কেমন চলছে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়?

গত বছরের অক্টোবরে সহকর্মী শরিফুজ্জামান উপাচার্য-কথা নামে প্রথম আলোয় একটি ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন লিখেছিলেন, যা পাঠকমহলে বেশ আলোড়ন তুলেছিল। ওই প্রতিবেদনে গত আড়াই দশকে রাজনৈতিক বিবেচনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ এবং উপাচার্যদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির ফিরিস্তি ছিল। আমাদের আশা ছিল, এরপর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে রাজনৈতিক বিবেচনার চেয়ে দক্ষতা ও যোগ্যতা প্রাধান্য পাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি কমবে। কিন্তু সেই আশা যে প্রায় দুরাশা, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সে কথাই আমাদের নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান বিতরণ ও জ্ঞান সৃষ্টির প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হবেন পণ্ডিত ব্যক্তি, একই সঙ্গে যাঁর প্রশাসনিক দক্ষতা আছে। কিন্তু কোনো উপাচার্যের দুটোরই ঘাটতি থাকলে তাঁকে গ্রুপিং, লবি ও নিয়োগকর্তার তোয়াজ করেই টিকে থাকতে হয়। আবার কখনো কখনো কে বেশি সরকারের অনুগত, সেই প্রতিযোগিতায় একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিক্ষা, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইদানীং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পদাধিকারীদের দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা, যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো উপাচার্যই মানসম্মান নিয়ে বিদায় নিতে পারেননি। নির্দিষ্ট সময়ের পর বা আগে পদাধিকারীরা চলে যান, কিন্তু তাঁরা প্রতিষ্ঠানে যে ক্ষত তৈরি করেন, তা সহজে মুছে ফেলা যায় না। উত্তরসূরিরাও একই পথ অনুসরণ করেন।
দুর্নীতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিল মিয়া বর্তমানে কারাগারে। সম্প্রতি তিনি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কোনো কোনো সাবেক উপাচার্য পলাতক থাকলেও নিকট অতীতে উপাচার্যের জেলে যাওয়ার ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম। তবে আরও অনেকের আমলনামা দুদকে আছে।
প্রথম আলোর খবর থেকে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ রংপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে দুদকের সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আকবর আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিল মিয়া, সাব-রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী, উপপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) এ টি জি এম গোলাম ফিরোজ, সহকারী রেজিস্ট্রার মোর্শেদ উল আলম এবং সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এতে বলা হয়, সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিল মিয়ার যোগসাজশে ওই চার কর্মকর্তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ লঙ্ঘন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই ৩৪৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন। সরকারি বাজেট বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য খাত থেকে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়েছে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদে নিকটাত্মীয়দের নিয়োগসহ আরও অনেক অভিযোগ আছে। সেগুলো এ মামলায় আনা হয়নি।
তবে নিয়ম-বহির্ভূত নিয়োগ যদি অপরাধ হয়ে থাকে, কেবল আবদুল জলিল মিয়া নন, আরও অনেক বর্তমান ও সাবেক উপাচার্য ফেঁসে যাবেন। পূর্বাপর সরকারের আমলে প্রতিযোগিতা করে শিক্ষক ও কর্মচারী পদে লোক নিয়োগ করা হয়েছে। প্রয়োজন থাকুক আর না-ই থাকুক, আগের সরকারের আমলের চেয়ে পরের সরকারের সময়ে বেশি লোক নিয়োগ অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বিভাগ ও পদ তৈরি করা হয়েছে, তার উপযোগিতা আছে কি না, সেসব যাচাই না করেই। শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন শিক্ষক নিয়োগ হন না, ভোটার নিয়োগ হন। আর সেই ভোটার নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

২.
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্যানেল মনোনয়নের জন্য ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ সভা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা–পাল্টা মামলা হয়েছে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ১৫ জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট রিট করলে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৯ জুলাই ডাকা সিনেটের বিশেষ অধিবেশনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত রুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ ১৯৭৩ সালের ২০(১) ধারা অনুযায়ী সিনেট গঠন না করে ২৯ জুলাইয়ের সভা কেন আইনগত কর্তৃত্ব–বহির্ভূত হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছেন। এর বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ৩০ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। ফলে ২৯ জুলাইয়ে সিনেট অধিবেশন বসতে কোনো বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা।
গণমাধ্যমের খবরে আরও জানা যায়, ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয় সিনেট সভার জন্য। চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩–এর ২১(২) ধারার অর্পিত ক্ষমতাবলে উপাচার্য ২৯ জুলাই বিকেল চারটায় সিনেটের বিশেষ সভা আহ্বান করেছেন। রিট আবেদনকারীদের দাবি, সিনেটের সদস্য রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটের প্রতিনিধিদের পদ খালি রেখে সিনেট সভা ডাকা অবৈধ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের বিশেষ অধিবেশন ডাকা নিয়ে এই ঝগড়া নীল ও সাদা দলের সমর্থক শিক্ষকদের মধ্যে নয়। নীল তথা আওয়ামী লীগের সমর্থক শিক্ষকদের মধ্যে উপাচার্যপন্থী ও উপাচার্যবিরোধী গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে। এর আগে উপাচার্যবিরোধী গ্রুপের শিক্ষকেরা প্রতিকার চাইতে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও গিয়েছিলেন। প্রতিকার না পেয়ে তাঁরা আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। মামলার চূড়ান্ত ফল কী হয় জানি না, তবে আপাতত উপাচার্যপন্থীরা জিতে গেলেন বলে ধারণা করি। সিনেটের বিশেষ অধিবেশনে উপাচার্য প্যানেল তৈরি হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ যদি চেম্বার জজের অন্তর্বর্তী আদেশ উল্টে দেন বা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখেন, তখন কী হবে?

