রিকশা নিয়ে যে কারণে দীর্ঘমেয়াদি নীতিমালা প্রয়োজন

ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক ও মালিকেরা সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেছেন। রিকশা নিয়ে সরকারের একটি সুচিন্তিত ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি গ্রহণ কেন করা জরুরি হয়ে পড়েছে, তা নিয়ে লিখেছেন নজরুল ইসলাম

রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সম্প্রতি অভিযান চালিয়েছিল ডিএনসিসি।

সম্প্রতি ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে রাজপথে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে একটি বিতর্ক আগে থেকেই ছিল। গত ১৫ মে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় তৎকালীন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক ও মালিকেরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে নেমেছিলেন। তাঁরা সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। কোথাও কোথাও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ‘নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে’ ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দিয়েছিলেন।

গত কিছুদিনে এই ইস্যু আবার আবির্ভূত হয়েছে। ঢাকা শহরের প্যাডেলচালিত রিকশা মালিক জোটের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোমিন আলী এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচলের ওপর যেসব বিধিনিষেধ আরোপিত হয়েছে, সেগুলো কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে আরোপ করছে না।

১৯ নভেম্বর এই রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে বা বিধিনিষেধ আরোপে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে আদালত ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের এই রুল ও নির্দেশের প্রতিবাদে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক ও মালিকেরা আবার রাজপথে নামেন এবং আগেরবারের তুলনায় আরও জোরালো আন্দোলন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ নভেম্বর সরকার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করার জন্য আবেদন করে এবং আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাইকোর্টের আদেশের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেন এবং এ সময়ের মধ্যে রুল হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ প্রদান করেন।

আদালতের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক ও মালিকেরা সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেন। ঘটনাপ্রবাহ থেকে স্পষ্ট, এ রিকশা নিয়ে সরকারের একটি সুচিন্তিত ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিষয়টি একটি নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকারের দ্বারা নিষ্পত্তি হওয়াই সম্ভবত শ্রেয় হতো। তবে ঘটনাক্রম যেভাবে এগিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই বিষয়টির সমাধান করতে হবে। সেই লক্ষ্যে নিম্নের কয়েকটি বিষয়ের প্রতি নজর দেওয়া দরকার।

ব্যাটারিচালিত রিকশা বাংলাদেশের পরিবহনের ক্ষেত্রে এক নতুন প্রযুক্তির ‘প্রতিভূ’। সারা দেশ ক্রমে যেভাবে যন্ত্রের যুগে প্রবেশ করছে, এটা তারই আরেকটি উদাহরণ।

বাংলাদেশের নদ–নদীতে এখন বইঠাচালিত নৌকা পাওয়া ভার। ‘শ্যালোমেশিন’ দ্বারা চালিত নৌকাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাষবাসের ক্ষেত্রেও পশুচালিত লাঙল এখন বহুলাংশে পাওয়ার-টিলার দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে ও ভবিষ্যতে আরও হবে।

ইতিহাসে মানবপ্রগতি মূলত প্রযুক্তির অগ্রগতির হাত ধরেই সংঘটিত হয়। কাজেই সড়ক পরিবহনের ক্ষেত্রেও যে এতকালের প্যাডেলচালিত রিকশা যন্ত্রচালিত বাহন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হবে, তা প্রত্যাশিত। দুর্ঘটনা বা অন্যান্য সমস্যাকে বিবেচনায় নিয়েও একে একটি ইতিবাচক ঘটনা হিসেবেই গ্রহণ করা দরকার।

একটি শিল্পায়িত দেশের জন্য প্যাডেলচালিত রিকশা একাধিক কারণে মানানসই নয়। প্রথমত, এটার শ্লথগতি। দ্বিতীয়ত, এর নিম্ন উৎপাদনশীলতা।

একজন প্যাডেলচালিত রিকশাচালকের তুলনায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক প্রতি ঘণ্টায় বেশি পরিমাণ পরিবহনসেবা উৎপাদন করতে পারেন। ফলে ব্যাটারিচালিত রিকশা দ্বারা প্যাডেলচালিত রিকশা প্রতিস্থাপিত হলে দেশের পরিবহন খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়বে। এটা নিশ্চিতভাবেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে।

দ্বিতীয়ত, প্যাডেলচালিত রিকশা কঠিন কায়িক শ্রমের দাবি করে। অপর দিকে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকেরা এই কায়িক শ্রম থেকে মুক্তি পান। শুধু কায়িক শ্রমের ওপর নির্ভরতা যে অসহায়ত্ব সৃষ্টি করে, তা থেকে তাঁরা মুক্ত থাকতে পারেন এবং নিজেদের আধুনিক যান্ত্রিক যুগের সদস্য বলে অনুভব করতে পারেন।

