করেননি।
গাদ্দাফির পতনের পর জিনতান মিলিশিয়ারা সাইফকে বন্দী করে জিনতানে নিয়ে যায়। সেখানে দীর্ঘদিন বন্দী ছিলেন সাইফ। বলা হয়ে থাকে, সাইফকে রক্ষা করার জন্যই জিনতানের সশস্ত্র যোদ্ধারা বন্দী করার নামে আশ্রয় দিয়েছিল।
গাদ্দাফির বড় ছেলে সাইফ ছিলেন তাঁর ডান হাত। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়ে বাবাকে সহায়তা করেছেন তিনি। সাইফের বিদ্যার ভিতও বেশ মজবুত। লন্ডন স্কুল অব ইকোমিকস থেকে পিএইচডি। বাবার খড়্গহস্ত বদমূর্তি ছাপিয়ে ভিন্ন রকম এক আদর্শিক ভাবমূর্তি গড়ে তোলেন তিনি। সাম্রাজ্যবাদের বিপরীতে অনেকটা বিপ্লবীর আদলে দেখা যায় তাঁকে। চলনে–বলনে সংস্কারক ও মানবতার সমর্থক হিসেবে নিজেকে দাঁড় করান। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে বাবার বিচ্ছন্নতা মূলত তাঁর মাধ্যমেই দূর হয়। ভাবগতিকে বোঝা যাচ্ছিল যে সাইফই গাদ্দাফির পরবর্তী উত্তরাধিকারী। একই নতুন এক লিবিয়ার স্বপ্নও দেখছিল সবাই।
কিন্তু গাদ্দাফির বিরুদ্ধে যখন বিদ্রোহ তেড়েফুঁড়ে ওঠে, সেই সাইফকেই দেখা গেল পুরো বিপরীত ভূমিকায়। বাবার পাশে দাঁড়িয়ে তিনিই মূলত বিদ্রোহের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি কঠোর অবস্থান নেন। ওই সময় তাঁর পশ্চিমা দুনিয়ায় গড়া ভাবমূর্তিতেও চিড় ধরে। গাদ্দাফির পতনের শেষ সময়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত আইসিসি তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধে অভিযোগ তুলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে, যা আজও বহাল। নিজ দেশের আদালতও তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে এই আদেশ রদ না হলে সাইফ কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। সাইফ এখন কোথায় আছেন, কেমন আছেন, এ নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।
সাইফের প্রতিনিধি বলে পরিচয় দেওয়া লিবীয় আইনজীবী খালেদ আল জায়েদি তিউনিসিয়ায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জিনতানের কারাগার থেকে সাইফকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে কিছু বলা যাবে না। কিন্তু ছয় মাসেরও বেশি সময় পরও সাইফ সম্পর্কে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি।
সাইফকে নির্বাচনে আসতে হলে বেশ কয়েকটি কঠিন বাধা পেরিয়ে যে আসতে হবে, তা নিশ্চিত। এটা ঠিক যে গাদ্দাফির সমর্থক এখনো লিবিয়ায় কম নয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকে এখনো গাদ্দাফির শাসনামলের কথা স্মরণ করে আফসোস করে। কারণ, সে সময় তিনি কঠোরভাবে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা দমন করেছেন। তাঁর সময় একনায়কের শাসন থাকলেও এত রক্তপাত ছিল না। ন্যাশনাল কমিশন ফর হিউম্যান রাইটস ইন লিবিয়ার তথ্যমতে, ২০১৭ সালে হানাহানিতে কমপক্ষে ৪৩৩ জনের প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ জন শিশু।
গাদ্দাফি যুগে মানুষ বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা আর শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল রমরমা। এখন তো এসব সুদূর পরাহত। গাদ্দাফির সমর্থক এসব মানুষ সাইফকে সমর্থন দেবেন। তবে ক্ষমতালিপ্সু যুদ্ধবাজ গোষ্ঠী, পশ্চিমাদের তল্পিবাহক লোকজন ও স্বাধীনতা অন্বেষীরা সাইফকে কখনো সহ্য করবে না। কাজেই সাইফের নির্বাচনে আসা বা লিবিয়ার হাল ধরার বিষয়টি হিমালয়সম বাধা পার হওয়ার মতো কঠিন।
শেষ কথা হচ্ছে, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন লিবিয়ায় যিনিই ক্ষমতায় আসুন না কেন, তাঁকে শক্ত হাতে নানা প্রতিকূলতার মোকাবিলা করতে হবে। গোষ্ঠীগত বিবাদ মেটানোসহ সশস্ত্র মিলিশিয়াদের কবল থেকে রাষ্ট্রীয় তেলের খনিগুলো উদ্ধারের মতো কঠিন কাজ করতে হবে তাঁকে। উন্নত পরিস্থিতির পরিবেশ সৃষ্টি করে মুক্ত করতে হবে বৈদেশিক ব্যাংকে অচল হয়ে থাকা বিপুল অঙ্কের অর্থ। শূন্যের কোঠায় নেমে আসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে টেনে তুলতে হবে। এ ছাড়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন তো আছেই। আরও আছে অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুদের নিজ ঠিকানায় পাঠানো এবং বিপুলসংখ্যক শরণার্থীকে সুন্দরভাবে বিদায় দেওয়া।
এত সব কাজের জন্য সে রকম মজবুত মেরুদণ্ড থাকতে হবে নতুন নেতার।
শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক
[email protected]