৩.
২৩ জুলাই পরীক্ষার দাবিতে সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের দুই চোখ জখম হয়। ঘটনাটি দেশবাসীকে ক্ষুব্ধ করে। বাংলাদেশে সাধারণত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলন করেন। আর সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছিলেন পরীক্ষার দাবিতে। জনপ্রতিক্রিয়া আঁচ করতে পেরে সরকার চিকিৎসার জন্য সিদ্দিকুরকে ভারতে পাঠিয়েছে, ঘটনা তদন্তে একাধিক কমিটি করেছে; কিন্তু যে কারণে সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ল, সেটি কি দূর হয়েছে? শিক্ষার্থীরা কি পরীক্ষার তারিখ পেয়েছেন? পাননি। ২৪ জুলাই প্রথম আলোর প্রধান খবর ছিল, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে আটকে আছে রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ।’
দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মধ্যে কী নিয়ে রেষারেষি, সেটি আমাদের জানার দরকার নেই। আমরা জানতে চাই, সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা কবে বকেয়া পরীক্ষাগুলো দিতে পারবেন? সরকারের উদ্যোগে না হয় একজন সিদ্দিকুর রহমানের জখম হওয়া চোখ ভালো হলো, কিন্তু দুই লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের জখম তারা কীভাবে উপশম করবে? সরকারি ও বেসরকারি কলেজের মধ্যে এভাবে বিভাজন সৃষ্টি করাই–বা কতটা সমীচীন হয়েছে, তা ভেবে দেখার বিষয়।

৪.
সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে কয়েক মাস আগে কুমিল্লায় গিয়েছিলাম। সে সময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল উত্তপ্ত (এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়)। একদিকে শিক্ষক সমিতি, অন্যদিকে উপাচার্য মো. আলী আশরাফ। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সেখানে শিক্ষকেরা কর্মবিরতি, মানববন্ধন, ঘেরাও, অবস্থান ধর্মঘট ইত্যাদি পালন করেছেন। শিক্ষকেরাও দ্বিধাবিভক্ত। একদিকে শিক্ষক সমিতির নেতারা, অন্যদিকে উপাচার্যের সমর্থকেরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য আলী আশরাফ ও শিক্ষক সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলি। উভয় পক্ষ যার যার অবস্থানে অনড়। উপাচার্যের মতে, শিক্ষক সমিতির নেতাদের মতো খারাপ মানুষ আর বাংলাদেশে নেই। তাহলে এত দিন তিনি তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কীভাবে? আর শিক্ষক সমিতির নেতারা যা বললেন, তার সারমর্ম হলো, উপাচার্যের মতো মন্দ লোক দ্বিতীয়টি নেই। অথচ ২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের সময় তাঁরা তাঁকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নিয়েছিলেন।
শিক্ষক সমিতির নেতাদের অভিযোগ, ২০১৬ সালের ৩১ জুলাই রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কবি নজরুল হলের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী খালিদ সাইফুল্লাহ মারা যান। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপাচার্য কোনো ব্যবস্থা নেননি। ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে উপাচার্যের প্যানেল ১৫টি পদেই পরাজিত হয়। এরপর উপাচার্য পরাজিত শিক্ষকনেতাদের প্রক্টর, হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন।
আর উপাচার্য পাল্টা নালিশ করলেন, শিক্ষক সমিতির অন্যায় দাবিদাওয়া মানেননি বলেই তাঁরা খেপেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা দিচ্ছেন। এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক উন্নয়নকাজও থেমে আছে। বলতে গেলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকেই ‘জ্বলছে’। এর আগের উপাচার্যকেও বিদায় নিতে হয়েছে আন্দোলনের মুখে।
অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ আছে আরও অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক পদাধিকারীর বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন উপাচার্যের কেউ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। নিয়োগ-বাণিজ্য, উন্নয়নমূলক কাজে সম্পৃক্ত ঠিকাদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, নিয়মবহির্ভূতভাবে মানহীন মাদ্রাসাকে অধিভুক্তির অনুমোদন দিয়ে সুবিধা নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে গত বছর উপাচার্য ড. আবদুল হাকিমকে অব্যাহতি দেয় সরকার। প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, ক্ষমতা ও স্বার্থের ভাগাভাগি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য শাহিনুর রহমানের সঙ্গে তাঁর মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব ছিল। উপাচার্যের সঙ্গে সহ-উপাচার্যের যেমন বিরোধ ছিল, তেমনি ওই দুজনের সঙ্গে ছাত্রলীগের দুই অংশের সখ্য ছিল।
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মুসলেহউদ্দিনকেও মেয়াদের আগে চলে যেতে হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন ও প্রশাসনিক পদ থেকে সরে দাঁড়ান। শিক্ষকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্যরাও। তাঁদের কেউ স্বেচ্ছায়, কেউ চাপে বিদায় নিলেও কোনো ঘটনা বা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। ফলে উত্তরসূরিরা পূর্বসূরিদের পথেই হাঁটছেন।
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
[email protected]