তৃতীয়ত, ব্যাটারিচালিত রিকশার এমন সব ডিজাইনের উদ্ভব ঘটছে যে সেটার ছাদ চালকদের মাথার ওপর প্রসারিত হয় এবং চালকদের প্রখর রোদ ও বৃষ্টি থেকে রক্ষা করে। রাজশাহী শহরে এ ধরনের ডিজাইনের বহুল প্রচলন লক্ষ করা যায়।

সব মিলিয়ে, ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের জীবনমানের উন্নতি ঘটায়। তাঁদের জন্য এটা একটা ‘বৈপ্লবিক পরিবর্তন’। ব্যাটারিচালিত রিকশার বিষয়ে রাষ্ট্রের নীতি এই বৃহত্তর পটভূমিতেই নির্ধারণ করা দরকার।

রাষ্ট্র কী এই পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করবে, নাকি সুগম করবে? শুধু কি সমাজের ওপরতলার মানুষেরাই ক্রমে আরও বেশি যান্ত্রিক যুগের সুবিধাদি ভোগ করবেন, নাকি নিচুতলার মানুষদেরও তার ভাগীদার করায় রাষ্ট্র যত্নবান হবে?

সন্দেহ নেই, ব্যাটারিচালিত রিকশা কিছু সমস্যা সৃষ্টি করে। এমনিতেই সড়কে দ্রুতগতিসম্পন্ন যান্ত্রিক যানের (বাস, ট্রাকসহ নানা ধরনের মোটরগাড়ি) সঙ্গে ধীরগতিসম্পন্ন প্যাডেলচালিত রিকশার সহাবস্থান একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়। এই মিশ্রণে ব্যাটারিচালিত রিকশা আরেক নতুন উপাদান যোগ করে।

 কারণ, এগুলো প্যাডেলচালিত রিকশার মতো অত ধীরগতিসম্পন্ন নয়, আবার মোটরগাড়ির মতো দ্রুতগতিসম্পন্নও নয়। সড়কে তিন গতিমাত্রার যানবাহনের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে যান-ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জকে আরও কঠিন করে। সঠিক সড়ক ব্যবস্থাপনা, রিকশার ডিজাইনের উপযোগী পরিবর্তন এবং চালকদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জিত না হলে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়তে পারে।

১৯ নভেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় আফসানা করিম নামেন এক ছাত্রী নিহত হন। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে প্রযুক্তির অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার ধারায় নয়, বরং তা সুগম করার অভিমুখে রাষ্ট্রের নীতিকে অগ্রসর হতে হবে।

সে রকম একটি দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার একটা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে যে আগামী ৫ কিংবা ১০ বছর পর দেশে আর প্যাডেলচালিত রিকশা চলবে না। নগরভেদে এই সময়সীমা ভিন্ন হতে পারে। যেমন ঢাকা শহরের জন্য তা কম, বিভাগীয় শহরের জন্য কিছু বেশি এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ে তার চেয়ে কিছু বেশি সময় হতে পারে।

এর ফলে সবাই একটি পরিষ্কার দিকনির্দেশনা পাবে এবং সে অনুযায়ী স্বীয় কর্মধারা নির্ধারণ করতে পারবে। আরও এক ধাপ এগিয়ে সরকার লক্ষ্য ঘোষণা করতে পারে যে আগামী ১৫ কিংবা ২০ বছর পর দেশে কোনো ধরনেরই রিকশা চলবে না। বর্তমানের সিএনজি বা এর বিকল্প ধরনের যান দ্বারা তা সর্বত্র প্রতিস্থাপিত হবে। এ ক্ষেত্রেও নগরের গুরুত্ব অনুসারে এই সময়সীমা ভিন্ন করা যেতে পারে।

এ ধরনের সুচিন্তিত লক্ষ্যগুলো সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিজ নিজ কর্মধারা নির্ধারণে সহায়তা করবে। যেমন এতে নতুন প্যাডেলচালিত রিকশার উৎপাদন হ্রাস পাবে; বিদ্যমান প্যাডেলচালিত রিকশাগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশায় রূপান্তরের প্রক্রিয়া বেগবান হবে এবং আরও নিরাপদ ও উপযোগী ডিজাইনসম্পন্ন ব্যাটারিচালিত রিকশা নির্মাণের প্রক্রিয়া উত্সাহিত হবে।

এখন পর্যন্ত প্যাডেলচালিত রিকশার ব্যাটারিচালিত রিকশায় রূপান্তরিত হওয়া একটি নিচ থেকে উত্থিত এবং বহুলাংশে স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া হিসেবে অগ্রসর হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য কী ধরনের ডিজাইন নিরাপদ ও উপযোগী, তা আরও নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন।

মনে পড়ে, একসময় বুয়েটের প্রকৌশলীরা একটি উন্নত মানের রিকশার ডিজাইন উপস্থিত করেছিলেন বলে। কিন্তু সেটা গ্রহণ ও প্রসারের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এ বিষয়ে সরকারের ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে।

দ্বিতীয়ত, এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যভিত্তিক নীতিমালা প্যাডেলচালিত রিকশার মালিক ও চালকদের সম্ভাব্য ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। ইংরেজিতে একে ‘গ্র্যান্ডফাদারিং’ বলা হয়। এ প্রক্রিয়ায় তাঁরা (প্যাডেলচালিত রিকশার মালিক ও চালকেরা) হয় নির্ধারিত সমাপ্তি বছর পর্যন্ত সময়ে স্বীয় পুঁজির প্রতিদান অর্জন করতে পারবেন অথবা নিজেদের রিকশাকে ব্যাটারিচালিত করায় সচেষ্ট হবেন। একই ভাবে ভবিষ্যতে প্রমিত মোটরচালিত (সিএনজি) যানে উত্তরণের ক্ষেত্রেও এরূপ ‘গ্র্যান্ডফাদারিং’ ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক ও চালকদের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দিতে পারবে।

পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোর নিবন্ধন, নিরাপদ ডিজাইন অনুসরণ—এসব বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি, এগুলোর চালকদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা যাচাই এবং নিশ্চিতকরণের পদক্ষেপ নিতে হবে।

শহরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, যেখানে দ্রুতগতির খুবই প্রয়োজন, সেখানে ব্যাটারিচালিত রিকশার প্রযোজ্যতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ মেনে নিতে হবে। তবে এ ধরনের বিধিনিষেধ যাতে নিগ্রহমূলক না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। তদুপরি, বাংলাদেশে ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য সড়কের ব্যবহার যে বহুলাংশে একটি অপচয়, সেই বিষয়ে সচতন হতে হবে এবং গণপরিবহন–ব্যবস্থার ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটাতে হবে।

ব্যাটারিচালিত রিকশাবিষয়ক অন্যান্য ইস্যুর মধ্যে একটি হলো বিদ্যুৎ ব্যবহার–সংক্রান্ত বিষয়। প্রথমত, এ রকমটা দাবি করা হয় যে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে ব্যাটারিচালিত রিকশায় চার্জ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে।

এটা বিদ্যুৎ সঞ্চালন বিভাগের পরিশাসন সমস্যা। এই বিভাগের দায়িত্ব হলো যেকোনো উদ্দেশ্যে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আহরণের সুযোগ বন্ধ করা। নিয়মমাফিক সংযোগ এবং সরকার নির্ধারিত রেটভিত্তিক বিল পরিশোধপূর্বক ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য বিদ্যুৎ আহরিত হলে এই অভিযোগ থাকার কথা নয়।

দ্বিতীয় অভিযোগ হলো, দেশে বিদ্যুতের অভাব। এটাও সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগের পরিশাসন সমস্যা। বলা হয়ে থাকে, দেশে প্রায় ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা (ক্যাপাসিটি) সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকারি হিসাবেই এর প্রায় ৩৫ শতাংশ অব্যবহৃত থাকে। এই অপচয়-অব্যবস্থাপনার দায় কেন শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশামালিক ও চালকেরা বহন করবেন?

অন্যদের মতো তাঁদেরও নির্ধারিত মূল্যে বিদ্যুৎ কেনার অধিকার রয়েছে। সরকারকে বিদ্যুৎ খাতের অদক্ষতা দূর করতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের আরেক ব্যর্থতা হলো দেশের সৌরজ্বালানি ব্যবহারে অনগ্রসরতা। বিদ্যুৎ বিভাগ এ বিষয়ে আরও সক্রিয় হতে পারে এবং ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোর গ্যারেজে সোলার প্যানেল স্থাপনের বিষয়ে যত্নবান হতে পারে।

সবশেষে, নিঃশেষিত অথবা অকেজো ব্যাটারি যেখানে–সেখানে ফেলা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এসব ব্যাটারির যথযথ নিষ্কাশন-ব্যবস্থাপনার উদ্ভাবন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

সব মিলিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার ব্যবহারকে একটি ‘আপদ’ হিসেবে না দেখে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা প্রয়োজন। দেশের শ্রমজীবী মানুষের এবং গোটা সমাজের মঙ্গলে কীভাবে প্রযুক্তিকে সবচেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগানো যায়, সেদিকেই নজর দেওয়াটাই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

  • নজরুল ইসলাম অধ্যাপক, এশীয় প্রবৃদ্ধি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও জাতিসংঘের উন্নয়ন গবেষণার সাবেক প্রধান